Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৫ বৃহস্পতিবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১২ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

সিলেটের চার জেলায় মনোনয়নপত্র বাতিল ও বৈধ হলেন যারা

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৩ ডিসেম্বর ২০১৮, ০৫:৫৫ PM
আপডেট: ০৩ ডিসেম্বর ২০১৮, ০৫:৫৫ PM

bdmorning Image Preview


সিলেট প্রতিনিধি:

সিলেট বিভাগের ১৯টি আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন ১৭৭ প্রার্থী। এর মধ্যে চার জেলায় ১৯ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে।

রবিবার (২ ডিসেম্বর) যাচাই-বাছাইকালে ৪৩ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল করেছেন চার জেলার সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তারা।

বাতিল হওয়া তালিকায় প্রয়াত অর্থমন্ত্রী কিবরিয়াপুত্র ড. রেজা কিবরিয়া, হুইপ সেলিম উদ্দিন, সাবেক প্রতিমন্ত্রী এবাদুর রহমান, সাংসদ আমাতুল কিবরিয়া চৌধুরী কেয়ার (কেয়া চৌধুরী) নামও রয়েছে।

বাতিল হওয়াদের মধ্যে সিলেট জেলার ১৫ জন, হবিগঞ্জে ১২ জন, সুনামগঞ্জে ১১ ও মৌলভীবাজারের ৫ জন রয়েছেন। এসব প্রার্থীরা তিন দিনের মধ্যে নির্বাচন কমিশনে আপীল করতে পারবেন।

রবিবার সকাল থেকে সিলেট বিভাগের ৪ জেলায় সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তারা মনোনয়পত্র যাচাই-বাছাই শেষে বিকেলে বৈধ ও বাতিল হওয়া প্রার্থীদের তালিকা ঘোষণা করেন।

সিলেট-১ (সিটি করপোরেশন-সদর) ঃ

এই আসনে বাংলাদেশ মুসলিম লীগ প্রার্থী আনোয়ার উদ্দিনের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। হলফনামায় সাক্ষর না থাকায় তার মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করা হয়।

এই আসনে যাদের মনোনয়নপত্র বৈধ হয়েছে- তারা হলেন- ড. এ কে আবদুল মোমেন (আওয়ামী লীগ), ইনাম আহমদ চৌধুরী ও খন্দকার আবদুল মুক্তাদির (বিএনপি), উজ্জল রায় (বাসদ-মার্কসবাদী), প্রণব জ্যোতি পাল (বাসদ), রেদওয়ানুল হক (ইসলামী আন্দোলন), মোহাম্মদ ফয়জুল হক (ইসলামী ঐক্যজোট), ইউসুফ আহমদ (পিপুল পার্টি), মাহমুদুর রহমান চৌধুরী (জাপা), মাওলানা নাসির উদ্দিন।

সিলেট-২ (বিশ্বনাথ ও ওসমানীনগর) ঃ

এই আসনে তিন জনের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। তাদের তিন জনই স্বতন্ত্রপ্রার্থী। তারা হলেন ড. এনামুল হক সরদার, মুহিবুর রহমান, মোহাম্মদ আবদুর রব। ১ শতাংশ ভোটারের সাক্ষরের সত্যতা যাচাইয়ে মিথ্যা প্রমাণিত হওয়ায় তাদের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়।

এ আসনে চূড়ান্ত প্রার্থীরা হলেন- তাহমিনা রুশদীর লুনা ও ব্যারিস্টার আবরার ইলিয়াস (বিএনপি), ইয়াহিয়া চৌধুরী এহিয়া (জাপা), মাওলানা কাজী আমিন উদ্দিন (জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম), মনোয়ার হোসেন (এনপিপি) মুনতাছির আলী (খেলাফত মজলিস), মো. মোশাহিদ খান (বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট), মোকাব্বির খান (গণফোরাম)।

