Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১৬ মঙ্গলবার, এপ্রিল ২০২৪ | ৩ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

বিএনপির একজন জিল্লুর রহমান ও একজন শেখ হাসিনা দরকার

আবদুল মান্নান
প্রকাশিত: ২০ জানুয়ারী ২০১৯, ০৫:৪৩ PM
আপডেট: ২০ জানুয়ারী ২০১৯, ০৫:৪৩ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত


এটি এখন বাস্তব যে বিএনপি বর্তমানে একটি চরম ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া দুর্নীতির দায়ে দণ্ডিত হয়ে কারাভোগ করছেন। দলের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান খালেদা জিয়ার জ্যেষ্ঠপুত্র তারেক রহমান মানি লন্ডারিং ও একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত হয়ে আইনের দৃষ্টিতে লন্ডনে পলাতক। এরই মধ্যে তিনি বাংলাদেশের নাগরিকত্ব ত্যাগ করে সেখানে রাজনৈতিক আশ্রয় নিয়েছেন। অদূর ভবিষ্যতে তাঁর দেশে ফেরার সম্ভাবনা কম। দলে একটি কেন্দ্রীয় কমিটি আছে কিন্তু কমিটির সদস্যদের মধ্যে যে আস্থার ঘাটতি ও পরস্পরের মধ্যে অবিশ্বাস আছে, তা তাঁদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণিত। সদ্যঃসমাপ্ত সংসদ নির্বাচনের আগে তাঁরা গণফোরামের তথা ঐক্যফ্রন্টের সভাপতি ড. কামাল হোসেনের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তাঁদের উদ্ধার করার জন্য। এ কাজ করতে তিনি সানন্দে রাজি হয়েছিলেন। তাঁর নেতৃত্বে বিএনপি একাদশ সংসদ নির্বাচনে অংশ নিয়েছিল, যার কোনো বিকল্প তাদের সামনে ছিল না। কারণ পর পর দুবার সংসদ নির্বাচনে অংশ না নিলে নির্বাচন কমিশনে তাদের নিবন্ধন বাতিল হয়ে যেত। ড. কামাল হোসেন বর্তমানে বাংলাদেশের রাজনীতিতে কোনো ফ্যাক্টর নন। বঙ্গবন্ধুর ছায়াতলে তাঁর রাজনৈতিক জীবন শুরু আর তাঁর মৃত্যুর পর তাঁর রাজনৈতিক জীবনের মৃত্যু হয়েছে। ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে বিএনপি একাদশ সংসদ নির্বাচনে অংশ নিয়েছে, তাতে তাদের নিবন্ধন রক্ষা পেয়েছে, এর বেশি তাদের কোনো অর্জন নেই। অর্জন যা, তা তাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের। তিনি লন্ডনে বসে মনোনয়ন বাণিজ্য করে কয়েক শ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। ড. কামাল হোসেনের সঙ্গে বিএনপির গাঁটছড়া বাঁধা ছিল শুধু স্বার্থের কারণে। স্বার্থ উদ্ধার হয়ে যাওয়ার পর বিএনপির কাছে ড. কামাল হোসেনের মূল্য আর কানাকড়িও নেই। বৃহস্পতিবার ঐক্যফ্রন্টের সভায় বিএনপির কোনো নেতা অংশ নেননি। ঢাকা শহরের ট্রাফিক জ্যামকে তাঁরা অজুহাত হিসেবে দাঁড় করিয়েছেন।

একটি রাজনৈতিক দলের কঠিন সময়ের মুখোমুখি হওয়া বিচিত্র কিছু নয়। উপমহাদেশের দুটি বৃহৎ রাজনৈতিক দল, ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস আর আওয়ামী লীগ একাধিকবার এমন কঠিন সময়ের মুখোমুখি হয়েছে এবং নেতৃত্বের কারণে তারা ঘুরে দাঁড়িয়েছে। স্বাধীন ভারতে কংগ্রেস প্রথম বড় ধরনের কঠিন সময়ের মুখোমুখি হয় ইন্দিরা গান্ধীর আমলে। ১৯৬৯ সালে দলের সভাপতি নিজালিনগাপ্পা ইন্দিরা গান্ধীকে দল থেকে বহিষ্কার করলে দলে প্রথমবার বড় ধরনের ফাটল সৃষ্টি হয়। ১৯৭৫ সালে ইন্দিরা গান্ধী সরকার ভারতে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করলে তখন অনেক সিনিয়র নেতা কংগ্রেস ছেড়ে চলে যান। কিন্তু কংগ্রেস টিকে থাকে। কারণ দলে নেতৃত্ব দেওয়ার মতো নেতা ছিলেন। রাজীব গান্ধী-পরবর্তী সময়ে কংগ্রেস বেশ কিছুদিন ক্ষমতায় টিকে ছিল সোনিয়া গান্ধীর নেতৃত্বে।

