মদপানে বাধা দেওয়ায় রাতুল হোসেন (১৭) নামে এক কিশোরকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে।ঘটনাটি ঘটেছে কেরানীগঞ্জ কলাতিয়া ইউনিয়নের মানিকনগর এলাকায়।
আজ শনিবার (১৯ জানুয়ারি) বিকেলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই কিশোরের মৃত্যু হয়। নিহত রাতুল ওই এলাকার কাবুল হোসেন ছেলে। সে শুভাঢ্যা কালীগঞ্জ এলাকায় একটি ডকইয়ার্ডে কাজ করতো।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার (১৫ জানুয়ারি) রাতে মানিকনগর এলাকার গোলাম রসুলের ছেলে রহমান মদপান করে মাতলামি করছিল। রাতুল এতে বাধা দিলে পরদিন বুধবার (১৬ জানুয়ারি) বিষয়টি মীমাংসার জন্য তাকে ডেকে নিয়ে সবার সামনে ভারী কাঠ দিয়ে এলোপাথারি মারধর করে একই এলাকার শাহ আলম। পরে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে কলাতিয়া সেন্ট্রাল হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। শনিবার বিকেলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাতুলের মৃত্যু হয়।
ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ ঢামেক হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত মূল ঘাতক শাহা আলম পলাতক রয়েছে বলেও জানা যায়।
নিহতের দাদি হালিমা বেগম বলেন, সালিসের কথা বলে রাতুলকে ডেকে নিয়ে যায়। পরে গোলাম রসুল তার ছেলে রহমান ও শাহ আলম ভারী কাঠ দিয়ে তাকে মারধর করে। রহমানকে মদপানে বাধা দেওয়ায় তারা তাকে মেরেছে। রাতুলের মৃত্যুর খবরে পেয়ে তার বাবা কাবুল হোসেন অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। তিনি এ হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবি করেন।
এ ব্যাপারে কলাতিয়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. শাহ আলম বলেন, হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। মামলা দায়ের পর প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।