ক্রিমিয়ার কাছে ইউক্রেনের জাহাজের দিকে রাশিয়ার বাহিনীর ফাঁকা গুলি ও তিন নাবিককে আটকের ঘটনায় উত্তেজনাকর পরিস্থিতি বিরাজ করছে। ২০১৪ সালে ইউক্রেনের কাছ থেকে ক্রিমিয়াকে নিজেদের অন্তর্ভুক্ত করে রাশিয়া।
অবৈধভাবে রাশিয়ার জলসীমায় প্রবেশের অভিযোগে ইউক্রেনের দুটি গানবোট ও একটি টাগবোট আটক করে রুশ বর্ডার গার্ড। জাহাজে থাকা নাবিকদেরও আটক করে রাশিয়া। এ ঘটনার পরই হোয়াইট হাউস থেকে পুতিনের সঙ্গে বৈঠক বাতিলের কথা উঠেছিল।
এ ঘটনায় ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট পেট্রো পোরোশেনকো গতকাল পুতিনকে দোষারোপ করে বলেছেন, পুতিন পুরো ইউক্রেন দখল করতে চান। দুই দেশের অংশীদারত্ব থাকা সাগরে যুদ্ধজাহাজ মোতায়েনের জন্য উত্তর আটলান্টিক সামরিক জোট ন্যাটোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
ইউক্রেনের কিছু পশ্চিমা মিত্র দেশ এই ইস্যুতে রাশিয়ার ওপর নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপের সম্ভাবনার বিষয়টি তুলেছে। এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ হলে তা রাশিয়ার অর্থনীতিতে ব্যাপক প্রভাব ফেলবে। এ ধরনের নিষেধাজ্ঞা আরোপে পশ্চিমা সমর্থন পেতে চাইছে ইউক্রেন।
ইউক্রেনের ‘জাহাজ আটক’ ইস্যুতে পুতিনকেই দুষছেন জার্মান চ্যান্সেলর ম্যার্কেল। তিনি বলেন, রাশিয়া বিনা কারণে ইউক্রেনের জাহাজ ও নাবিকদের আটকে রেখেছে।
এই বৈঠক বাতিলের ফলে যুক্তরাষ্ট্র-রাশিয়া সম্পর্কে আবার নতুন করে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। ট্রাম্প এমন একসময়ে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, যখন ২০১৬ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারে ট্রাম্পের পক্ষে রাশিয়ার হস্তক্ষেপের অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্রে তদন্ত চলছে।