মুসলিম লীগের নেতৃত্বে পাকিস্তান সৃষ্টি হয়েছিল। সেই পাকিস্তান মুসলিম লীগ তাদের সৃষ্ট পাকিস্তানে বেশিদিন টিকে থাকতে পারেনি। যে মুসলিম লীগের নেতৃত্বে পকিস্তানের জন্ম, সেই মুসলীম লীগ কখনো পাকিস্তানের কোনো নির্বাচনে বিজয় লাভ করেনি। মুসলিম লীগ ভাগ হতে হতে এখন বিলুপ্ত। জিন্নাহর মৃত্যুর পর মুসলিম লীগে কোনো বিকল্প নেতৃত্ব গড়ে ওঠেনি। দেশভাগের পূর্ববর্তী সময়ে অবিভক্ত বাংলার যেসব বাঙালি মুসলমান মুসলিম লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন, তাঁরা দেশভাগের পর বেশিদিন মুসলিম লীগের সঙ্গে থাকেননি। ফজলুল কাদের চৌধুরী, সবুর খান, নূরুল আমিন, মোনেম খান প্রমুখ মুসলিম লীগের রাজনীতি করতে চেয়েছিলেন; কিন্তু তাঁরা সফল হননি। কারণ তাঁরা নতুন প্রজন্মকে তাঁদের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত করতে পারেননি।

পাকিস্তানের শাসনামলে আওয়ামী লীগ একাধিকবার নিষিদ্ধ ঘোষিত হয়েছে। ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে যতগুলো গণতান্ত্রিক আন্দোলন এই দেশে হয়েছে, সবগুলোতেই আওয়ামী লীগ সামনের কাতারে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছে। এ কারণেই পাকিস্তান সরকার সব সময় আওয়ামী লীগকে তাদের প্রধান প্রতিপক্ষ মনে করেছে। ১৯৫৭ সালে প্রথম আওয়ামী লীগ সাংগঠনিকভাবে সংকটে পড়ে, যখন দলের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী টাঙ্গাইলে অনুষ্ঠিত দলের কাগমারী সম্মেলনে আওয়ামী লীগ থেকে বের হয়ে ন্যাপ গঠন করেন। এই সময় দলের হাল ধরেন হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী। ১৯৫৮ সালে আইয়ুব খান পাকিস্তানে সামরিক শাসন জারি করে যে কয়টি দলকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেন, তার মধ্যে আওয়ামী লীগ অন্যতম। কারারুদ্ধ হন আওয়ামী লীগের সব নেতা। সোহরাওয়ার্দী ছাড়া পেয়ে লন্ডনের পথে বৈরুতের এক হোটেলে ইন্তেকাল করেন। ছয় দফাকে কেন্দ্র করে ১৯৬৮ সালে আওয়ামী লীগ আবার ভাঙনের মুখে পড়ে। আওয়ামী লীগের সভাপতি মাওলানা আবদুর রশিদ তর্কবাগীশ দল থেকে পদত্যাগ করেন। এই সময় দলের হাল ধরেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। বাংলাদেশ স্বাধীন হলে একসময়ের দলের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান চৌধুরী দল থেকে পদত্যাগ করে মিজানপন্থী আওয়ামী লীগ গঠন করার চেষ্টা করেন। পরে অবশ্য তিনি দলে ফিরে আসেন। বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার পর জিয়া আওয়ামী লীগকে শুধু নিষিদ্ধই করেননি, তিনি আওয়ামী লীগ বা বঙ্গবন্ধুর নাম নেওয়াকেও অলিখিতভাবে নিষিদ্ধ করেন। ১৯৭৮ সালে জিয়া রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড চালু করার অনুমতি দিলে ছত্রভঙ্গ আওয়ামী লীগকে পুনরায় একত্র করার কাজে ঝাঁপিয়ে পড়েন আবদুল মালেক উকিল, বেগম জোহরা তাজউদ্দীন, আবদুস সামাদ আজাদ প্রমুখ। ১৯৮১ সালে বঙ্গবন্ধুকন্যা দেশে ফিরে এলে আওয়ামী লীগ বস্তুতপক্ষে নতুন জীবন লাভ করে। সেই আওয়ামী লীগ তাঁর নেতৃত্বে দীর্ঘ ২১ বছর পর ১৯৯৬ সালে বাংলাদেশের রাষ্ট্রক্ষমতায় ফিরে আসে। সমসাময়িক ইতিহাসে এটি একটি বিরল ঘটনা।

