Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৯ শুক্রবার, মার্চ ২০২৪ | ১৫ চৈত্র ১৪৩০ | ঢাকা, ২৫ °সে

মাদুরোর পাশে দাঁড়িয়েছে এরদোগান-পুতিন, ক্ষেপেছেন ট্রাম্প

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৫ জানুয়ারী ২০১৯, ০৬:১৭ PM
আপডেট: ২৫ জানুয়ারী ২০১৯, ০৬:১৮ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত ছবি


ভেনিজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর পাশে দাঁড়িয়েছে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান। তুরস্কের প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র ইব্রাহিম কালিন জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার মাদুরোকে ফোন করে সরকারপ্রধান হিসেবে তার অবস্থানকে সমর্থন জানান এরদোগান।

এ ছাড়া এক বিবৃতিতে রাশিয়া মাদুরোর পক্ষে তাদের অবস্থান তুলে ধরেন। অন্যদিকে ট্রাম্প সরকার ভেনিজুয়েলার আর্থিক প্রবাহ বন্ধ করার চেষ্টা চালাচ্ছে।

বৃহস্পতিবার এ কথা জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তাবিষয়ক উপদেষ্টা জন বল্টন। খবর বিবিসির।

বুধবার ভেনিজুয়েলার বিরোধীদলীয় নেতা হুয়ান গুয়াইদোকে অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্টের স্বীকৃতি দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এ ঘটনার পর যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেছেন মাদুরো। পাশাপাশি আতঙ্কের ফলে এই পরিস্থিতে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ভেনিজুয়েলার সব কূটনীতিককে দেশে ফিরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।

বৃহস্পতিবার বল্টন সাংবাদিকদের জানান, ভেনিজুয়েলার বিষয়টি জটিল। কিন্তু তারা চেষ্টা করছেন মাদুরোর আর্থিক প্রবাহ বন্ধ করে গুয়াইদোর জন্য আর্থিক প্রবাহ চালু করার।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তারা মাদুরোর ওপর চাপ সৃষ্টি করার চেষ্টা করছেন। অন্যদিকে ভেনিজুয়েলায় সৃষ্ট সংকটে এখনও বিশ্বের অধিকাংশ দেশই বিভক্ত।

এদিকে গুয়াইদোর প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থনের সমালোচনা করেছে রাশিয়া। বলেছে, যুক্তরাষ্ট্রের এ পদক্ষেপ আন্তর্জাতিক আইনবিরোধী। এর কারণে নিশ্চিত রক্তপাত হবে।

এমতাবস্থায় মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদকে শনিবার (২৬ জানুয়ারি) একটি জরুরি বৈঠকে বসার আহ্বান জানিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার অর্গানাইজেশন অফ আমেরিকান স্টেটসে (ওএএস) এক বৈঠকে তিনি মাদুরো সরকারকে নৈতিকভাবে দেউলিয়া ও একেবারে কেন্দ্র পর্যন্ত অগণতান্ত্রিক হিসেবে বর্ণনা করেছেন।

২০১৩ সাল থেকে ক্ষমতায় থাকা তেলসমৃদ্ধ দেশটির সমাজতান্ত্রিক প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার ঘোষণা দিয়েছেন।

জোয়ান গুইদো নিজেকে প্রেসিডেন্ট ঘোষণার কিছুক্ষণ পর যুক্তরাষ্ট্র তাকে স্বীকৃতি দিয়েছে এবং একটি নির্বাচন অনুষ্ঠানে তার পরিকল্পনাকে স্বাগত জানিয়েছে। কানাডা, ব্রাজিল ও কলোম্বিয়াও যুক্তরাষ্ট্রের মতো হুবহু বিবৃতি দিয়েছে।

ভেনিজুয়েলার রাজধানী কারাকাসে এক সমাবেশে মাদুরোর বিরুদ্ধে ক্ষমতা জবরদখলের অভিযোগ করেন গুইদো। পরে অতিমুদ্রাস্ফীতিতে ধ্বংস হয়ে যাওয়া অর্থনীতিকে উদ্ধার করতে একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রতিষ্ঠার প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।

উচ্ছ্বসিত সমর্থকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, জবরদখলের অবসান ঘটাতে প্রেসিডেন্টের সব ক্ষমতা গ্রহণের আমি শপথ নিয়েছি।

গুইদোর ঘোষণা ভেনিজুয়েলাকে এমন পরিস্থিতির মধ্যে নিয়ে যেতে পারে, যেখানে ক্ষমতাসীন সরকারের পাশাপাশি বিরোধীরাও একটি সমান্তরাল সরকার চালাতে পারেন। তবে বিদেশি স্বীকৃতি থাকলেও রাষ্ট্রীয় কাঠামোয় তাদের কোনো নিয়ন্ত্রণ থাকছে না।

এদিকে প্রেসিডেন্ট প্রাসাদ থেকে টেলিভিশনে সম্প্রচার করা এক ভাষণে বিরোধীদের বিরুদ্ধে মার্কিন সমর্থনে অভ্যুত্থানের অভিযোগ তোলেন মাদুরো। তার অভিযোগ, বিরোধীরা ওয়াশিংটন থেকে সরকার পরিচালনা করতে চাচ্ছেন।

তিনি বলেন, আমাদের ওপর হস্তক্ষেপ করা হচ্ছে- আবার আমরা মর্যাদাও দাবি করছি, তাই না! এখানেও নিজ ভূখণ্ড রক্ষায় লড়াই করার ইচ্ছা আমাদের জনগণের আছে।

Bootstrap Image Preview