১৯৭১ সালের এই ডিসেম্বর মাসেই পাক হানাদার বাহিনীর হাত থেকে দেশকে শত্রুমুক্ত করেছিলেন কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বীর প্রতীক। জন্মভূমি দেশকে ভালোবেসে ও দেশের টানে জীবন বাজি রেখে অস্ত্র হাতে রণাঙ্গণে ছুটে গিয়েছিলেন। সেই তিনিই কনকনে শীতের মধ্যে থানার সামনে বসে প্রতিবাদ জানান।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম-৫ (হাটহাজারী) আসনে ধানের শীষের প্রার্থী কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বীর প্রতীকের প্রধান নির্বাচনী সমন্বয়কারী শোয়েব মোর্শেদ ফারুকী আটক করেছে পুলিশ।
শোয়েব মোর্শেদ ফারুকীকে আটকের প্রতিবাদে থানার সামনে বসে বুধবার (১৯ ডিসেম্বর) রাত ৩টা পর্যন্ত তিনি প্রতিবাদ জানান।
এর আগে, বুধবার (১৯ ডিসেম্বর) রাত ১১টার দিকে চট্টগ্রামের হাটহাজারী পৌরসভার কামালপাড়া থেকে ফারুকীকে আটক করা হয়।
নিজের নির্বাচনের প্রধান সমন্বয়কারীকে আটকের খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে থানায় ছুটে যান কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বীর প্রতীক।
পরে ২০ দলীয় ঐক্যজোটের অন্যতম শরীক কল্যাণ পার্টি চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম তিনি থানার সামনে অবস্থান নেন। তীব্র শীতের কনকনে ঠান্ডার মধ্যেও রাত ৩টা পর্যন্ত থানার সামনে অবস্থান নিয়ে প্রতিবাদ জানান এই মুক্তিযোদ্ধা।
সূত্রে জানা গেছে, সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বীর প্রতীক রাত ১১টায় থানার মূল ফটকে অবস্থান নেন। তিনি থানার ওসির কাছে জানতে চান আমার সহকর্মীকে কেন আটক করা হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে গণমাধ্যমকর্মীদেরকে সৈয়দ ইবরাহিম বলেন, সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ছাড়া কাউকে গ্রেফতার না করার জন্য উচ্চ আদালতের নির্দেশ থাকার পরও পুলিশ তা উপেক্ষা করে চলছে। কোনো ধরনের মামলা ও অভিযোগ না থাকার পরও তার নির্বাচনের প্রধান সমন্বয়কারী শোয়েব মোর্শেদ ফারুকীকে আটক করেছে পুলিশ।