আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে চিনির দাম বাড়বে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
মঙ্গলবার পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের এন ই সি সম্মেলন কক্ষে এক সাংবাদিক সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।
মন্ত্রী বলেন, চলতি মাসে জাতীয় সংসদ নির্বাচন। এই সময় প্রার্থীরা চা খাওয়ায় নানা পেশার মানুষকে। সেই সুবাধে চিনির দাম বাড়তে পারে।
মন্ত্রী নভেম্বর ২০১৮ মাসের মূল্যস্ফীতি সম্পর্কে সাংবাদিক সম্মেলন করেন।
তিনি বলেন, নভেম্বর মাসের মূল্যস্ফীতি কমেছে ৩ শতাংশ। অক্টোবর মাসে ছিল ৫ দশমিক ৪০ শতাংশ এটি নভেম্বর মাসে হয়েছে ৫ দশমিক ৩৭ শতাংশ। সে হিসেবে মূল্যস্ফীতি কমেছে ৩ শতাংশ। ২০১৭ সালের নভেম্বর মাসে মূল্যস্ফীতি ছিল ৫ দশমিক ৯১ শতাংশ আর চলতি বছর হয়েছে ৫ দশমিক ৩৭ শতাংশ। সে হিসেবে মূল্যস্ফীতি কমেছে ৫৪ শতাংশ।
মন্ত্রী বলেন, জাতীয় পর্যায়ে সাধারণ পয়েন্ট টু পয়েন্ট ভিত্তিতে নভেম্বর ২০১৮ তে খাদ্য ও খাদ্য বহির্ভূত উপ-খাতে মূল্যস্ফীতি হয়েছে যথাক্রমে শতকরা ৫ দশমিক ২৯ ও ৫ দশমিক ৪৯ ভাগ। অক্টোবরে ছিল ৫ দশমিক ০৮ ও ৫ দশমিক ৯০ ভাগ।
গ্রামীণ পর্যায়ে সাধারণ পয়েন্ট টু পয়েন্ট ভিত্তিতে মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৪ দশমিক ৯১ ভাগ। এটি অক্টোবরে ছিল ৪ দশমিক ৮৭ ভাগ। নভেম্বর ২০১৮ তে খাদ্য ও খাদ্য বহির্ভূত উপ-খাতে মূল্যস্ফীতি হয়েছে যথাক্রমে ৪ দশমিক ৮৪ ও ৫ দশমিক ০৬ ভাগ।
আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, মূল্যস্ফীতি হ্রাস-বৃদ্ধির পর্যালোচনায় দেখা গেছে চাল, ডাল, ডিম, মসলা জাতীয় দ্রব্যের মূল্য নভেম্বরে হ্রাস পেয়েছে। তা ছাড়া পরিধেয় বস্ত্র, বাড়ি ভাড়া এবং বিদ্যুৎ, চিকিৎসাসেবা, পরিবহবন, শিক্ষা উপকরণ উপ-খাতের কিছু দ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে।
মূল্যস্ফীতি সম্পর্কে তিনি বলেন, বাজারে সব ধরনের চাহিদার বিপরীতে আমাদের সরবরাহ ভালো ছিল ফলে মূল্য হ্রাস পেয়েছে।
এক বছরের তুলনা করে তিনি বলেন, গত বছর ১০০ গ্রাম কাঁচামরিচের দাম ছিল ১০টাকা এখন সেটি ৮ টাকা। কুমড়ার কেজি ছিল গত বছরে ৬০ টাকা এখন ৫০ টাকা। চিনি ছিল ৬৪ টাকা এখন ৪৮ টাকা।