সিলেট-৩ (দক্ষিণ সুরমা, বালাগঞ্জ ও ফেঞ্চুগঞ্জ) ঃ

এ আসনে তিন জনের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। তাঁরা হলেন- বিএনপি প্রার্থী আবদুল কাইয়ুম চৌধুরী, স্বতন্ত্র প্রার্থী জুনায়েদ মোহাম্মদ মিয়া ও মো. আবদুল ওদুদ।

বিএনপির প্রার্থী কাইয়ুম চৌধুরীর এফিডেভিটে সাক্ষর না থাকায় এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী আবদুল ওয়াদুদ ও জোনায়েদ মোহাম্মদ মিয়ার দেয়া ১ শতাংশ ভোটারের সাক্ষর জটিলতায় প্রার্থিতা বাতিল করা হয়।

এ আসনে যাদের মনোনয়ন চূড়ান্ত করা হয়েছে তারা হলেন- মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী (আওয়ামী লীগ), শফি আহমদ চৌধুরী, এম এ হক, ব্যারিস্টার এম এ সালাম (বিএনপি), মাওলানা আতিকুল ইসলাম ও মাওলানা নজরুল ইসলাম (জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম), দিলওয়ার হোসাইন (খেলাফত-মজলিস), এম এ মতিন চৌধুরী (জাপা)।

সিলেট-৪ (গোয়াইনঘাট, কোম্পানীগঞ্জ ও জৈন্তাপুর) ঃ

এ আসনে জাতীয় পার্টির প্রাির্থী এম ইসমাইল আলীর মনোনয়নপত্রটি বাতিল করা হয়েছে। দলীয় মনোনয়নের ছাড়পত্র না থাকায় এবং এফিডেভিটে সাক্ষর না করায় এ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল হয়।

এ আসনে চূড়ান্ত হয়েছে সাত প্রার্থীর মনোনয়নপত্র। তারা হলেন- ইমরান আহমেদ (আওয়ামী লীগ), দিলদার হোসেন সেলিম ও এডভোকেট সামসুজ্জামান জামান (বিএনপি), মাওলানা আতাউর রহমান (জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম), মনোজ কুমার সেন (বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি), জিল্লুর রহমান (ইসলামী আন্দোলন) ও তাজ উদ্দিন তাজ আহমদ (জাতীয় পার্টি)।

সিলেট-৫ (কানাইঘাট-জকিগঞ্জ) ঃ

এ আসনে বর্তমান সাংসদ জাতীয় পার্টির সেলিম উদ্দিনসহ পাঁচ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। এই আসনে ৭ জনের মনোনয়নপত্র চূড়ান্ত করেছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা।

সাংসদ ও হুইপ সেলিম উদ্দিন (জাপা) ছাড়াও যাদের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে তারা হলেন- এম এ মতিন (ইসলামী ঐক্যজোট), আহমদ আল ওয়ালী (স্বতন্ত্র), মাওলানা নুরুল আমিন (ইসলামী আন্দোলন), ফয়জুল মুনির চৌধুরী (স্বতন্ত্র)।

রিটার্নিং কর্মকর্তা জানান, জাতীয় পার্টির প্রার্থী সেলিম উদ্দিনের ব্যাংক চালানের মূল কপি ও হলফনামায় সাক্ষর না থাকায় প্রার্থিতা বাতিল করা হয়। এছাড়া ইসলামী ঐক্যজোটের প্রার্থী এম এ মতিন চৌধুরীর বিদ্যুৎ বিল বকেয়া, স্বতন্ত্র প্রার্থী ফয়জুল মুনির চৌধুরীর হলফনামায় সাক্ষর না থাকায়, ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী মো. নুরুল আমীন বাংলাদেশ ব্যাংকের তালিকায় ঋণখোলাপি (ঋণের জামিনদার) এবং আহমদ আল ওয়ালী স্বতন্ত্র প্রার্থীর ১ শতাংশ ভোটারের তালিকার সত্যতা না থাকায় প্রার্থিতা বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে।

