হৃদযন্ত্র বন্ধ হয়ে গেছে মানুষটির। চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণাও করেছেন। অথচ ‘মৃত’ ব্যক্তি সবই বুঝতে পারছেন, শুনতে পারছেন চারপাশের কথা-আওয়াজ। কারণ, তার মস্তিষ্ক তখনও সজাগ। মৃত্যুর পরে নাকি এমনই হয় বলে জানিয়েছে নিউ ইয়র্কের ‘স্টোনি ব্রুক ইউনিভার্সিটি স্কুল অব মেডিসিন’—এর গবেষকরা।
সাধারণত একজন মানুষকে তখনই মৃত ঘোষণা করা হয়, যখন তার হৃদযন্ত্র কাজ করা বন্ধ করে দেয়। হৃদযন্ত্র বন্ধ হয়ে গেলে মস্তিষ্কে রক্ত সঞ্চালনও বন্ধ হয়ে যায়। কিন্তু তা হতে বেশ খানিকটা সময় লাগে। ততক্ষণ পর্যন্ত ‘মৃত’ ব্যক্তির ব্রেন সজাগ থাকে। তার পাশের মানুষজন কী কথা বলছে, সবই রেজিস্টার করে তার ব্রেন।
কোনো কোনো ক্ষেত্রে সেই মানুষটি যদি মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে আসেন, তা হলে সেই কথোপকথন তার সবই মনে থেকে যায়। চিকিৎসাশাস্ত্রে এই ফিরে আসাকে বলা হয় ‘নেয়ার ডেথ এক্সপেরিয়েন্স (এনডিই)’।
মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে আসা অনিতা মুর্জানি নামে এক নারী তার সেই অনুভূতি ব্যক্ত করেছেন ‘ডাইং টু বি মি’ বইতে। ৩০ দিন কোমায় থাকার পর তিনি ফিরে এসেছিলেন সুস্থ জীবনে।
নিউ ইয়র্কের গবেষক দলের প্রধান স্যাম পার্নিয়া জানান, মৃত্যুর এত কাছ থেকে ফিরে আসা মানুষজনের মধ্যে এক অদ্ভুত পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়। তারা ব্যক্তিজীবনে অনেক বেশি পজেটিভ হয়ে যায়। অন্য মানুষের প্রতি অনেক বেশি সংবেদনশীলও হয়ে যেতে দেখা গেছে তাদের।