Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২০ শনিবার, এপ্রিল ২০২৪ | ৭ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

গুনাহ মাফের জন্য করণীয়!

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২২ জানুয়ারী ২০১৯, ১১:২২ AM
আপডেট: ২২ জানুয়ারী ২০১৯, ১১:৫১ AM

bdmorning Image Preview


আমরা প্রতিদিন চলার পথে কতই না পাপ করে থাকি। গুনাহ করতে করতে আমরা পাহাড় সমান করে ফেলি। কিন্তু তারপর আল্লাহ আমাদের গুনাহ মাফ করে দেয়ার ব্যবস্থা করে রেখেছেন। আল্লাহ অনেক দয়াশীল। তার দয়াতেই আমরা বেঁচে রয়েছি। তাই আমরা যতই গুনাহ করিনা কেন আল্লাহ আমাদের ঠিকই মাফ করে দেন। তবে আল্লাহ কাছে এরজন্য ক্ষমা প্রার্থনা করতে হবে। 

আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত। রসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি প্রত্যেক নামাজের পর ৩৩ বার সুবহানাল্লাহ, ৩৩ বার আলহামদুলিল্লাহ।

৩৪ বার আল্লাহু আকবার পড়ে এবং একশবার পূর্ণ করার জন্য একবার — লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারিকা লাহু লাহুল মুলকু ওয়া লাহুল হামদু ওয়া হুয়া আলা কুল্লি শাইইন কাদির — পড়ে তার সব গুনাহ মাফ করে দেওয়া হয় যদিও তা সাগরের ফেনাপুঞ্জের সমান হয়।’ (মুসলিম)।

আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি প্রতিদিন একশবার বলবে, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারিকা লাহু লাহুল মুলকু ওয়া লাহুল হামদু ওয়া হুয়া আলা কুল্লি শাইইন কাদির — অর্থাৎ আল্লাহ ছাড়া আর কোনো ইলাহ নেই। তিনি এক, তাঁর কোনো শরিক নেই।

সব রাজত্ব তাঁর। সব প্রশংসা তাঁর। তিনি সব বস্তুর ওপর শক্তিশালী — সে দশটি গোলাম আজাদ করার সমান সওয়াব লাভ করবে। আর তার নামে লেখা হবে একশটি নেকি এবং তার নাম থেকে ১০টি গুনাহ মুছে ফেলা হবে।

আর সেদিন সন্ধ্যা হওয়া পর্যন্ত সে শয়তানের (আসর বা ওয়াসওয়াসা) থেকে সংরক্ষিত থাকবে এবং কিয়ামতের দিন কেউ তার চেয়ে ভালো আমল আনতে পারবে না। একমাত্র সেই ব্যক্তি ছাড়া যে তার চেয়ে বেশি আমল করেছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘যে ব্যক্তি প্রতিদিন একশবার — সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহি — পড়বে, তার সব গুনাহ মাফ করে দেওয়া হবে, যদিও তা (সংখ্যাধিক্যের দিক দিয়ে) সমুদ্রের ফেনাপুঞ্জের সমান হয়।’ (বুখারি ও মুসলিম)।

আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘এমন দুটি বাক্য আছে যা মুখে উচ্চারণে হালকা (সহজে উচ্চারিত হয়), কিন্তু (ওজনে) ভারী এবং আল্লাহর কাছে প্রিয়, তা হচ্ছে — সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহি সুবহানাল্লাহি আজিম’ (বুখারি ও মুসলিম)।

আবু মুসা (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘আমি কি তোমাকে জান্নাতের একটি গুপ্তধনের কথা জানাব না। আমি বললাম, অবশ্যই হে আল্লাহর রসুল! তিনি বললেন, তা হলো— লা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ’ (বুখারি ও মুসলিম)।

আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসুলুল্লাহ (সাল্লা.) বলেছেন, ‘আমার কাছে সুবহানাল্লা ওয়াল হামদু লিল্লাহ ওয়া লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়া আল্লাহু আকবার বলা দুনিয়ার সব জিনিসের চেয়ে বেশি প্রিয়।’ (মুসলিম)।

Bootstrap Image Preview