Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৩ মঙ্গলবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১০ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

আমার সম্পর্কে ‘মি-টু’ বলে যে অভিযোগ তা সবৈর্ব মিথ্যা: আলী রীয়াজ

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২১ ডিসেম্বর ২০১৮, ০৪:২০ PM
আপডেট: ২১ ডিসেম্বর ২০১৮, ০৪:২০ PM

bdmorning Image Preview


বিশিষ্ট কলামিস্ট এবং যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয় স্টেট ইউনভার্সিটির সরকার ও রাজনীতি বিভাগের অধ্যাপক আলী রীয়াজের বিরুদ্ধে উঠা যৌন হয়রানির অভিযোগকে মিথ্যাচার বলে দাবি করছেন তিনি নিজেই। বৃহস্পতিবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে নিজের অ্যাকাউন্টে এ মিথ্যাচার বন্ধ করার জন্য সামিহা টুটলিকে আহ্বান জানান।

বুধবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) প্রাক্তন ছাত্রী সামিহা টুটলি তাঁর বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ আনেন। তিনি বতর্মানে কানাডায় থাকেন। বুধবার বাংলাদেশ সময় রাত ১১টার দিকে ফেসবুকে যৌন হয়রানি নিয়ে নিজের অভিজ্ঞতার কথা লিখেছেন তিনি। 

তার প্রেক্ষিতেই আজ  ‍বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় অধ্যাপক আলী রিয়াজ ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়ে বলেন, ‘মিথ্যচার বন্ধ করুন। আমার সম্পর্কে জনৈকা সামিহা তুতলি ‘মি-টু’ বলে যে অভিযোগ করেছে তা সবৈর্ব মিথ্যা। আমি সামিহা তুতলিকে চিনিনা, তাঁর সঙ্গে আমার কখনোই ফেসবুকে বা টেলিফোনে যোগাযোগ হয়নি, রাজশাহীতে আমার সঙ্গে তাঁর দেখা হবার প্রশ্নই ওঠে না। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের আয়োজিত আন্তর্জাতিক একটি সেমিনারে যোগ দেবার সময়ে আমি যখন রাজশাহীতে গিয়েছিলাম সে সময়ে সম্মেলনের উদ্যোক্তাদের নির্ধারিত হোটেলে আমি অবস্থান করেছি, কারো বাসায় যাইনি, থাকিনি।

তিনি আরো বলেন, ঐ পোস্টে উল্লেখিত অধ্যাপক আল-মামুন এই বিষয়ে সুস্পষ্টভাবে লিখেছেন ‘তিনি [অর্থাৎ আলী রীয়াজ] আমার বাসায় ছিলেন না। কখনো আসেনও নাই।’ অধ্যাপক মামুন তাঁর সঙ্গে আমার দেখা-সাক্ষাত-কথাবার্তা বিষয়ে বিস্তারিত লিখেছেন। তাছাড়া আরেকজন, বর্ষা জহীন লিখেছেন, ‘আপনি ঘটনার যে স্থান উল্লেখ করেছেন, আমি সেই স্থানের একজন অংশ। আমি ও আমার ও মামুনের বাড়িতে আপনাকে তো দূরের কথা আলী রিয়াজ স্যারকেও কোনোদিন দেখিনি’। এই বিষয়ে মেনন বলেছেন যে তিনি সামিহা তুতলিকে দেখেননি, আল মামুনের বাসায় যাননি।

প্রকৃতপক্ষে মেননের সঙ্গে আমার রাজশাহীতে যাবার আগে কেবলমাত্র এয়ারপোর্টে দেখা হয়, ফলে তাঁর সঙ্গে আগেই কোথাও যাবার পরিকল্পনা করার কোনো সুযোগ নেই। মেননের সঙ্গে আমার রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা বিভাগের আলোচনা সভার বাইরে আর দেখাই হয়নি। ফলে আশা করি সামিহা তুতলি অবিলম্বে এই ধরণের মিথ্যাচার বন্ধ করবেন। যারা না জেনেই অত্যুৎসাহের কারণে এই মিথ্যাচার প্রচার করছেন তাঁরা অবিলম্বে তা থেকে বিরত হবেন এবং সেজন্যে দুঃখপ্রকাশ করবেন বলে আমি আশা করি।’ 

Bootstrap Image Preview