সিলেট-৫ আসনে যাদের মনোনয়ন চূড়ান্ত হয়েছে, তারা হলেন- হাফিজ আহমদ মজুমদার (আওয়ামী লীগ), মাওলানা উবায়েদুল্লাহ ফারুক (জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম), মামুনুর রশিদ মামুন ও শরিফ আহমদ লস্কর (বিএনপি), মাওলানা ফরিদ উদ্দিন (জামায়াত), মো. শহীদ আহমদ চৌধুরী (মুসলিম লীগ), এডভোকেট বাহার উদ্দিন আল রাজি (গণফোরাম)।

সিলেট-৬ (গোলাপগঞ্জ ও বিয়ানীবাজার) ঃ

এ আসনে দু’জনের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। এই আসনে ৮ জনের মনোনয়নপত্র চূড়ান্ত করেছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা।

এই আসনে সিলেট-৫ আসনের বর্তমান সাংসদ সেলিম উদ্দিন মনোনয়নপত্র দাখিল করলেও হলফনামায় সাক্ষর না থাকায় তার মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। এ ছাড়া স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. জাহাঙ্গির হোসেন মিয়ার দেয়া ১ শতাংশ ভোটারের তথ্য সঠিক না হওয়ায় তার মনোনয়ন পত্র বাতিল ঘোষণা করা হয়।

এই আসনে যাদের মনোনয়নপত্র চূড়ান্ত করা হয়েছে তারা হলেন- নুরুল ইসলাম নাহিদ (আওয়ামী লীগ), ফয়সাল চৌধুরী ও হেলাল খান (বিএনপি), মো. আবদুর রকিব (ইসলামী ঐক্যজোট) মাওলানা আসাদ উদ্দিন আল মাহমুদ (জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম), শমসের মবিন চৌধুরী (বিকল্পধারা), মাওলানা হাবিবুর রহমান (জামায়াত), আজমল হোসেন (ইসলামী আন্দোলন)।

মৌলভীবাজারে এবাদুর রহমানসহ ৬ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। জেলার চারটি আসনে ২৮ প্রার্থীর মধ্যে ২২ জনের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়।

রবিবার যাচাই-বাছাই শেষে বৈধ প্রার্থীদের তালিকা ঘোষণা করেন জেলা রির্টানিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মো. তোফায়েল ইসলাম। তিনি জানান, চারটি আসনে মোট ২৮ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দেন। যাচাই-বাছাই শেষে তাদের মধ্যে মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয় ৬ জনের।

যাদের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে, তারা হলেন- মৌলভীবাজার-১ আসনে বিএনপি প্রার্থী এডভোকেট এবাদুর রহমান চৌধুরী ও স্বতন্ত্র প্রার্থী (জামাত) মাওলানা আমিনুল ইসলাম। মৌলভীবাজার-২ আসনে জাতীয় পার্টির (মঞ্জু) প্রার্থী মুহিবুল কাদের চৌধুরী, মৌলভীবাজার-৩ আসনে বিএনএফ প্রার্থী আশা বিশ্বাস, স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আব্দুল মছব্বির।

যাচাই-বাছাইকালে যাদের মনোনয়নপত্র বৈধ হয়েছে, তারা হলেন- মৌলভীবাজার-১ (বড়লেখা ও জুড়ী) আওয়ামী লীগ প্রার্থী মো. শাহাব উদ্দিন, বিএনপি প্রার্থী দলের জেলা কমিটির সহ-সভাপতি নাসির উদ্দিন আহমদ মিঠু, ইসলামী ঐক্যফ্রন্ট প্রার্থী আহমদ রিয়াজ, এবং বাংলাদেশ ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী মাওলানা গিয়াস উদ্দিন।

মৌলভীবাজার-২ (কুলাউড়া) আসনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট প্রার্থী সাবেক এমপি সুলতান মো. মনসুর আহমদ। বিকল্পধারা প্রার্থী এম এম শাহীন, এডভোটে মাহবুবুল আলম শামীম, বাংলাদেশ ইসলামি আন্দোলন প্রার্থী হাফিজ মতিউর রহমান, বাংলাদেশ ইসলামি ঐক্যজোট প্রার্থী মৌলানা আসলাম হোসাইন, বাংলাদেশ ওয়াকার্স পার্টি বামফ্রন্ট প্রার্থী প্রশান্ত দেব সানা, স্বতন্ত্র প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য ও কুলাউড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল মতিন।

মৌলভীবাজার-৩ (মৌলভীবাজার সদর ও রাজনগর) আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী দলের জেলা সভাপতি নেছার আহমদ, বিএনপি প্রার্থী জেলা কমিটির সভাপতি এম নাসের রহমান ও এম নাসের রহমানের স্ত্রী রেজিনা নাসের, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের প্রার্থী লুৎফুর রহমান কামালী ও মাওলানা আহমেদ বিলাল, বাসদ প্রার্থী এডভোকেট মো. মগনু মিয়া, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ প্রার্থী মো. আসলম এবং মৌলভীবাজার-৪ (শ্রীমঙ্গল-কমলগঞ্জ) আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য উপাধ্যক্ষ মো. আব্দুস শহীদ, বিএনপি প্রার্থী মুজিবুর রহমান (হাজি মুজিব) ও তার ছেলে আশিক মুঈদ চৌধুরী, জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট প্রার্থী এডভোকেট শান্তি পদ ঘোষ ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ প্রার্থী মাওলানা সালাউদ্দিন।

হবিগঞ্জের ৪টি আসনে ৩৮ জন প্রার্থীর মধ্যে ১২ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে। রবিবার জেলা রিটানিং কর্মকর্তার সভাকক্ষে মনোনয়নপত্র যাচাই-বাচাইকালে বিভিন্ন কারণে তাদের মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা মাহমুদুল কবীর মুরাদ।

হবিগঞ্জ-১ আসনে ১২ প্রার্থীর মধ্যে ৬ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। সিটি ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড ডিভিশনের ঋণ খেলাপি হওয়ায় ঐক্যফ্রন্টের (গণফোরাম) প্রার্থী সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়ার ছেলে ড. রেজা কিবরিয়ার মনোনয়ন পত্র বাতিল করা হয়।

জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা জানান, বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে পাঠানো ঋণখেলাপীর তালিকায় ড. রেজা কিবরিয়ার নাম থাকায় তার মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। একই আসনে হলফনামা অসম্পূর্ণ ও স্বাক্ষর না থাকায় স্বতন্ত্র প্রার্থী বর্তমান সংরিক্ষত নারী সদস্য আমাতুল কিবরিয়া কেয়া চৌধুরীর মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়।

স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে দাখিলকৃত ১ শতাংশ সমর্থকের স্বাক্ষর সরেজমিন যাচাইকালে একজনের স্বাক্ষর সঠিক না পাওয়ায় অধ্যাপক মো. আবদুল হান্নান মনোনয়নপত্র বাতিল হয়। এছাড়া হলফনামায় মামলা সংক্রান্ত তথ্য গোপনের কারণে বাংলাদেশ ইসলামী আন্দোলন এর প্রার্থী আবু হানিফা আহমদ হোসেন এবং হলফনামায় স্বাক্ষর না থাকায় বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের প্রার্থী জুবায়ের আহমেদ ও ইসলামী ফ্রন্ট বাংলাদেশের প্রার্থী মোহাম্মদ বদরুর রেজার মনোনয়ন পত্র বাতিল করা হয়।

হবিগঞ্জ-২ আসনে ১০ প্রার্থীর মধ্যে হলফনামায় স্বাক্ষর না থাকায় বিএনপি প্রার্থী মো. জাকির হোসেনের মনোনয়ন পত্র বাতিল হয়।

