Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৯ শুক্রবার, মার্চ ২০২৪ | ১৫ চৈত্র ১৪৩০ | ঢাকা, ২৫ °সে

আজব সিপিডির গুজব কাহিনী...

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৮ ডিসেম্বর ২০১৮, ০৫:০১ PM
আপডেট: ১৮ ডিসেম্বর ২০১৮, ০৫:০১ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত


গত দশ বছরে দেশে ব্যবসা বাণিজ্যের অনেক প্রসার ঘটেছে। আর তা হয়েছে দেশের বিভিন্ন সেক্টরে ব্যাপক উন্নতির জন্যই। চরম শত্রুরাও তা স্বীকার করে।

কিন্তু বিএনপি-জামাত, তাদের মদদপুষ্ট বুদ্ধিজীবীরা এবং বিদ্বেষপন্থী (পড়ুন বিদেশপন্থী) এনজিও সিপিডি বলছে দেশের ব্যাংক থেকে নাকি সাড়ে ২২ হাজার কোটি টাকা লোপাট হয়ে গেছে। কিভাবে হয়েছে, কই গেছে তা তারা বিস্তারিত বলেনি। নির্বাচনের আগে শেখ হাসিনার সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে দেবপ্রিয় মহাশয়রা একটা আজগুবি গল্প জাতির সামনে উপস্থাপন করে গেছেন।

যেকোনো দেশের ব্যবসা বাণিজ্যের প্রসারের ক্ষেত্রে ব্যাংকের ভূমিকা অপরিহার্য। গত দশ বছরে ব্যাংক থেকে সাড়ে ৮ লক্ষ কোটি টাকা ব্যবসায়ীদের ঋণ দেয়া হয়েছে, যা একটা নিয়মিত প্রক্রিয়া। ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে কিস্তিতে ঋণ ফেরত নেয়া - এটাও চলমান প্রক্রিয়া। সবাই যে সময়মতো কিস্তি পরিশোধ করে তা কিন্তু না। কিছু ব্যতিক্রমও ঘটে - এটাও নতুন কিছু না। যেমন, যেসব প্রার্থী এইবার ঋণখেলাপি থাকার কারণে নির্বাচন করতে পারেনি এরমধ্যে বিএনপি-জামাতেরই ৮০ শতাংশ।

যা বলছিলাম, গ্রাহকদের কাছ থেকে নিয়মিত কিস্তি উত্তোলন একটি চলমান প্রক্রিয়া। সেখানে সাড়ে ২২ হাজার কোটি টাকার কিস্তি অনিয়মিত। এমন না যে তারা টাকা মেরে দিয়ে পালিয়ে গেছে অথবা বিদেশে পাচার করে দিয়েছে।

যদি মোট ঋণ সাড়ে ৮ লাখ কোটি টাকার সাথে তুলনা করি তাহলে দেখা যাচ্ছে ৯৭.৫ শতাংশ নিয়মিত, অনিয়িমিত মাত্র ২.৫ শতাংশ টাকার কিস্তি উত্তোলন। কিন্তু বিএনপি-জামাতপন্থী সুশীল এবং সিপিডি এমনভাবে বিষয়গুলো উপস্থাপন করছে মনে হচ্ছে লোকজন এসে ব্যাংকের বোল্ট খুলে সাড়ে ২২ হাজার কোটি টাকা চুরি/ডাকাতি করে নিয়ে গেছে।

তাদের জানা উচিত মন্দ ঋণ মানে কিন্তু লুটপাট না, এটাও চলমান প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়েই সমাধান হয়। বাংলা ভাষায় অনেকগুলো শব্দ আছে। যেমন : গায়েব, লোপাট, তসরুফ, খেলাপি - এইগুলোর পার্থক্য না বুঝেই গুলিয়ে ফেললেই জাতি বিভ্রান্ত হয়।

লেখক: আশরাফুল আলম খোকন, প্রধানমন্ত্রীর উপপ্রেস সচিব

(ফেসবুক থেকে সংগৃহীত)

Bootstrap Image Preview