Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৯ শুক্রবার, মার্চ ২০২৪ | ১৫ চৈত্র ১৪৩০ | ঢাকা, ২৫ °সে

মজলুম জননেতার ১৩৮তম জন্মবার্ষিকী আজ

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ১২ ডিসেম্বর ২০১৮, ১০:৪০ AM
আপডেট: ১২ ডিসেম্বর ২০১৮, ১০:৪০ AM

bdmorning Image Preview
ছবি সংগৃহীত


আওয়ামী মুসলিম লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও মজলুম জননেতা মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর ১৩৮তম জন্মবার্ষিকী।

তিনি ১৮৮০ সালের এই দিনে সিরাজগঞ্জের ধানগড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। সিরাজগঞ্জে তার জন্ম হলেও জীবনের বেশিরভাগ সময় তিনি টাঙ্গাইলে অতিবাহিত করেন। টাঙ্গাইলের সন্তোষে চিরনিদ্রায় শায়িত আছেন তিনি। সন্তোষে তার নামে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।

মওলানা ভাসানীর পিতার নাম হাজী শারাফত আলী। তার ডাক নাম ছিল চেগা মিয়া। ১৮৯৭ সালে পীর সৈয়দ নাসিরুদ্দীনের সঙ্গে তিনি আসাম যান। ১৯০৩ সালে সন্ত্রাসবাদী আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত হন। ইসলামিক শিক্ষার উদ্দেশ্যে ১৯০৭ সালে দেওবন্দ যান। দুই বছর সেখানে অধ্যয়ন করে আসামে ফিরে আসেন।

১৯১৭ সালে দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশ ময়মনসিংহ সফরে গেলে তার ভাষণ শুনে ভাসানী অনুপ্রাণিত হন। ১৯১৯ সালে কংগ্রেসে যোগদান করে খেলাফত আন্দোলন ও অসহযোগ আন্দোলনে অংশগ্রহণ করে ১০ মাস কারাভোগ করেন।

১৯২৩ সালে দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন স্বরাজ্য পার্টি গঠন করলে ভাসানী সেই দল সংগঠিত করার ব্যাপারে ভূমিকা পালন করেন। ১৯২৬ সালে আসামে প্রথম কৃষক-প্রজা আন্দোলনের সূত্রপাত ঘটান। ১৯২৯-এ আসামের ধুবড়ী জেলার ব্রহ্মপুত্র নদের ভাসানচরে প্রথম কৃষক সম্মেলন আয়োজন করেন। এখান থেকে তার নামের সাথে যুক্ত হয় ‘ভাসানী’।

ভাসানী ছিলেন বিংশশতকী ব্রিটিশ ভারতের অন্যতম তৃণমূল রাজনীতিবিদ ও গণআন্দোলনের নায়ক, যিনি জীবদ্দশায় ১৯৪৭-এ সৃষ্ট পাকিস্তান ও ১৯৭১-এ প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশের রাজনীতিতে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন।

বাংলাদেশের মানুষের কাছে ‘মজলুম জননেতা’ হিসাবে সমধিক পরিচিত তিনি। ১৯৫৪ সালের নির্বাচনে যুক্তফ্রন্ট গঠনকারী প্রধান নেতাদের মধ্যে অন্যতম। স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় বিশেষ ভূমিকা পালন করেন।

১৯৭৬ সালের ১৭ নভেম্বর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এই দেশবরেণ্য নেতা মৃত্যুবরণ করেন। তাকে টাঙ্গাইলের সন্তোষে দাফন করা হয়।

কর্মসূচি

মজলুম জননেতা মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর ১৩৮তম জন্মবার্ষিকী যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করা হবে। এ উপলক্ষে মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। কর্মসূচির মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো. আলাউদ্দিন এর নেতৃত্বে শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শিক্ষার্থীবৃন্দ সকাল ৯.১৫ মিনিটে বিশ্ববিদ্যালয়ের  মাওলানা ভাসানীর মাজারে পুস্পস্তবক অর্পণ ও মাজার জিয়ারত।

এছাড়া বাদ যোহর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে তার রূহের মাগফিরাত কামনা করে দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হবে।

Bootstrap Image Preview