একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়ী হয়ে তৃতীয় মেয়াদের মতো সরকার গঠনের লক্ষ্য নিয়ে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ইশতেহার ঘোষোণা করছে আওয়ামী লীগ।
মঙ্গলবার রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁয়ের বলরুমে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ ইশতেহার ঘোষণা শুরু করেন।সমৃদ্ধির অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশ’ গ্লোগান নিয়ে এই ইশতেহারে ২১ বিশেষ অঙ্গীকারকে প্রাধান্য দিচ্ছে আওয়ামী লীগ।
ইশতেহারে উল্লেখ করা ২১টি বিশেষ অঙ্গীকারের ভেতর প্রতিটি গ্রামে আধুনিক নগর সুবিধা দেওয়া, তরুণ-যুবসমাজকে দক্ষ জনশক্তিতে রূপান্তর ও কর্মসংস্থানের নিশ্চয়তা, দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্সের (শূন্য সহিষ্ণুতা) নীতি গ্রহণ অন্যতম।
এ ইশতেহারে নারীদের জন্য বিশেষ অঙ্গীকার হিসেবে থাকছে নারীর ক্ষমতা, লিঙ্গ সমতা ও শিশু কল্যাণ। এছাড়া আছে পুষ্টিকর ও নিরাপদ খাদ্যের নিশ্চয়তার অঙ্গীকার, সন্ত্রাস, সাম্প্রদায়িকতা, জঙ্গিবাদের পাশাপাশি মাদক নির্মূল করার অঙ্গীকার।
এই সরকার পদ্মা সেতু, ঢাকায় মেট্রোরেলসহ বেশ কয়েকটি মেগা প্রকল্প হাতে নিয়েছে। এসব মেগা প্রকল্পের দ্রুত ও মানসম্মত বাস্তবায়ন করতে চায় আগামী পাঁচ বছরে।
গণতন্ত্র ও আইনের শাসন সুদৃঢ় করা, দারিদ্র্য নির্মূল, সকল স্তরে শিক্ষার মান বৃদ্ধি, সরকারি ও বেসরকারি বিনিয়োগ বৃদ্ধি, সকলের জন্য মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবার নিশ্চয়তা, সার্বিক উন্নয়নে ডিজিটাল প্রযুক্তির অধিকতর ব্যবহার এবং বিদ্যুৎ ও জ্বালানি নিরাপত্তার নিশ্চয়তার অঙ্গীকার করবে আওয়ামী লীগ।
দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতার দাবি করে ৬৯ বছরের পুরোনো এই দলটি। এবার তাদের অঙ্গীকার আধুনিক কৃষি ব্যবস্থা সম্প্রসারণ। যার লক্ষ্য হবে কৃষির যান্ত্রিকীকরণ। পাশাপাশি অঙ্গীকারে থাকছে দক্ষ ও সেবামুখী জনপ্রশাসন, জনবান্ধব আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থার কথা।
গত ১০ বছরে দুই দফায় মিয়ানমার ও ভারতের সঙ্গে সমুদ্রসীমা সংক্রান্ত দুটি আন্তর্জাতিক সালিশিতে সাফল্য অর্জন করে সরকার। ব্লু-ইকোনমি এবং সমুদ্র উন্নয়ন থাকছে আগামীর অঙ্গীকার।
নিরাপদ সড়কের দাবিতে রাজধানীতে শিশুকিশোরদের আন্দোলন হয় এ বছরই। নির্বাচনী ইশতেহারে নিরাপদ সড়কের নিশ্চয়তার অঙ্গীকার করছে দলটি।
এ ছাড়া প্রবীণ, প্রতিবন্ধী ও অটিস্টিকদের কল্যাণ অন্যতম অঙ্গীকার। ২১টি বিশেষ অঙ্গীকারের শেষটি হলো, টেকসই ও অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন আর সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠন।