অল্প সময় পরেই রানওয়ে থেকে বিমানটি উড়াল দেবে। তখনই পাবলিক অ্যাড্রেস বা পিএ সিস্টেমে পাইলটের কণ্ঠ ভেসে আসলো। এতে তিনি এমন ঘোষণা দিলেন যে বিমানের সিটে বসা এক প্রবীণ যাত্রী কেঁদে ফেললেন।
কেবল সেই প্রবীণ যাত্রীই নন, অন্যরাও নিজেদের আবেগ চেপে রাখতে পারেননি।
এটা প্রতিদিন তিনি যেসব স্বাভাবিক ঘোষণ দেন, তেমন কিছু না। বিষয়টি হল, পাইলট ঘোষণা দিয়ে জানালেন বিমানের সিটে তার শিক্ষক বসে আছেন।
পরে ক্রু সদস্যরা গিয়ে ওই শিক্ষককে ফুলের তোড়া উপহার দিয়ে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন।
কৃতজ্ঞতা জানাতে তুর্কিশ এয়ারলাইনসের পাইলট মিটহাট ওকহান এসময় মাইক্রোফোনে তার শিক্ষককে ধন্যবাদ দেন। এতে অনেকটা আবেগে আক্রান্ত হয়ে পড়েন তার শিক্ষক।
জানা গেছে, ওই দিন যাত্রীদের তালিকায় নাম দেখেই নিজের শিক্ষককে চিনতে পারেন পাইলট। তারপরই তিনি তাকে এই অভিনব উপায়ে শ্রদ্ধা জানানোর সিদ্ধান্ত নেন।
ভিডিও ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, ওই প্রবীণ শিক্ষক ঘোষণা শুনেই চোখের পানি মুছতে শুরু করেন। তার পর বিমানের ক্রু সদস্যরা আসতেই বিমানের অন্য যাত্রীদের চোখেও পানি।
পুরো ঘটনাটি ভিডিও করে তা সামাজিক মাধ্যমে ছেড়ে দেয়া হয়। এর পর তুরস্কের এক সাংবাদিক টুইটারে শেয়ার দিলে তা ভাইরাল হতে থাকে।
সামাজিক মাধ্যমে এ ভিডিও দেখে অনেকেই চোখের পানি রাখতে পারেননি। টুইটারে একজন লিখেছেন, শিক্ষকের প্রতি অপরিসীম ভালোবাসার জন্য পাইলটকে হ্যাটস অফ। রাজা ওমর সুলতান নামে একজন লিখেছেন, এই অভিনব শ্রদ্ধা আমার পছন্দ হয়েছে।