Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৯ শুক্রবার, মার্চ ২০২৪ | ১৪ চৈত্র ১৪৩০ | ঢাকা, ২৫ °সে

আলু চাষে কর্মব্যস্ত সময় পার করছে সিরাজদিখানে কৃষকরা

আব্দুল্লাহ আল মাসুদ, সিরাজদিখান (মুন্সীগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ 
প্রকাশিত: ০৪ ডিসেম্বর ২০১৮, ০৭:০৫ PM
আপডেট: ০৪ ডিসেম্বর ২০১৮, ০৭:০৫ PM

bdmorning Image Preview


দেশের বৃহত্তম আলু উৎপাদনকারী অঞ্চল মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে গোটা জনপদ এখন কর্মযোগ্যে ব্যস্ত। উপজেলার ১৪ টি ইউনিয়নে এখন চলছে শেষ মুহুর্তে আলুর আবাদ। কৃষকরা এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন। বাড়িতে নারীরাও বীজ আলু কাটার কাজে ব্যস্ত।

আগামী এক মাস ধরে আলুর আবাদ চলবে। এ বছর আলুর ভালো ফলন ও আলু চাষে লাভবান হওয়ায় উপজেলার কৃষকরা এবার বেশ উদ্দীপনা ও উৎসাহ নিয়ে আলু চাষ করছেন। 

আলু উত্তোলন শুরু হবে আগামী মার্চ মাসের প্রথম সপ্তাহে। আলু রোপনের পর তা পরিপূর্ণ হয়ে উঠতে সময় লাগে তিন মাস। আলু আবাদে উপজেলার কৃষকদের সহায়তা করেন, বাড়ির নারীরাও। তারা বীজ আলু কেটে দিচ্ছেন। আলু কাটার পর শ্রমিকরা তা জমিতে নিয়ে রোপণ করছেন। বর্তমানে বাজারে আলুর চড়া দাম। বীজ আলু কাটার পর অবশিষ্ট কাটা আলু ব্যবসায়ীরা বাড়িতে গিয়ে ৯-১০ টাকা কেজি দরে কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। আলুর দাম বেশি হওয়ায় কৃষকদের মধ্যে উদ্দীপনা লক্ষ্য করা গেছে।

উপজেলার কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, আলু রোপণের আদর্শ সময় নভেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে ২৫ দিন পর্যন্ত। গত বছর আলু চাষ হয়েছে ৯ হাজার ৪ শত ৫০ হেক্টর জমিতে। এবছর ৯ হাজার ২০০ শত হেক্টর জমিতে আলুচাষ হতে পারে। গত বছরের তুলনায় ২ শত পঞ্চাশ হেক্টর জমি আলু চাষ কম হবে।

উপজেলার বয়রাগাদী ইউনিয়নের  কৃষক মো. ইয়াসিন বলেন, আমি ৭ কানি জমি আলু চাষ করছি। গত ৩ বছর ধরে আলুর দাম কম থাকায় আমার প্রায় ১০ লাখ টাকার মত লোকশান হয়েছে। এখন আর আলুর উপর ভরসা করা যায় না। কি চাষ করবো তা নিয়ে চিন্তা করে পাই না।

উপজেলার কৃষি কর্মকতা সুবোধ চন্দ্র রায় বলেন, বাংলাদেশে এখন আলুর চাহিদার চেয়ে উৎপাদন বেশি রয়েছে। এখন আমরা কৃষকদেরকে আলুর পাশাপাশি অন্যান্য ফসল ও সবজি আবাদ করার জন্য পরামর্শ দিচ্ছি। এখানে একটি সবজির কোল্ড স্টোরেজ থাকলে সবজি আবাদে কৃষকরা আরো উৎসাহিত হতো।
 

Bootstrap Image Preview