Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৪ বুধবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১১ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

খেলোয়াড়-ব্যবসায়ী পরিচয়ে বাংলাদেশে ঢুকে বিদেশিদের যত কাণ্ড!

বিডিমর্নিং ডেস্ক-
প্রকাশিত: ২৯ নভেম্বর ২০১৮, ০৫:৫৪ PM
আপডেট: ২৯ নভেম্বর ২০১৮, ০৫:৫৪ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত ছবি


ঢকার বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা ও খিলক্ষেত থেকে আন্তর্জাতিক প্রতারক চক্রের ১৪ বিদেশি সদস্যকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব-১। র‍্যাব জানায়, মূলত খেলোয়াড় ও ব্যবসায়ী পরিচয় দিয়ে দেশে প্রবেশ করে তারা প্রতারণা চক্র গড়ে তোলে। তাদের মধ্যে কেউ কেউ আবার আফগানিস্তানের যুদ্ধরত নারী ও পুরুষের পরিচয় দিয়ে এদেশের বড় বড় ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে সুযোগ সুবিধা নিত।

বৃহস্পতিবার র‍্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান র‍্যাব-১ এর অধিনায়ক (সিও) সারোয়ার বিন কাশেম।

তিনি বলেন, ফেসবুকে বিভিন্ন ভুয়া নামে অ্যাকাউন্ট খুলে বিদেশি বড় বড় সংস্থার পরিচয় দিয়ে সামনাসামনি দেখা করতো তারা। পরে নানাভাবে ফাঁদে ফেলে টাকা আদায় করতো। তারা মার্ক নামে একজন পলাতক বিদেশির সহযোগিতায় এদেশে প্রবেশ করে।

এরপর তারা বিভিন্ন গ্রুপে বিভক্ত হয়ে দীর্ঘদিন যাবত প্রতারণা করে চলছে। একেকজন প্রায় ৫ বছর ধরে অবস্থান করছে।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন- উগান্ডার মুকি মাইকেল (৩৮), পেট্রিক এমবাজারিয়া (৩২), তানজানিয়ার ক্যাটেরুয়া এমলাভস, সারমেন্টো রেবেকা, নাইজেরিয়ার ইজিকুকওয়া (৩২), ওনকুওরা চুকুনোস (২২), অলুবোওয়াল (২৭), প্রমিস ওনিইনিচেকউকওয়া ইকবোয়াকাবা (২৯), নেইগোনু আমাদি (২৮) ডোনেটস (৩৪), ক্রিস্টিওয়া এনওয়ালুদু (৩৪), ক্যামেরুনের দিদি ন্যায়া (৪৬), কংগোর ইলুংগা ক্রিটিয়ান এবং লাইবেরিয়ার জিওর্যাগ ম্যাথিউ (৩৮)।

র‍্যাব অধিনায়ক বলেন, এই চক্রের সদস্যরা বাংলাদেশের উচ্চবিত্ত মানুষদের টার্গেট করে ফোন দিত। পরে বন্ধুত্ব গড়ে তুলে বিদেশে অবস্থানরত বন্ধুর রেফারেন্স দিয়ে জানাতো তার নামে কিছু বিশেষ উপহার সামগ্রী আছে। যা কাস্টমসে আটকে আছে। ওই উপহার ছাড়ানোর জন্য কিছু অর্থের প্রয়োজন। এ ছাড়াও চক্রটি সাদা কাগজে কিছু রাসায়নিক দ্রব্য প্রয়োগ করে ডলার তৈরি করে দেয়ার প্রলোভন দেখিয়েও প্রতারণা মাধ্যমে টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। আর এদের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট করে দিয়ে কয়েকজন বাংলাদেশি সহায়তা করেছেন। সে বাংলাদেশিদের সনাক্ত করে আইনের আওতায় আনার চেষ্টা চলছে।

তিনি বলেন, এই চক্রের মূল হোতা হিসেবে মার্ক নামে নাইজেরীয় এক নাগরিককে সনাক্ত করা হয়েছে। তাকে এখনও আটক করা সম্ভব হয়নি, আমরা খবর পেয়েছি সে দেশ ছেড়েছে। এই চক্রের অন্যান্য সদস্যদের বের করে আইনের আওতায় আনার চেষ্টা চলছে বলেও জানান সারোয়ার বিন কাশেম।

Bootstrap Image Preview