বছরের শেষ দিনে ৯০ কর্মীকে বিদায় দিয়েছে দেশের সবচেয়ে বড় মোবাইল ফোন অপারেটর গ্রামীণফোন।বিদায় নেয়া কর্মীদের মধ্যে অধিকাংশ ছিলেন প্রতিষ্ঠানটির কাস্টমার কেয়ার সার্ভিসের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তারা।
গত বছরের শুরুর দিকে তাদের কাস্টমার কেয়ার থেকে স্থায়ী কর্মীদের সরিয়ে নেয় গ্রামীণফোন। আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে এ বিভাগের পুরো কাজ দেয়া হয় তৃতীয় পক্ষকে।
ছাঁটাই করা কর্মীরা অভিযোগ করে বলেন, দীর্ঘদিন স্থায়ী কর্মী হিসেবে চাকরি করার পরেও আমাদের প্রাপ্য অধিকার স্বেচ্ছা অবসর স্কিম (ভিআরএস) দেয়া হয়নি। ছাঁটাই প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার পর বিভিন্ন সময় অফিস ছেড়ে গেছেন কর্মীরা। তবে কাস্টমার কেয়ার বিভাগ থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত কাজ করার সুযোগ পান ৪৮ জন। এছাড়া বিভিন্ন বিভাগ থেকে মোট ৯০ জনের বেশি ৩১ ডিসেম্বর গ্রামীণফোন থেকে অবসরে গিয়েছেন। তবে ৯০ জনের বেশি ঠিক কতজন গিয়েছেন এ সংখ্যা সরাসরি জানাতে কেউ রাজি হননি।
একসময় দেশের সবচেয়ে বেশি গ্রাহকসেবা কেন্দ্র ছিল গ্রামীণফোনের। এ বিভাগে প্রায় দুই হাজার ৫০০ কর্মী কাজ করতেন। এর মধ্যে ২০১৩ সালেই স্থায়ী কর্মী ছিলেন এক হাজারের বেশি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক গ্রামীণফোন কাস্টমার কেয়ারের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, কাস্টমার কেয়ারে স্থায়ী কর্মীদের বিদায় করার জন্য অনেক আগে থেকেই পরিকল্পনা করেছিল গ্রামীণফোন। এরই অংশ হিসেবে গত ২২ আগস্ট ঈদুল আজহার ছুটি শেষে প্রথম কর্মদিবসেই এ বিভাগের কর্মীদের ছাঁটাই করার জন্য নোটিশ দেয়া হয়। অধিকাংশ কর্মী মেনে নিলেও পাঁচজন কর্মী এর বিরোধিতা করেন।
তিনি বলেন, যারা এর বিরোধিতা করেছিল তাদের ওইদিন রাতেই অফিস এক্সেস কার্ড ব্লক করে দেয়া হয়। বাধ্য হয়ে তারাও চাকরি ছাড়ার বিষয়টি মেনে নেন।
এ ব্যাপারে গ্রামীণফোনের হেড অব কমিউনিক্যাশনস সৈয়দ তালাত কামাল বলেন, নিয়মিত প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে গ্রামীণফোনের কিছু কর্মী প্রতিষ্ঠান থেকে বিদায় নিয়েছেন। প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে তাদের প্রত্যেকের অবদানের জন্য বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।