হবিগঞ্জ-৩ আসনে ৯ প্রার্থীর মধ্যে ২ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়। হলফনামায় স্বাক্ষর না থাকায় ইসলামী ঐক্যজোট প্রার্থী মাওলানা আতাউর রহমান এবং দলীয় প্রার্থীতার চিঠি না থাকায় ন্যাশনাল পিপলস পার্টি এনপিপি প্রার্থী মো. আবদুল কাদিরের মনোনয়ন পত্র বাতিল কর হয়।

হবিগঞ্জ-৪ আসনে ৭ জন প্রার্থীর মধ্যে মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে ৩ জনের। হলফনামায় মামলা সংক্রান্ত তথ্য গোপনের কারণে জাকের পার্টির প্রার্থী মো. আনছারুল হকের মনোনয়ন পত্র বাতিল করা হয়। সেই সাথে হলফনামায় স্বাক্ষর না থাকায় বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট প্রার্থী মৌলানা মুহাম্মদ ছোলাইমান খান রাব্বানী এবং ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ এর প্রার্থী মোহাম্মদ আ. মমিনের মনোনয়ন পত্র বাতিল করেন জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা।

সুনামগঞ্জে বাছাইয়ে বাদ পড়লেন ১২ প্রার্থী। সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি লতিফুর রহমান রাজু জানান, সুনামগঞ্জের ৫টি আসনে ৫২ জন প্রার্থীর মধ্যে ১২ প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল ঘোষণা করেছেন জেলা রির্টানিং কর্মকর্তা। যাচাই-বাছাইকালে ত্রুটি থাকায় তাদের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়।

সুনামগঞ্জ-১ (তাহিরপুর, জামালগঞ্জ, ধর্মপাশা ও মধ্যনগর) আসনে মনোনয়নপত্র উপজেলা পরিষদ থেকে পদত্যাগ না করা বাতিল হয়েছে, কামরুজ্জামান কামরুল (বিএনপি), এ কে এম ওহীদুল ইসলাম কবির (জাসদ) হলফনামার তথ্য নেই।

সুনামগঞ্জ-২ (দিরাই ও শাল্লা) আসনে মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে, রুহুল আমীন (জাতীয় পার্টি) প্রস্তাব ও সমর্থনকারী ভোটার নয়।

সুনামগঞ্জ-৩ আসনে (দক্ষিণ সুনামগঞ্জ ও জগন্নাথপুর) মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে: সৈয়দ শাহ মুবশ্বির আলী (বাংলাদেশ মুসলিম লীগ) হলফনামায় স্বাক্ষর নেই, আবদুল ছত্তার (স্বতন্ত্র) বাংলাদেশ ভোটার নয়, রফিকুল ইসলাম খসরু (স্বতন্ত্র) ভোটারদের স্বাক্ষর দেয় নেই, আশরাফুক হক সুমন (স্বতন্ত্র) হফলনামার তথ্য দেননি।

সুনামগঞ্জ-৪ (সদর ও বিশ্বম্ভরপুর) আসনে মনোনয়নপত্র বাতিল দেওয়ান জয়নুল জাকেরীন (বিএনপি) ঋণ খেলাপী, মো. দিলোয়ার হোসেন (এনএনপি) বিদ্যুৎ বিল খেলাপী, মোহাম্মদ আজিজুল হক (বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস) বিদ্যুৎ বিল খেলাপী , মো. রাজু আহমদ (স্বতন্ত্র) ভোটারদের স্বাক্ষর গরমিল।

সুনামগঞ্জ-৫ আসনে (ছাতক ও দোয়ারাবাজার) বাতিল: রনজিৎ কুমার দে (স্বতন্ত্র) ভোটারদের স্বাক্ষর গরমিল। জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ মুরাদ উদ্দিন হাওলাদার রোববার সন্ধ্যা ৬ টায় বললেন, ‘১২ জন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে। নির্বাচন কমিশনে এই তথ্য পাঠানো হয়েছে।’

