একজন নয় দুইজন নয় একে একে ১১ জনকে বিয়ে করেছেন এক তরুণী তাও আবার মাত্র দুই বছরের মধ্যে। সর্বোচ্চ এক মাসে চারটি বিয়ে করেছেন। মজার বিষয় হলো- এদের কারও সাথেই ওই তরুণী সংসার করেননি।
জানা গেছে, ওই তরুণী বিশেষ উদ্দেশ্য সাধনের জন্য বিয়ে করে থাকেন। উদ্দেশ্য সফল হওয়া মাত্র সে ওখান থেকে চম্পট দেয়।
পুলিশের কাছে অভিযোগের সূত্র ধরে থাইল্যান্ডের সংবাদমাধ্যম ওই তরুণীর কর্মকাণ্ড সম্পর্কে এসব তথ্য প্রকাশ করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম ওয়াশিংটোন পোস্ট এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকের সাহায্যে ওই তরুণী বিভিন্ন পুরুষের সঙ্গে প্রথমে বন্ধুত্ব করেন। এরপর সম্পর্ক গভীর করার চেষ্টা করেন। তাদের সাথে যৌন সম্পর্ক গড়ে তুলেন এবং পরে বিয়ে করতে বাধ্য করেন। এরপর আর তাকে খুঁজে পাওয়া যায় না। তবে লাপাত্তা হওয়ার আগে যাকে বিয়ে করেন তাকে সর্বশান্ত করে দিয়ে যান। তার কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নিয়ে চলে যান।
থাইল্যান্ডের রীতি অনুযায়ী বিয়ের পর প্রতিটি স্বামীই তার স্ত্রীকে একটি নির্দিষ্ট অঙ্কের টাকা দেয়। আর এভাবেই ওই তরুণী দুই বছরে একে একে ১১টি বিয়ে করে প্রত্যেকের কাছ থেকে ৬,০০০ থেকে ৩০,০০০ ইউএস ডলার হাতিয়ে নিয়ে কোনো অজুহাত দেখিয়ে সড়ে যায়।
সম্প্রতি প্রতারণার শিকার একজন পুরুশ পুলিশের কাছে অভিযোগ করলে ঘটনা সামনে আসে। তার দেখাদেখি অন্যরাও এসে অভিযোগ করলে থাইল্যান্ডের সংবাদমাধ্যমে এটি নিয়ে আলোচনা শুরু হয়।
পুলিশের কাছে মোট ১২টি অভিযোগ আসে। তারা সকলেই ওই তরুণীর স্বামী বলে দাবি করেন। তবে ১১ জনের সঙ্গে তার বিয়ের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে।