Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৪ বুধবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১১ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

‘লুঙ্গিবাহিনীর’ হামলায় বিএনপি প্রার্থীর ১০ কর্মী আহত

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৮ ডিসেম্বর ২০১৮, ১১:১৮ PM
আপডেট: ১৮ ডিসেম্বর ২০১৮, ১১:১৮ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত


রাজধানীর জুরাইন এলাকায় ধানের শীষের পক্ষে গণসংযোগের সময় ঢাকা-৪ আসনে বিএনপির প্রার্থী সালাহ উদ্দিন আহমেদসহ নেতাকর্মীদের ওপর লুঙ্গি পরিহিত কিছু যুবক হামলা চালিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে বলে জানা গেছে।এ হামলার ঘটনায় ১০ জন নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন বলে বিএনপি অভিযোগ করেছে।

এর আগে দয়াগঞ্জ এলাকা থেকে সকালে হাজারখানেক নেতা-কর্মী নিয়ে দিনের প্রচারণা শুরু করেন সালাহ উদ্দিন আহমেদ। এরপর দোলাইরপাড় নতুন সড়ক, কাজীপাড়া, মীরহাজীরবাগ এলাকায় গণসংযোগ শেষে গুমটিঘর এলাকায় যান তিনি। এ সময় তার বহরে হামলার ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুপুর ১২টার দিকে গেন্ডারিয়া, জুরাইনের গুমটিঘর এলাকায় অর্ধশতাধিক নেতা-কর্মী নিয়ে প্রচারপত্র বিলি করছিলেন সালাহ উদ্দিন আহমেদ। এ সময় লুঙ্গি পরা কিছু যুবক লাঠিসোঁটা নিয়ে অতর্কিতে গণসংযোগে হামলা করেন। পরে গেন্ডারিয়া থানা থেকে পুলিশ এলে পরিস্থিতি শান্ত হয়।

শ্যামপুর থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ৫১ নম্বর ওয়ার্ড কমিশনার কাজী হাবিবুর রহমান হাবুর লোকজন এ হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ করেন সালাহ উদ্দিন আহমেদ।

সালাহউদ্দিন আহমেদ জানান, সকালে দয়াগঞ্জ এলাকা থেকে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করেন তিনি। এ সময় হাজার খানেক নেতাকর্মী তার সঙ্গে ছিলেন। ধোলাইপাড় নতুন সড়ক পালপাড়, কাজীপাড়া, মীর হাজীরবাগ মাদ্রাসা রোড এলাকায় গণসংযোগ শেষে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ঘুণ্ডিঘর এলাকায় যান তিনি। সেখানে নেতাকর্মী ও সমর্থকদের সঙ্গে নিয়ে গণসংযোগ ও প্রচারপত্র বিলি করার সময় একদল যুবক এ হামলা চালায় বলে অভিযোগ করেন এই ধানের শীষ প্রার্থী।

তিনি বলেন, ‘অতর্কিতভাবে লুঙ্গিপড়া একদল যুবক লাঠিসোটা নিয়ে এ হামলা চালায়। এতে আমার সমর্থকদের মধ্যে বেশ কয়েকজন আহত হন। আমাদের গাড়ি বহরের দুটি গাড়ি ভাঙচুর করে তারা। পরে পুলিশ আসলে পরিস্থিতি শান্ত হয়।’

অভিযোগের বিষয়ে ডিএসসিসির ৫১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর কাজী হাবিবুর রহমান হাবুকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তার মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়।

হামলার অভিযোগ সম্পর্কে জানতে গেন্ডারিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি কাজী মিজানুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন ফোন রিসিভ করেননি।

Bootstrap Image Preview