যাদের মনোনয়নপত্র চূড়ান্তকরা হয়, তারা হলেন সুনামগঞ্জ-১ (তাহিরপুর, জামালগঞ্জ, ধর্মপাশা ও মধ্যনগর) আসনে মোয়াজ্জেম হোসেন রতন (আওয়ামী লীগ), নজির হোসেন (বিএনপি), আনিসুল হক (বিএনপি), ডা. রফিকুল ইসলাম চৌধুরী (বিকল্প ধারা বাংলাদেশ), মুফতি ফখর উদ্দিন (ইসলামী আন্দোলন), বদরুদ্দোজা সুজা (বাংলাদেশ মুসলিম লীগ), মুস্তাক আহমেদ বাবুল (জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম), আমান উল্লাহ আমান (জাকের পার্টি)।

সুনামগঞ্জ-২ (দিরাই ও শাল্লা) আসনে ড. জয়া সেন গুপ্তা (আওয়ামী লীগ), নাছির উদ্দিন চৌধুরী (বিএনপি), তাহির রায়হান চৌধুরী (বিএনপি), নিরঞ্জন দাস খোকন (কমিউনিস্ট পার্টি), গোলজার আহমদ (গণতন্ত্রী পার্টি), মাওলানা আবদুল হাই (ইসলামী আন্দোলন), মাহমুদ হাসান চৌধুরী (বাংলাদেশ মুসলিম লীগ)।

সুনামগঞ্জ-৩ (দক্ষিণ সুনামগঞ্জ ও জগন্নাথপুর) আসনে এম এ মান্নান (আওয়ামী লীগ), শাহীনুর পাশা চৌধুরী (জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম), মো. নজরুল ইসলাম (গণফোরাম), সৈয়দ আলী আহমদ (বিএনপি), মহিবুল হক আজাদ (ইসলামী আন্দোলন), মাহফুজুর রহমান খালেদ (এলডিপি), শাহ্জাহান চৌধুরী (জাকের পার্টি)।

সুনামগঞ্জ-৪ (সদর ও বিশ্বম্ভরপুর) আসনে পীর ফজলুর রহমান মিসবাহ (জাতীয় পার্টি), মোহাম্মদ ফজলুল হক আছপিয়া (বিএনপি), মতিউর রহমান (স্বতন্ত্র), দেওয়ান ইসকন্দর রাজা চৌধুরী (জেএসডি), তানভীর আহমদ তাসলিম (ইসলামী আন্দোলন), মো. দিলোয়ার হোসেন ((বিএনএফ), মোহাম্মদ আজিজুল হক (বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস), আল হেলাল মোহাম্মদ ইকবাল মাহমুদ (বাংলাদেশ মুসলীম লীগ), মো. আবদুল মজিদ (স্বতন্ত্র), ইনান ইসমাম চৌধুরী (স্বতন্ত্র), মোহাম্মদ কামরুজ্জামান (স্বতন্ত্র)।

সুনামগঞ্জ-৫ (ছাতক ও দোয়ারাবাজার) আসনে আওয়ামী লীগের মুহিবুর রহমান মানিক (আওয়ামী লীগ), কলিম উদ্দিন আহমদ মিলন (বিএনপি), মিজানুর রহমান চৌধুরী (বিএনপি) , নাজমুল হুদা হিমেল (জাতীয় পার্টি), আবদুল ওদুদ (ন্যাপ), আয়ুব করম আলী (গণফোরাম), আশরাফ হোসেন (বিএনএফ), মাওলানা হুসাইন আল হারুন (ইসলামী আন্দোলন), মাওলানা সফিক উদ্দিন (খেলাফত মজলিস)।

Bootstrap Image Preview