দেশে-বিদেশে আন্তর্জাতিক চোরাকারবারীদের নেটওয়ার্ক রয়েছে। এই সব চোরাকারবাদীরা সাধারণতো সব চেয়ে বেশি ব্যবহার করে বিমানবন্দর। স্বর্ণ ও মাদক পাচারে বিমানবন্দরের ফাঁকফোকর ব্যবহার করে তারা।
কলকাতা বিমানবন্দরে এমন চত্রের তিন সদস্যকে গ্রেফতার করেছে দেশটির ডিরেক্টরেট অব রেভিনিউ ইন্টেলিজেন্সের (ডিআরআই) সদস্যরা। গ্রেফতারকৃতদের থেকে চোরাচালানীর চমকপ্রদ তথ্য পেয়েছে ডিআরআই।
আনন্দবাজার পত্রিকার খবরে বলা হয়েছে, গ্রেফতকৃতদের কাছে নগদ ৮০ হাজার ডলার (প্রায় ৬০ লাখ টাকা) উদ্ধার করা হয়েছে। পাচার হয়ে ভারতে আসা স্বর্ণ ও মাদকের মূল্য হিসেবে ৮০ হাজার ডলার পরিশোধ করতে বিমানবন্দরে গিয়েছিল তারা।
পুলিশ জানিয়েছে, কলকাতা বিমানবন্দর থেকে যারা বিমানের যাত্রী হন তাদের দেহ তল্লাশি শেষে নিরাপত্তা বেষ্টনীতে প্রবেশ করানো হয়। নিরাপত্তা বেষ্টনীতে প্রবেশের পর আর তল্লাশি করা হয় না।
অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক বিমানের জন্য আলাদা দুটি নিরাপত্তা বেষ্টনী। এই দুটির মধ্যে একটি কাচের দরজা রয়েছে। যেটি লোহার চেন দিয়ে তালা লাগানো থাকে। পাচারকারীরা ওই দরজাটিকে ব্যবহার করেন।
দরজার দুই অংশের মাঝে যে ফাঁকা যায়গা রয়েছে সেখান কোটি কোটি টাকা মূল্যের ডলার পাচার করে চোরাকারবারীরা। দরজায় চেন দিয়ে তালা লাগানো থাকায় সেটির দুই অংশের মধ্যে সামান্য ফাঁকা থাকে। সেই ফাঁকা দিয়ে ডলার ঢুকিয়ে দিলে অন্য পাশ থেকে তা তুলে নেয় আরেকজন; যাকে আন্তর্জাতিক রুটের জন্য ইতিমধ্যেই তল্লাশি করে নিরাপত্তা বেষ্টনীর মধ্যে নেয়া হয়েছে।
গত কয়েক মাসে এভাবে কয়েক কোটি ডলার পাচার হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। পাচার হওয়া বেশিরভাগ অর্থ ব্যাংকে পাঠানো হয়েছে।