২০০৭ সালে সেনা সমর্থনে ফখরুদ্দীন ক্ষমতা দখল করলে আওয়ামী লীগ আবারও সংকটে পড়ে। শেখ হাসিনাসহ দলের অনেক নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়। দেওয়া হয় অনেক ভুয়া মামলা। একই সময় বিএনপিপ্রধান খালেদা জিয়াকেও গ্রেপ্তার করা হয়। দুটি প্রথম শ্রেণির দৈনিকের সম্পাদকের আগ্রহে চালু হয় মাইনাস টু ফর্মুলা। মানে শেখ হাসিনা ও খালেদা জিয়াকে বাংলাদেশের রাজনীতি থেকে মাইনাস করতে হবে। আসলে তা ছিল মাইনাস ওয়ান, শেখ হাসিনাবিহীন আওয়ামী লীগ ও দেশের রাজনীতি চলবে। এই মতবাদের সমর্থনে বেশ শক্তভাবে দাঁড়িয়ে যান দেশের কয়েকজন সুধী। একজন আবার তাঁর পত্রিকার প্রথম পৃষ্ঠায় নিজ নামে এ বিষয়ে একটি সম্পাদকীয় লিখে ফেলেন। আরেকজন সাংবাদিক, যিনি একাধিক পত্রিকার সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছিলেন, তিনি রাতের এক টিভি টক শোতে বললেন, ‘আমি যদি আমার প্রতিষ্ঠিত পত্রিকা থেকে স্বেচ্ছায় চলে আসতে পারি, তাহলে এই দুই মহিলা ছাড়া কেন দেশের রাজনীতি চলবে না।’ তিনি দেশের দুটি বড় রাজনৈতিক দলের প্রধানকে নিজের কাতারে নিয়ে আসেন। ফখরুদ্দীনের তত্ত্বাবধায়ক সরকার শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে এমন কোনো মামলা নেই, যা দায়ের করেনি। গ্রেপ্তার করা হয় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল জলিল, ওবায়দুল কাদেরসহ অনেক নেতাকে। তাদের নির্মমভাবে মানসিক টর্চার চালিয়ে জবানবন্দি আদায় করার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু কেউ বলেননি, শেখ হাসিনা ছাড়া আওয়ামী লীগ চিন্তা করা যায়। কয়েকজন শুধু বলেছিলেন, দলে সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া এবং তা করা উচিত। অন্যদিকে বিএনপির শীর্ষনেতারা তো দলের সিনিয়র নেতা সাইফুর রহমানকে অসুস্থ অবস্থায় পাঁজাকোলা অবস্থায় সাংবাদিকদের সামনে এনে ঘোষণা দিলেন—এখন থেকে তিনিই দলের সভাপতি। তেমন কোনো ঘটনা আওয়ামী লীগে ঘটেনি। এই হচ্ছে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে তফাত।

