Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৫ বৃহস্পতিবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১২ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

বাহরাইনের পার্লামেন্ট নির্বাচনে রেকর্ডসংখ্যক নারী প্রার্থীর জয়লাভ

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৩ ডিসেম্বর ২০১৮, ০৯:৫৪ PM
আপডেট: ০৩ ডিসেম্বর ২০১৮, ০৯:৫৪ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত ছবি


মধ্যপ্রাচ্যের দ্বীপরাষ্ট্র বাহরাইনের পার্লামেন্ট নির্বাচনে রেকর্ডসংখ্যক নারী প্রার্থী জয়লাভ করেছেন। পার্লামেন্টে প্রতিনিধিত্বের ক্ষেত্রে নারীদের এই অর্জনকে ঐতিহাসিক বলে উল্লেখ করেছেন দেশটির কর্মকর্তারা। প্রথম দফা নির্বাচনের পর দ্বিতীয় তথা শেষ দফা ভোট অনুষ্ঠিত হয় রবিবার। চূড়ান্ত ভোটে ছয়জন নারী প্রার্থী জয়লাভ করেছেন। এর মাধ্যমে গতবারের চেয়ে নারীর সংখ্যা দ্বিগুণ হলো।

পারস্য উপসাগরের ৩৬টি ছোট ছোট দ্বীপ নিয়ে গঠিত এ দেশটির পার্লামেন্টে ৪০ সদস্যের। এর মধ্যে ছয়জন নারী সংখ্যার হিসেবে কম দেখালেও দেশটির ইতিহাসে এটি প্রথম। এটি প্রমাণ করে যে বিশ্বের বেশিরভাগ দেশের মতো মধ্যপ্রাচ্যের এই দেশটিতে নারীর ক্ষমতায়ন বৃদ্ধি পাচ্ছে। খবর আল জাজিরার।

বাহরাইনের নাগরিক সংগঠনের মুখপাত্র মোহাম্মদ আল সায়েদ আল আরাবিয়্যাহকে বলেন, ২০১৮ সালের নির্বাচন বাহরাইনের ঐতিহাসিক নির্বাচন। আমাদের পার্লামেন্টে আরও নারী সদস্য থাকবে। এটা বাহরাইনের জন্য গর্বের। সামাজিক ও রাজনৈতিকক্ষেত্রে পুরুষের পাশাপাশি নারীরাও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে আমরা বিশ্বাস করি। 
এবারের নির্বাচনে দেশটির নারী সদস্যরা হলেন- সোয়াসান কামাল, জয়নাব আব্দুল আমির, মাসুমা আব্দুল রাহিম, কালথাম আল হায়কি, ফৌজিয়া জয়নাল এবং ফাতিমা আল কাতারি।

২০০২ সালে বাহরাইনের প্রথম নির্বাচনে ৩১ জন প্রার্থী থাকলেও কেউ নির্বাচনে জয়লাভ করতে পারেননি। এরপর ২০০৬ সালে লতিফা আল গাউদ নামের মাত্র একজন নারী পার্লামেন্ট সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি ২০১০ সালে আবারো নির্বাচিত হন। ২০১৪ সালে মোট তিনজন নারী পার্লামেন্ট সদস্য নির্বাচিত হন। এবারের নির্বাচনে যার সংখ্যা ছয়জনে দাঁড়িয়েছে।

দেশটিতে নারীদের জন্য পার্লামেন্টে কোনো কোটা পদ্ধতি না থাকায় নির্বাচিত হয়েই পার্লামেন্ট সদস্য হতে হয়। তবে দেশটির সাধারণ নাগরিকরা আইন করে পার্লামেন্টে নির্দিষ্টসংখ্যক নারী সদস্য রাখার পক্ষে মত দিয়েছেন।

দেশটির নারী ব্যবসায়ী আহলাম জানাহি বলেন, চূড়ান্ত নির্বাচনে বাহরাইনের নারীরা তাদের ক্ষমতা প্রমাণ করেছেন।পার্লামেন্টের সদস্য হওয়ার জন্য আমাদের কোটা পদ্ধতির দরকার নাই।

Bootstrap Image Preview