রাজশাহীর বাগমারা উপজেলায় পুলিশের ভয়ে বিয়ের আসর থেকে পালিয়ে গেলেন বর। শুধু তিনিই নন, তার সঙ্গে আসা অতিথিরাও যে যার মতো পালালেন। মুহুর্তেই আনন্দ উৎসবে পূর্ণ কনের বাড়িতে নেমে এলো নিরবতা।
বুধবার (২৩ জানুয়ারি) দুপুরে বাল্যবিয়ের উপজেলার একটি গ্রামে এই ঘটনাটি ঘটে। তবে এ ঘটনায় কোনোরকম ক্ষতির শিকার না হয়ে বরং রক্ষা পেল কনে। কেননা কনে ছিল চৌদ্দ বছরের স্কুল পড়ুয়া কিশোরী।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, বুধবার ওই বাড়িতে বাল্যবিয়ের আয়োজন চলছিল। তারা বিষয়টি প্রশাসনকে জানালে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান এ বাল্যবিয়ে বন্ধের উদ্যোগ নেন। তিনি গ্রাম্য পুলিশ পাঠালে ভয়ে বিয়ে করতে আসা বর পালিয়ে যায়।
অবস্থার বেগতিক দেখে বরযাত্রীরাও যে যার মতো কেটে পড়েন। এ বিষয়ে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল বলেন, বুধবার আমার এলাকায় বাল্যবিয়ে হচ্ছে জেনে দুপুরের দিকে কয়েক জন গ্রাম পুলিশ নিয়ে কনের বাড়িতে হাজির হই। পুলিশ দেখে বর নিজের আসন থেকে উঠে দৌড়ে পালিয়ে যান। এরপর বরযাত্রীরাও চলে চান।
ঘটনার পর কনেসহ তার মা-বাবা এবং বরের অভিভাবকদের ইউএনও কার্যালয়ে ডেকে আনা হয়।
এসময় কনের বয়স সম্পর্কে অবগত ছিলেন না বলে দাবি করেন বর ও তার অভিভাবক।
আঠারো বছর পূর্ণ হলে না হলে মেয়েকে বিয়ে দেওয়া যাবে না, এই মর্মে মেয়ের মা-বাবার কাছ থেকে মুচলেকা নিয়ে তাদের সবাইকে ছেড়ে দেওয়া হয় ইউএনও জাকিউল ইসলাম।
স্থানীয় সূত্র থেকে জানা গেছে, শরিফ উদ্দিন (২৮) নামে বাল্যবিয়ে করতে আসা ওই ব্যক্তি এবার রাজশাহী কলেজ থেকে স্নাতকোত্তর পাস করেছেন।