‘পাইলট’ প্রধানমন্ত্রী! প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কি পাইলট হয়ে গিয়েছেন? তবে তা না হলেও কিছুটা সময় ড্রিমলাইনার উড়োজাহাজ ‘হংসবলাকার’ পাইলটের আসনে বসে ছিলেন প্রধানমন্ত্রী।
আজ (বুধবার) দুপুরে হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরে ভিভিআইপি টার্মিনালের টারমার্কে বোয়িং ৭৮৭-৮ মডেলের দ্বিতীয় ড্রিমলাইনার উড়োজাহাজটি উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। উদ্বোধন শেষে তিনি বিমানটির ভেতরে পরিদর্শন করেন। খানিকক্ষণ বসেন পাইলটের আসনেও।
এসময় শেখ হাসিনা ২৭১ আসনের এ উড়োজাহাজটিতে উঠে ককপিটসহ বিভিন্ন অংশ ঘুরে দেখেন।
ড্রিমলাইনার ঘণ্টায় ৬৫০ কিলোমিটার বেগে উড়তে সক্ষম। উড়োজাহাজের শব্দ কমাতে ইঞ্জিনের সঙ্গে শেভরন প্রযুক্তি যুক্ত রয়েছে। বিমানটি নিয়ন্ত্রিত হবে ইলেকট্রিক ফ্লাইট সিস্টেমে। কম্পোজিট ম্যাটেরিয়াল দিয়ে তৈরি হওয়ায় বিমান ওজনে হালকা।
ভূমি থেকে বিমানটির উচ্চতা ৫৬ ফুট। দুটি পাখার আয়তন ১৯৭ ফুট। এর মোট ওজন ১ লাখ ১৭ হাজার ৬১৭ কিলোগ্রাম, যা ২৯টি হাতির সমান! এর ককপিট থেকে টেল (লেজ) পর্যন্ত ২৩ লাখ যন্ত্রাংশ রয়েছে।
২৭১টি আসনের মধ্যে বিজনেস ক্লাস ২৪টি আর ২৪৭টি ইকোনমি ক্লাস। বিজনেস ক্লাসে ২৪টি আসন ১৮০ ডিগ্রি পর্যন্ত সম্পূর্ণ ফ্ল্যাটবেড সুবিধাযুক্ত। এছাড়াও এতে যাত্রীদের জন্য রয়েছে ওয়াইফাই সুবিধা এবং আকাশে উড্ডয়নকালীন ফোন কল করা যাবে।
২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর মাসে ‘গাঙচিল’ ও ‘রাজহংস’ নামের আরও দুটি বিমান ড্রিমলাইন বহরে যুক্ত হবে বলে জানা গেছে।
হংসবলাকা বিমানসহ দেশের বাংলাদেশ বিমানবহরে উড়োজাহাজের সংখ্যা হলো ১৫টি। এটি ড্রিমলাইনারের দ্বিতীয় বোয়িং। এর আগে গত ১৯ আগস্ট প্রথম ড্রিমলাইনার 'আকাশবীণা' ঢাকায় আসে।
উল্লেখ্য, বোয়িং ৭৮৭-৮ মডেলের দ্বিতীয় ড্রিমলাইনার উড়োজাহাজটির নাম হংসবলাকা প্রধানমন্ত্রী নিজেই রেখেছেন।
গত মাসের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আগামী ১০ ডিসেম্বর থেকে হংসবলাকা আকাশে উড়বে। ওই দিন থেকে ২৭১ আসনের এই ড্রিমলাইনারে ঢাকা-লন্ডন রুটে সপ্তাহে ৬টি, ঢাকা-দাম্মাম রুটে সপ্তাহে ৪টি এবং ঢাকা-ব্যাংকক রুটে সপ্তাহে ৩টি ফ্লাইট পরিচালনা করা হবে।