শেখ হাসিনা বন্দি থাকা অবস্থায় দলের হাল ধরেছিলেন প্রেসিডিয়াম সদস্য জিল্লুর রহমান (পরে রাষ্ট্রপতি, বর্তমানে প্রয়াত)। তাঁর বাসায় নিয়মিত দলের শীর্ষনেতারা অনেক ঝুঁকি নিয়ে সভা করেছেন, পরবর্তী কর্মসূচি নির্ধারণ করেছেন। জিল্লুর রহমান সেই বয়সেও তাঁর সাংগঠনিক দায়িত্ব পালনে পিছপা হননি। এমন কোনো নেতা বিএনপিতে ছিল না। যখন শেখ হাসিনাকে সংসদ ভবন এলাকার অস্থায়ী আদালতে নিয়ে যাওয়া হতো, তখন বেগম মতিয়া চৌধুরীসহ দলের অনেক সিনিয়র নেতা তাঁদের নেত্রীকে একনজর দেখার জন্য ফুটপাতে বসে থাকতেন। যেদিন জিল্লুর রহমান তাঁর ওকালতিজীবনের শুরুর পুরনো কালো কোট পরে আদালতে শেখ হাসিনার পক্ষে আইনি লড়াই করতে গিয়েছিলেন, সেদিন দেশের সাধারণ মানুষ অভিভূত ও আবেগতাড়িত না হয়ে পারেনি। শেখ হাসিনা তাঁকে দেখে বলেছিলেন, ‘দল ও আমার প্রতি আপনার এই ভালোবাসা আওয়ামী লীগ চিরদিন মনে রাখবে। আপনার আর আদালতে আসার প্রয়োজন নেই।’ এক-এগারোর পর দলের ক্রান্তিকালে নেতৃত্ব দিতে গিয়ে জিল্লুর রহমান যে ভূমিকা রেখেছিলেন, তেমন ভূমিকা রাখার মানুষ বিএনপিতে ছিল না। ১৯৮১ সালের পর একটি ছত্রভঙ্গ আওয়ামী লীগকে নেতৃত্ব দিয়ে শেখ হাসিনা দলকে যে জায়গায় নিয়ে গেছেন, এ মুহূর্তে তেমনটি বিএনপিতে ঘটবে, তা মনে হয় না। বিএনপিতে চেইন অব কমান্ড বলতে যা বোঝায় তা কখনো ছিল না, এখনো নেই। দলটি সব সময় খালেদা জিয়া আর তারেক রহমানের ওপর নির্ভরশীল ছিল। অন্যদিকে অনেকে বলতে পারেন, আওয়ামী লীগও তো শেখ হাসিনার ওপর নির্ভরশীল। কিন্তু বাস্তবতাটা হচ্ছে, যেকোনো কারণে শেখ হাসিনা যদি তাঁর দায়িত্ব পালনে অপারগ হন (যেমন এক-এগারো-পরবর্তীকালে তিনি জেলে থাকার সময়), দলের অন্যান্য নেতা দলের হাল ধরতে পারেন, শত প্রতিকূল অবস্থায়ও দলকে একত্রিত রাখতে পারেন, যেটি বিএনপির পক্ষে সম্ভব নয়। এই যে বিএনপি ২০০৬ সালের পর আর ক্ষমতায় নেই, তা দলের জন্য একটি মহাসংকট। দলটি টিকে থাকবে কি না তা অনেকটা অনিশ্চিত।

দেশের রাজনীতিতে একাধিক শক্তিশালী রাজনৈতিক দল থাকলে গণতন্ত্রের জন্য মঙ্গল। বাংলাদেশে বামপন্থী দলগুলো সেই অভাব পূরণ করতে পারত। দুর্ভাগ্য যে তারা তা করতে ব্যর্থ হয়েছে। কারণ তাদের কোনো জনসম্পৃক্ততা নেই। আর তাদের রাজনীতি কখনো বাস্তবমুখী ছিল না। এ কারণে বাম রাজনীতির দুর্গ বলে খ্যাত সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে গেছে। ভারতে তাদের রাজনীতির এখন পড়ন্ত বেলা। বিএনপির অনেক নেতার সঙ্গে ব্যক্তিগত আলাপচারিতায় মনে হয়েছে, তাঁরা এ মুহূর্তে বিএনপির রাজনীতির কোনো ভবিষ্যৎ আছে তা মনে করেন না। ড. কামাল হোসেন, কাদের সিদ্দিকী, আ স ম আবদুর রব বা মাহমুদুর রহমান মান্নাদের দেশের রাজনীতিতে দেওয়ার মতো আর কিছু নেই। রিজভী আহমেদ অনেকের কাছে এখন যাত্রাপালার একজন এক্সট্রা চরিত্র। মির্জা ফখরুল অনেকের কাছে একজন সন্দেহজনক ব্যক্তি। সবাই এক বাক্যে স্বীকার করেন, বিএনপি এখন তারেক রহমানের কাছে জিম্মি। তাঁদের মতে, এই একজন অর্বাচীন ব্যক্তিই বিএনপিকে শেষ করে দিয়েছে; কিন্তু নিজের আখের গুছিয়েছে। আবার দলকে দাঁড় করাতে হলে তাদের প্রয়োজন একাধিক জিল্লুর রহমান আর একজন সাহসী, দৃঢ়চেতা ও দুর্নীতিমুক্ত শেখ হাসিনা। তা সহজে মিলবে বলে মনে হয় না।

লেখক : বিশ্লেষক ও গবেষক।

Bootstrap Image Preview