হারুন-অর-রশীদ, ফরিদপুর প্রতিনিধি:
ফরিদপুর থেকে প্রকাশিত দৈনিক বাঙ্গালী সময় নামক একটি পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশে ক্ষুদ্ধ হয়ে বার্তা সম্পাদক শ্রাবণ হাসানকে প্রাণ নাঁশের হুঁমকি দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে এক ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে। সাংবাদিককে প্রাণ নাশের হুঁমকিদাতা হাবিবুর রহমান ফরিদপুরের সরকারি নগরকান্দা কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি।
এ ঘটনায় সালথা থানায় সাধারণ ডায়েরী করেছে হুঁমকির শিকার সাংবাদিক শ্র্রাবণ হাসান। অভিযুক্ত হাবিবুর রহমান নগরকান্দার ছাগলদী গ্রামের বাদশার ছেলে।
এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নিতে গতকাল শুক্রবার (৩০ নভেম্বর) সালথা থানায় সাধারণ ডায়েরী করা হয়েছে বলে শ্রাবণ হাসান সাংবাদিকদের জানান। যার নং-১৩০১।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, দৈনিক বঙ্গালী সময় পত্রিকায় গত বৃহস্পতিবার (২৯ নভেম্বর) প্রথম পাতায় 'বিক্ষুদ্ধ জনতার বিক্ষোভের মুখে বাড়ীতে ঢুকতে পারলেন না বাবলু চৌধুরী' শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়। এতে ক্ষুদ্ধ হয়ে ঐদিন বেলা ২টায় ঘটিকায় হাবিবুর রহমান নিজের পরিচয় দিয়ে শ্রাবণ হাসানকে ফোন দিয়ে প্রাণ নাঁশের হুমকি দেয়। তার লাশ গুম করা হবে বলেও ফোনে জানায়।
এ ছাড়াও ফোনে অশ্লীল ভাষায় গালি দেয়। এ সময় শ্রাবণ হাসান পেশাগত কাজে সালথা উপজেলার বালিয়া বাজারে অবস্থান করছিল। এ ঘটনায় শ্রাবণ হাসান আইনগত ব্যবস্থা নিতে সালথা থানায় সাধারণ ডায়েরী করে।
সাংবাদিক শ্রাবন হাসানকে প্রাণ নাঁশের হুঁমকি দেওয়ায় সালথা প্রেসক্লাবের সভাপতি ও দৈনিক বাঙ্গালী সময় পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক মোঃ সেলিম মোল্লা ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পুলিশ প্রশাসনের প্রতি দাবি জানিয়েছেন।
এ ব্যাপারে হুঁমকিদাতা হাবিবুর রহমান বলেন, আমি কাউকে প্রাণ নাশের হুঁমকি দেইনি। হাসান এলোমেলো সংবাদ করায় আমার সাথে একটু কথা কাটাকাটি হয়েছে।
তিনি বলেন, আমি নিজেও একটি প্রেসের সাথে যুক্ত। এ ছাড়া নগরকান্দা মডেল প্রেসক্লাবের সদস্য হিসেবে যুক্ত রয়েছি। তাই সাংবাদিককে কেন আমি হুঁমকি দিব।
ফরিদপুর জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি দেবাশীষ নয়ন জানান, ছাত্রলীগ কোনো অন্যয়কে প্রশয় দেয় না। এঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই। এ ব্যাপারে অতি দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেলোয়ার হোসেন খাঁন জানান, সাংবাদিককে হুঁমকির ব্যাপারে একটা অভিযোগ পেয়েছি। এব্যাপারে তদন্ত চলছে। তদন্তে সত্যতা পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
শ্রাবণ হাসান জানান, দৈনিক বাঙ্গালী সময়ে প্রকাশিত ঐ সাংবাদটি প্রয়োজনীয় তথ্যের ভিত্তিতে প্রকাশিত হয়েছে। যা বাঙ্গালী সময়ের কার্যালয়ে সংরক্ষিত আছে।