Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৮ বৃহস্পতিবার, মার্চ ২০২৪ | ১৪ চৈত্র ১৪৩০ | ঢাকা, ২৫ °সে

মানবাধিকার সুরক্ষায় সবাইকে কার্যকর ভূমিকা রাখতে প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ১০ ডিসেম্বর ২০১৮, ০১:১৫ PM
আপডেট: ১০ ডিসেম্বর ২০১৮, ০১:১৫ PM

bdmorning Image Preview
ফাইল ছবি


সরকারের পাশাপাশি মানবাধিকার সুরক্ষার কাজে নিয়োজিত বেসরকারি ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সংস্থা, উন্নয়ন সহযোগী, গবেষণা প্রতিষ্ঠান, সিভিল সোসাইটি, গণমাধ্যম, মালিক ও শ্রমিক সংগঠনসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে আরও কার্যকর ভূমিকা পালনের আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রী আগামীকাল ১০ ডিসেম্বর বিশ্ব মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে রবিবার দেওয়া এক বাণীতে এ আহ্বান জানান। তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার দেশের জনগণের মানবাধিকার সুরক্ষায় বদ্ধপরিকর।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি সরকারের পাশাপাশি মানবাধিকার সুরক্ষার কাজে নিয়োজিত বেসরকারি ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সংস্থা, উন্নয়ন সহযোগী, গবেষণা প্রতিষ্ঠান, সিভিল সোসাইটি, গণমাধ্যম, মালিক ও শ্রমিক সংগঠনসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে আরও কার্যকর ভূমিকা পালনের জন্য আহ্বান জানাই’।

তিনি বলেন, ‘মানবাধিকার উন্নয়ন ও সুরক্ষার অঙ্গীকারের প্রতিফলন স্বরূপ আমরা ২০০৯ সালে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন আইন প্রণয়ন করি। আমাদের সরকার ইতোমধ্যে কমিশনকে ৪৮ জন জনবল প্রদান করেছে এবং আরও ৪০ জন জনবল প্রদানের বিষয়টি চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। কমিশনকে আরও শক্তিশালী করতে বাজেটে বরাদ্দ বৃদ্ধি করা হয়েছে।’

আওয়ামী লীগের সভানেত্রী বলেন, বাংলাদেশ ২০১৮ সালে জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিলের সদস্য নির্বাচিত হয়েছে। এ নিয়ে আওয়ামী লীগ সরকারের সময় বাংলাদেশ ৩ বার এ সদস্য পদে বিজয়ী হয়েছে। বাংলাদেশ মানবাধিকার সুরক্ষার লক্ষ্যে শ্রমিক, শিশু, নারী, প্রতিবন্ধীর অধিকার কনভেনশনসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক দলিল স্বাক্ষর ও অনুসমর্থন করেছে। শ্রমিক অধিকার সুরক্ষার পথ আরও সহজ করার লক্ষ্যে এ বছর ‘শ্রম (সংশোধন) বিল-২০১৮’ পাস করা হয়েছে।

তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আজীবন বঞ্চিত মানুষের অধিকার আদায়ে এবং মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় কাজ করে গেছেন। তিনি শোষণ-বঞ্চনামুক্ত বাংলাদেশ গড়তে চেয়েছিলেন; যেখানে প্রতিটি মানুষ তার মানবিক মর্যাদা, সাম্য ও ন্যায়বিচারের নিশ্চয়তা লাভ করবে।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বলেছিলেন, “বিশ্ব আজ দু’ভাগে বিভক্ত, একদিকে শোষক, আরেকদিকে শোষিত- আমি শোষিতের পক্ষে”। তাঁর নেতৃত্বে ১৯৭২ সালে প্রণীত বাংলাদেশের সংবিধানে গণতন্ত্র ও মানবাধিকারকে রাষ্ট্র পরিচালনার অন্যতম মূলনীতি হিসেবে গ্রহণ করা হয়।’

প্রধানমন্ত্রী বিশ্ব মানবাধিকার দিবস পালন উপলক্ষে বাংলাদেশসহ বিশ্বের সব মানুষকে আন্তরিক শুভেচ্ছা এবং ‘বিশ্ব মানবাধিকার দিবস ২০১৮’- এর সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।

Bootstrap Image Preview