Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২০ শনিবার, এপ্রিল ২০২৪ | ৭ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

ভারতে গো-হত্যার গুজবে পুলিশ কর্মকর্তাসহ নিহত ২

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৩ ডিসেম্বর ২০১৮, ০৯:৩৭ PM
আপডেট: ০৩ ডিসেম্বর ২০১৮, ০৯:৩৭ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত ছবি


গো-হত্যার গুজবে সোমবার সকালে ভারতের উত্তর প্রদেশের বুলন্দশহরে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে এক পুলিশ কর্মকর্তাসহ নিহত হয়েছেন দুজন। গুরুতর আহত হয়েছেন আরও দুই পুলিশকর্মী। খবর এনডিটিভির।

পুলিশ জানায়, সোমবার বুলন্দশহরের স্যানা মহকুমা এলাকায় মাহু গ্রামের বাইরে জঙ্গল সংলগ্ন একটি মাঠে প্রায় ২৫টি গরুর মাংস পড়ে থাকতে দেখা গেছে বলে গুজব রটে। গো-হত্যার প্রতিবাদে সকাল ১১টার দিকে ওই এলাকায় বিক্ষোভ শুরু হয়। ট্রাক্টর-ট্রলি ভরে ওই মাংস নিয়ে রাস্তা অবরোধ করে প্রতিবাদ জানাতে থাকেন স্থানীয় প্রায় ৪০০ জন। খবর পেয়ে অবরোধ সরাতে সেখানে পৌঁছান ইনস্পেক্টর সুবোধ কুমার সিং-সহ পুলিশকর্মীরা।

বুলন্দশহরের জেলা ম্যাজিস্ট্রেট অনুজ কুমার ঝা জানান, বিক্ষোভকারীদের অবরোধ তুলতে অনুরোধ করায় কোনও কাজ হয়নি। বরং ওই অবরোধকারীদের মধ্যে থেকে দুর্বৃত্তরা পুলিশকে লক্ষ্য করে পাথর ছুড়তে থাকে। এমনকি এলাকার চিংরাবটি পুলিশ ফাঁড়িতে হামলা করে তারা। থানায় ভাঙচুর চালানো ছাড়াও একটি পুলিশ ভ্যানে আগুন লাগিয়ে দেওয়া দেয়। বিক্ষোভকারীদের মধ্যে থেকে ইট-পাথর ছোড়া হয়। পুলিশদের লক্ষ্য করে গুলিও চলে।

বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে ফাঁকা গুলি চালায় পুলিশ। গুলিতে আহত হন সুমিত নামে স্থানীয় এক বাসিন্দা। বিক্ষোভকারীদের ছোড়া পাথরের আঘাতে গুরুতর আহত হন ইনস্পেক্টর সুবোধ কুমার সিং। স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎ়সকরা। অন্য দিকে, সুমিতকে গুরুতর আহত অবস্থায় মিরুটের এক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানে মারা যান তিনি।

পুলিশ সূত্রে খবর, ওই এলাকায় ৫ কোম্পানি র্যা পিড অ্যাকশন ফোর্স(র্যা ফ)সহ বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। এ দিন ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান জেলা ম্যাজিস্ট্রেটসহ পুলিশের শীর্ষ কর্মকর্তারা।

উত্তর প্রদেশ পুলিশের এডিজি (আইন-শৃঙ্খলা) আনন্দ কুমার জানিয়েছেন, বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে সংঘর্ষে এলাকা উত্তপ্ত হলেও এখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তিনি আরও জানান, সংঘর্ষ চলাকালীন কীভাবে সুমিতের গায়ে গুলি এসে লাগল, তা-ও তদন্ত করে দেখা  হবে। গোটা ঘটনায় বিশেষ তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

বুলন্দশহরে সংখ্যালঘুর সম্প্রদায়ের তিন দিনের একটি মাহফিল শুরু হয়েছে। এই ঘটনার ফলে যাতে কোনওভাবে উত্তেজনা না ছড়ায় সে দিকেও লক্ষ্য রাখছে জেলা প্রশাসন।

Bootstrap Image Preview