Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২০ শনিবার, এপ্রিল ২০২৪ | ৭ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

জীবননগরে পৃথক দুটি সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৪, আহত ২০

শামসুজ্জোহা পলাশ, চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধিঃ 
প্রকাশিত: ২৪ ডিসেম্বর ২০১৮, ১১:৫৮ AM
আপডেট: ২৪ ডিসেম্বর ২০১৮, ১১:৫৮ AM

bdmorning Image Preview


চুয়াডাঙ্গার জীবননগর দর্শনাগামী মহাসড়কে পৃথক দুটি ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় স্বামী-স্ত্রীসহ ৪ ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। অপরদিকে পৃথক এ ঘটনায় কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়েছে।

রবিবার (২৩ ডিসেম্বর) সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত পৃথক এ দুর্ঘটনা ঘটে।

আহতদেরকে জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় জেলা প্রশাসক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং নিহত প্রত্যেক পরিবারকে নগদ ১৫ হাজার টাকা করে প্রদান করেন।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়, জীবননগর দর্শনাগামী মহাসড়কের মনোহরপুর মোড় নামক স্থানে রবিবার সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে আন্দুলবাড়িয়া থেকে ছেড়ে আসা ট্রাকের সাথে বিপরীতমুখী যাত্রীবাহী বাসের সাথে ধাক্কা লাগে। এসময়
যাত্রীবাহী বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পার্শ্ববর্তী গাছের সাথে আবারও ধাক্কা লেগে বাসটির সামনে অংশ দুমড়ে মুচড়ে যায় এবং বাসের মধ্যে থাকা কমপক্ষে ১৫ যাত্রী আহত হন।

অপরদিকে একই দিন সন্ধ্যায় একই সড়কের উথলী মোল্লাবাড়ি নামক স্থানে যাত্রীবাহী বাস, যাত্রীবাহী সিএনজি ও ধান ভর্তি আলমসাধুর ত্রি-মুখী সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়। ভয়াবহ এ সংঘর্ষে স্বামী–স্ত্রীসহ ৪ জন ঘটনাস্থলেই নিহত হন ।

নিহতরা হচ্ছেন- দামুড়হুদা উপজেলার চন্দ্রবাস গ্রামের রবিউল (৩৫) ও তার স্ত্রী শ্যামলী খাতুন (৩০), মেহেরপুর বারাদী গ্রামের আলমসাধু চালক টিটু(৪৫) এবং মহেশপুর উপজেলার কল্লপাড়া গ্রামের ফেরির চাঁনের ছেলে উজ্জ্বল (২৭)।

ঘটনাস্থলে জীবননগর ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা দ্রুত পৌছান এবং স্থানীয় জনতার সহযোগীতায় নিহত ও আহতদের উদ্ধার কাজ পরিচালনা করে।

জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য পঃ পঃ কর্মকর্তা ডাক্তার রফিকুল ইসলাম বলেন, আহতদের মধ্যে শুধুমাত্র হিরক ও ইয়াকুবের উন্নত চিকিৎসার জন্য যশোর সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তবে অন্যান্য আহতদের আমাদের এখানেই চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব।

চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক গোপাল চন্দ্র দাস, পুলিশ সুপার মাহবুবুর রহমান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার সিরাজুল ইসলাম ও জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ গনি মিয়া ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

আহত হচ্ছেন- জীবননগর হাসাদহ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম রবি বিশ্বাস (৫৮), হাসাদহ এলাকার আমিরুল ইসলামের স্ত্রী পারভীন আক্তার (২৭) ও একই এলাকার মুনসুর আলীর ছেলে ছেলে আবেদ আলী (৩২), জীবননগর পৌর এলাকার রনি মিয়ার স্ত্রী তানিয়া (২৮), রাখাল ভোগা গ্রামের মুকুল চাঁদের ছেলে খবির
উদ্দিন (৪০), চন্দ্রবাসের রহিল উদ্দিনের ছেলে সামসুল আলম (৫০), ধোপাখালি গ্রামের মতেহার মিয়ার ছেলে হিরক (৩২) ও খালিশপুর এলাকার মহিউদ্দিনের ছেলে ইয়াকুব আলী (৪৫), জীবননগর পৌর এলাকার ইসালাপুর গ্রামের আদম আলীর ছেলে রেজাউল (২৫), মহেশপুর উপজেলার বাকসপোতা গ্রামের সহিদের ছেলে আকিজ (২০) ও
একই গ্রামের আমির হামজার (৪০),জীবননগর উপজেলার সন্তোষপুর গ্রামের রহিম (২৭)।

এদের মধ্যে হিরক ও ইয়াকুবের অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় তাদেরকে যশোর সদরহাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে। এছাড়াও অন্যান্য আহতদেরকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে বাড়ি পাঠানো হয়।

এব্যাপারে জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ গনি মিয়া ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ঘাতক বাস, ট্রাক, সিএনজি ও আলমসাধু আটক করে থানা হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।

তবে এঘটনায় এখনো কোনো মামলা হয়নি। 

Bootstrap Image Preview