সম্মোহনী সৌন্দর্য আর সীমাহীন ক্ষমতার অধিকারী রানি ক্লিওপেট্রা। প্রেম আর মৃত্যু তার জীবনে একাকার হয়ে গেছে। মিসরীয় ইতিহাসে তার নামটি বিস্ময়কর। সীমিত শক্তিকে অসাধারণ কৌশলে অসীমে নিয়ে যাওয়ার রূপকার হিসেবে দেখা হয় তাকে।
আধুনিক ইতিহাসবিদদের মতে, পরমাসুন্দরী হিসেবে তার খুব বেশি খ্যাতি ছিল না। কিন্তু তীক্ষ্ন বুদ্ধিমত্তা, অন্যকে বশ করার প্রত্যয়ী মমতা, সহজাত রসবোধ এবং প্রচণ্ড উচ্চাভিলাষ ও তা বাস্তবায়নের অদম্য ইচ্ছাশক্তির জোরে তিনি সর্বকালের সেরা মহিলাদের কাতারে স্থান করে নিয়েছেন।
তার নামের সঙ্গে সেনানায়ক মার্ক অ্যান্টনির নামটি জড়িত। তাদের দুজ নেরই মৃত্যু হয় ২০৫০ বছর আগে। এত বছর পর তার সমাধিস্থলের সন্ধান মিলেছে।
প্রত্নত্ত্ববিদ জাহি হাওয়াস জানিয়েছেন, ইতিহাসে অ্যান্টনি-ক্লিওপেট্রার প্রেমের বিষয়টিই ঘুরেফিরে এসেছে। তবে স্বামীর বিষয়টি এতে উপেক্ষিত। আলেকজান্দ্রিয়া থেকে ১৮ মাইল দূরে প্রাচীন শহর তাপোসিরিস মাগনার অবস্থান। সেখানেই দুই ঐতিহাসিক ব্যক্তি শায়িত রয়েছেন বলে জাহি হাওয়াসের ধারণা। তার মতে, দুজনকে একই সমাধিতে শায়িত করা হয়েছিল।
ইতালির কবি ও দার্শনিক দান্তের মতে, লালসার শাস্তি হিসেবে নরকের দ্বিতীয় স্তরে দাউ দাউ করে পুড়ছেন কিওপেট্রা। কারও দৃষ্টিতে তিনি ছিলেন ‘শারপেন্ট অব দ্য নাইল’। অনেকেই ক্লিওপেট্রার যৌন আবেদনময়ী দিকটিকেই বেশি গুরুত্ব দিয়েছে।