ওজন কমাতে আমরা অনেকেই অনেক কিছু করি। অনেক সময় নিজেকে খাবার থেকে দূরে রাখেন অনেকে। অতিরিক্যত অজন যেমন সমস্যা তেমনি ওজন অতিরিক্ত কমে যাওয়াও বিপদজনক। তাই ওজন কমে গেলে কিছু খাবার আছে যেগুলো ওজন দ্রুর বাড়াতে সাহায্য করে।
আসুন জেনে নিই ওজন বাড়াতে সাহায্য করে এমন কয়েকটি খাবার সম্পর্কে-
আলু
যাদের ওজন বাড়ানোর প্রয়োজন, তাঁদের জন্য এটি একটি উত্কৃষ্ট খাবার। কার্বোহাইড্রেটপূর্ণ এ সবজিতে আছে ভিটামিন সি আর ফাইবার। স্বাস্থ্যকর খাবারটি খুব দ্রুত কিন্তু স্বাস্থ্যসম্মতভাবে আপনার ওজন বাড়িয়ে দেবে।
ডিম
একটা ডিম আপনার দেহকে পুষ্টি উপাদানে রীতিমতো ভাসিয়ে দেয়। তাই কুসুম ও সাদা অংশ পুরোটাই উপভোগ করুন। এতে মধ্যম মানের ক্যালরি, উচ্চমাত্রার ভিটামিন এ, ডি ও ই আছে। ডিম একটা খেলেই বেশ পেট ভরে যায়। আবার ওজন বাড়ে।
কলা
চটজলদি শক্তি পেতে কলা অনন্য। সুস্বাদু ফলটি ওজন বৃদ্ধিতেও সহায়ক। পটাসিয়াম, কার্বোহাইড্রেটসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান মিলবে এতে। একটি কলায় ১০০ ক্যালরির বেশিই পাবেন।
সামুদ্রিক মাছ
চর্বিযুক্ত সামুদ্রিক মাছে ওজন বাড়ে। আর খাবার হিসেবে তা খুবই পুষ্টিকর। তাই যাঁরা বিশেষ করে ওজন বাড়াতে চাইছেন, তাঁরা বাজার থেকে এ ধরনের মাছ কিনে আনুন।
বাদামি চাল
এ চালের ভাত খেতে পারেন। এ চাল কার্বোহাইড্রেটে ভরপুর। আরো আছে স্বাস্থ্যকর ফাইবার। আবার পাস্তা বা বাদামি রুটিতেও উদ্দেশ্য সফল হবে। তাই এ চালের ভাত খাওয়ার অভ্যাস করুন। এখন বাজারে বাদামি চালের কদরও বাড়ছে।
মুরগি
পুষ্টিবিদরা মুরগির বুকের অংশের মাংস খেতে পরামর্শ দেন। মাঝারি আকারের এক টুকরায় ১০০ ক্যালরি থাকে। যদি বেশি বেশি ক্যালরি পেতে চান তো মুরগির বুকের মাংসের ওপর ভরসা করতে পারেন।
পিনাট বাটার
বাদামের বাটার এটা। দোকানে কিনতে পাওয়া যায়। চাইলে চিনাবাদাম পিষে পেস্ট বানিয়ে নিতে পারেন। সকালের নাশতায় এই অতিপরিচিত খাবারটি কিন্তু ওজন যোগ করে। একটা
টোস্ট বিস্কুটের ওপর যে পরিমাণ পিনাট বাটার মাখানো হয় তাতেই মেলে ২০০ ক্যালরি।
পনির
এ কাজে দুগ্ধজাত খাবারকেও এড়িয়ে যেতে পারেন না। অধিকাংশ পনিরেই উচ্চমাত্রার ফ্যাট থাকে, যা কি না স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। আপনি চাইলে সবজির তরকারিতেও পনির দিয়ে সুফল পেতে পারেন।