Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৯ শুক্রবার, মার্চ ২০২৪ | ১৪ চৈত্র ১৪৩০ | ঢাকা, ২৫ °সে

সালমানের বিরুদ্ধে শাস্তির প্রস্তাব উত্থাপন করেছে মার্কিন সিনেটররা

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৭ ডিসেম্বর ২০১৮, ০৮:২৫ PM
আপডেট: ০৭ ডিসেম্বর ২০১৮, ০৮:২৫ PM

bdmorning Image Preview


সৌদি সাংবাদিক জামাল খাসোগি হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকায় যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের (এমবিএস) বিরুদ্ধে শাস্তির প্রস্তাব উত্থাপন করেছে মার্কিন সিনেটেররা। যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসে এ প্রস্তাবনা তুলেছেন রিপাবলিকান ও ডেমোক্রেটিক পার্টির শীর্ষ ৬ সিনেটরের একটি দল।

খাসোগির হত্যাকাণ্ড নিয়ে সিআইএ প্রধান জিনা হাসপালের ব্রিফিং শোনার পর বুধবার যুবরাজের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের এ পদক্ষেপ নেন তারা। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার সকালে এ প্রস্তাবনা নিয়ে আলোচনায় বসেন সিনেটররা।

এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত (রাত ৮.৩০) ভোটাভুটি কবে হবে তা নির্ধারিত হয়নি।

যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স এজেন্সির (সিআইএ) পরিচালক জিনা হাসপেল মঙ্গলবার সিনেটরদের খাসোগি হত্যার ব্রিফিং করেন। ঘটনা শোনার পর সৌদি যুবরাজকেই প্রধান চক্রান্তকারী বলে উল্লেখ করেন সিনেটররা।

তির্যক বক্তব্যে রিপাবলিকান সিনেটর লিন্ডসে গ্রাহাম জানান, তিনি অনেক বেশি নিশ্চিত যে, মোহাম্মদ বিন সালমানই খাসোগি হত্যায় জড়িত। দক্ষিণ ক্যারোলিনার এ সিনেটর বলেন, সৌদি যুবরাজ একজন বিধ্বংসী গোলা, উন্মাদ ও বিপজ্জনক। এ কাজটি যুবরাজের কমান্ড ও তার অধীনে থাকা লোকজনের পরিকল্পনায় সংঘটিত হয়েছে। যদিও ট্রাম্প বলে আসছেন, এ হত্যাকাণ্ডে যুবরাজ দায়ী নন।

যুবরাজ সালমানের বিরুদ্ধে শাস্তির এ প্রস্তাব উত্থাপন করেছেন সিনেটর লিন্ডসে গ্রাহাম, ক্যালিফোর্নিয়ার সিনেটর ডায়ানে ফেইন্সটেইন (ডেমোক্রেটিক), ফ্লোরিডার মার্কো রুবিও, ম্যাসাচুসেটসের এড মার্কি (ডেমোক্রেটিক), ইন্ডিয়ানার টোড ইয়াং ও ডিলাওয়ারের ক্রিস্টোফার কনস (ডেমোক্রেটিক)।

যদি এ প্রস্তাবনা পাস হয় তবে যুবরাজের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক নিন্দা প্রকাশ করা হবে। প্রস্তাবনাটি পাসের জন্য ভোটাভুটির নির্দিষ্ট সময় এখনও ঠিক হয়নি। এ মাসের মধ্যে এটি সম্পন্ন হতে পারে বলে জানিয়েছে এবিসি নিউজ।

প্রস্তাবনাটি বাধ্যতামূলক নয়। তবে এর মাধ্যমে ইস্তাম্বুলের কনস্যুলেটের ভেতরে খাসোগি হত্যার দায় যুবরাজের ওপর চাপানোর সুযোগ পাবে সিনেট। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেওর যুবরাজকে দোষারোপ না করার নীতির বিরুদ্ধে তা হবে শক্ত চপেটাঘাত।

রেজুলেশনে খাসোগি হত্যা ছাড়াও ইয়েমেন যুদ্ধে হাজার হাজার বেসামরিক নাগরিক হত্যার দায় যুবরাজের ওপর চাপানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। প্রস্তাবনায় আরও রয়েছে, গত বছরের জুন থেকে কাতারের ওপর আরোপিত সৌদি জোটের অবরোধ নিরসনের আহ্বান।

এ ছাড়া ব্লাগার রাইফ বাদায়ি, নারী অধিকারকর্মী ও সৌদির অন্য রাজবন্দিদের মুক্তি দাবি করেছে সিনেটরদের ওই দলটি। প্রস্তাব বিষয়ে সাবেক মার্কিন কূটনীতিক বলেন, সৌদি যুবরাজের লাগামছাড়া প্রভাবের রশি টেনে ধরতে চাইছে সিনেট।

যুক্তরাষ্ট্রে ফিরলেন সৌদি রাষ্ট্রদূত খালিদ : সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের ছোট ভাই খালিদ বিন সালমান রাষ্ট্রদূত হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রে ফিরেছেন। এনবিসি নিউজ জানায়, ২ অক্টোবর খাসোগি হত্যাকাণ্ডের কিছুদিন পরই যুক্তরাষ্ট্র থেকে রিয়াদ চলে যান খালিদ।

খাসোগি হত্যাকাণ্ডে তার জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। ওয়াশিংটন পোস্টের দাবি, খাসোগিকে তুরস্কের ইস্তাম্বুল দূতাবাসে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন খালিদ। পরে তিনি এ অভিযোগ অস্বীকার করেন। বুধবার সকালে ওয়াশিংটনের ডুলেস আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান খালিদ।

Bootstrap Image Preview