Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৫ বৃহস্পতিবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১২ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

শীতের শুরুতেই বান্দরবানে পর্যটকের আনাগোনা

এস.কে নাথ, বান্দরবান প্রতিনিধি 
প্রকাশিত: ২৯ নভেম্বর ২০১৮, ০২:২৫ PM
আপডেট: ২৯ নভেম্বর ২০১৮, ০২:২৫ PM

bdmorning Image Preview


শীতের শুরুতেই পর্যটন শহর বান্দরবানে শুরু হয়েছে পর্যটকদের আনাগোনা। প্রকৃতির সৌন্দর্য্য উপভোগ করতে শীত মৌসুমের শুরুতেই পর্যটক আসতে শুরু করেছে পর্যটন নগরী বান্দরবানে। প্রতি বছর শীত মৌসুমে পাহাড়ের সৌন্দর্য্য দেখতে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে প্রচুর পর্যটকের ঢল নামে পার্বত্য জেলা বান্দরবানে।

এ বছরও শীতের শুরুতেই পর্যটন স্পটগুলোতে দেখা গেছে দেশী বিদেশী পর্যটকদের ভীড়। মেঘলা, নীলাচল, স্বর্ণ মন্দির, শৈলপ্রপাত, চিম্বুক, নীলগীরীসহ বান্দরবানের পর্যটন স্পটগুলোতে ছুটে বেড়াচ্ছে পর্যটকরা। এমনকি একটু বেশি সময় নিয়ে যারা ঘুরতে এসেছেন তারা ছুটে যাচ্ছেন থানচির রেমাক্রী, বড় পাথর ও নাফাখুম ঝর্ণা দেখতে। জেলার হোটেল মোটেল ও গেষ্ট হাউজগুলোতে শুরু হয়েছে রুম বুকিং এর ধুম। পর্যটকদের সুবিধার জন্য শহরে গড়ে উঠেছে নতুন নতুন হোটেল, রিসোর্ট ও রেষ্টুরেন্ট। এদিকে শীতের শুরুতে পর্যটন ব্যবসা জমে উঠায় খুশী পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরাও।

বননিবাস গেষ্ট হাউজের মালিক মো: আইয়ুব জানান, শীত আসার সাথে সাথে পর্যটকদের আগমন লক্ষ্য করা যাচ্ছে। আমাদের হোটেলের সবগুলো রুমই বুকড্। সামনেও বেশ কিছুদিন রুমের অগ্রিম বুকিং রয়েছে। আশা করি পরিস্থিতি ঠিক থাকলে এবছর পর্যটন ব্যবসা ভালই জমবে।

ঢাকা থেকে বেড়াতে আসা পর্যটক দম্পতি বলেন, ঢাকা শহরে এখনো শীতের প্রকোপ শুরু হয়নি। তাই শীতের আমেজ নিতে ও পাহাড়ের সৌন্দর্য্য দেখতে ছুটে এসেছি বান্দরবানে। নীলাচল, নীলগীরী খুবই সুন্দর জায়গা। নিজের চোখে না দেখলে এর সৌন্দর্য্য বর্ণনা করা যাবে না। এদিকে পর্যটকদের নিয়ে বিভিন্ন পর্যটন স্পটে ঘুরে বেড়ানোর জন্য জেলা শহরে রয়েছে প্রায় ৪০০ চাদের গাড়ি। পর্যটকরা যাতে হয়রানির শিকার না হয় সে লক্ষে প্রশাসনের পক্ষ থেকে নির্দিষ্ট ভাড়াও নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে।

জেলা হোটেল-মোটেল মালিক সমিতির সভাপতি অমল কান্তি দাশ জানিয়েছেন, শীত আসার শুরুতে পার্বত্য জেলা বান্দরবানে জমে উঠেছে পর্যটকদের পদচারণা। পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকলে এ বছর  অন্যান্যবারের চেয়ে বেশি পর্যটকের সমাগম ঘটবে বলে আশা করছি। তবে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যদি অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি হয় সেক্ষেত্রে পর্যটকের সংখ্যা কমে যেতে পারে। পর্যটকদের জন্য বান্দরবান জেলায় ৫২টি হোটেল-মোটেল ও অবকাশ যাপন কেন্দ্র গড়ে উঠেছে। যেখানে একসাথে প্রায় পাঁচ হাজারের অধিক পর্যটকের আবাসনের ব্যবস্থা রয়েছে। আশা করি পর্যটকদের আবাসনে কোন সমস্যা হবে না।

এদিকে পর্যটকদের ভ্রমণ নিরাপদ ও নির্বিঘ্নে করতে পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেয়া হয়েছে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা।

পুলিশ সুপার জাকির হোসেন মজুমদার জানান, প্রতি বছর শীত মৌসুমে পার্বত্য জেলা বান্দরবানে প্রচুর পর্যটকের সমাগম ঘটে। 
 

Bootstrap Image Preview