সাতক্ষীরা জেলার তালা উপজেলার রেজওয়ান খানের ঐতিহাসিক জমিদার বাড়ি জরাজীর্ণ অবস্থায় আছে। সংস্কার ও তদারকির অভাবে আজ ধ্বংসের পথে জমিদার বাড়িটি।
উপজেলার তেতুলিয়ার কবি সিকান্দার আবু জাফর সড়কের পাশে তেতুলিয়া শাহী মসজিদ থেকে ৩০ গজ সামনের দিকে এগিয়ে গেলেই দেখা মিলবে পুরাতন এই জমিদার বাড়ি। বাড়িতে এখন বংশ পরাম্পরায় ব্যবহৃত হয়ে আসছে।
বাড়ির দেখভালের দায়িত্বে থাকা গৃহিণী জান্নাতুল জানান, এই জমিদার বাড়ি ১৮১৪-১৮১৫ জমিদার রেজওয়ান খান প্রতিষ্ঠা করেছিলেন এবং এটি তেতুলিয়া শাহী মসজিদের সময়কার। এই বাড়িতে উনার আগে উনার শ্বশুর, তার আগে তার শ্বশুরের বাপ দাদাও নাকি বসবাস করেছিলেন।
তিনি জানান, বর্তমানে এটি জরাজীর্ন অবস্থায় আছে। তবুও সে পুরানো স্মৃতি হিসেবে কয়েকটা ঘরের দেওয়াল এবং সামনে প্রবেশদ্বার অক্ষত রয়েছে।
অসাধারণ কারুকাজই বলে দেয় পুরাতন জমিদার কিংবা রাজা বাদশাদের রুচি কতটা মানসম্মত ছিল। জমিদার বাড়ির পিছনের দিকে একটা পুকুর রয়েছে, তারও অবস্থা বর্তমানে করুণ।
জমিদার বাড়ি থেকে আরো কিছুদূর সামনে (১২০-১৩০) গজ এগিয়ে গেলেই বামে একটা রাস্তা পাওয়া যায়। সেই রাস্তা ধরে এগিয়ে গেলে একটা মসজিদ চোখে পড়ে। স্থানীয়দের কাছে এটি ভাংগা মসজিদ নামে পরিচিত। এটির তেতুলিয়ার ভিতরে সব থেকে পুরাতন মসজিদ স্থানীয়দের মতে এটি তেতুলিয়া শাহী মসজিদ তৈরীর আগে তৈরি হয়েছে। তাই এটি পুরাতন তেতুলিয়া শাহী মসজিত নামে ও পরিচিত।
এই মসজিদটি এক গম্বুজবিশিষ্ট মসজিদ ছিল। বর্তমানে সেই গম্বুজটি না থাকলেও এটির ভিতরে এখনো এলাকার মুসলিমগণ নামাজ আদায় করে থাকেন। এই মসজিদটির প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন কাজী নাজিবুল্লাহ খান।
সাতক্ষীরা জেলা অত্যন্ত সমৃদ্ধে ভরপুর। কিন্তু নেই এসবের সংরক্ষণের কোন ব্যবস্থা। এভাবে আস্তে আস্তে বিলিন হতে চলেছে আমাদের ইতিহাস ঐতিহ্যগুলো। এগুলো সংরক্ষণ না করা গেলে হয়ত আমরা হারাব কালের সাক্ষী। তালা উপজেলাবাসীর দাবি এগুলো সংরক্ষণ করা।