Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৮ বৃহস্পতিবার, মার্চ ২০২৪ | ১৪ চৈত্র ১৪৩০ | ঢাকা, ২৫ °সে

পুলিশের শীর্ষ ৭০ কর্মকর্তার বদলি চেয়ে ইসিতে বিএনপির চিঠি

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২২ নভেম্বর ২০১৮, ০৪:৪৫ PM
আপডেট: ২২ নভেম্বর ২০১৮, ০৪:৫৭ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত


নির্বাচন কমিশনের কাছে পুলিশের শীর্ষ ৭০ কর্মকর্তার বদলি চেয়েছে বিএনপি। একই সঙ্গে নির্বাচনে তাদের প্রতি কোনো নির্দেশনা বা আহ্বান না জানাতে অনুরোধ করেছেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল।

আজ বৃহস্পতিবার নির্বাচন ভবনে ইসির সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান আলাল। নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমদের কাছে এ-সংক্রান্ত একটি চিঠি জমা দিয়েছে বিএনপি। বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলালের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলটি চিঠির সাথে সচিবের কাছে তাদের একটি তালিকাও জমা দিয়েছেন।

ঐক্যফ্রন্ট নেতাদের ভাষ্য, এসব কর্মকর্তারা পক্ষপাতদুষ্ট। তারা সরকারের পক্ষে কাজ করছেন। এসব কর্মকর্তা ও পুলিশ সদস্যদেরকে সরিয়ে ফেলার জন্যও ইসির কাছে অনুরোধ করা হয়।

মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, তালিকায় পুলিশ সুপার, বিশেষ শাখার পুলিশ কর্মকর্তা, ডিআইজি, এডিশনাল ডিআইজি কর্মকর্তা এবং এআইজি সাহেবরাও আছেন। এ সংখ্যা ষাটের ঊর্ধ্বে হবে।

তিনি আরও বলেন, নির্বাচন আচরণবিধি লঙ্ঘনে সরকারের এবং কোনো কোনো ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনের কোনো দায়িত্বশীল কর্মকর্তার জড়িত থাকার বিষয়ে প্রতিকার চেয়ে কিছু দালিলিক প্রমাণ উপস্থাপন করেছি। প্রমাণাদিসহ নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার পর সরকার কিংবা নির্বাচনী কোনো কর্মকর্তা যে কাজগুলো করতে পারেন না, সেই কাজগুলো অনবরত হচ্ছে। তার কয়েকটি উদাহরণ আমরা তাদের সামনে তুলে ধরেছি এবং এগুলোর প্রতিকার চেয়েছি। ভবিষ্যতে যাতে এসব আর না ঘটে, এছাড়া যারা এসব করেছেন তাদের বিরুদ্ধে যেন ব্যবস্থা নেয়া হয়।

তিনি বলেন, রাষ্ট্রপতির ছেলে একজন এমপি প্রার্থী। তিনি বঙ্গভবনে তার এলাকার লোকজন নিয়ে নির্বাচনী কাজ করছেন। তাদের আদর আপ্যায়ন করা হয়েছে। যেটি প্রভাব বিস্তারের অন্যতম উদাহরণ। এছাড়া চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে নির্বাচন কমিশনের সচিব হেলালুদ্দীন আহমদের উপস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব ও চট্টগ্রাম বিভাগের রিটার্নিং কর্মকর্তাদের সঙ্গে সব রির্টানিং কর্মকর্তা পুলিশ সুপারদের নিয়ে রুদ্ধদ্বর বৈঠক করেছেন। গত ১৬ নভেম্বর এ ঘটনা ঘটে।

মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, ‘সরকারি কর্মকর্তারা এখনো নৌকার পক্ষে প্রচারণা চালাচ্ছেন, যা নির্বাচন আচরণবিধির লঙ্ঘন। এখনো গণহারে গ্রেপ্তার চলছে। গতকাল রাতেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে বিভিন্ন জায়গায়, যার মধ্যে আমাদের মনোনয়নপ্রত্যাশী প্রার্থীরাও রয়েছে। এমন প্রার্থীও রয়েছে যারা মনোনয়ন বোর্ডে হাজির হতে পারেননি।’

ঢাকা শহরের বহু এলাকায় আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির ব্যানার-পোস্টার রয়েছে জানিয়ে আলাল বলেন, ‘যে সময়সীমা নির্বাচন কমিশন থেকে দেওয়া হয়েছিল পোস্টার বিলবোর্ড ইত্যাদি সরানোর জন্য, সে ব্যাপারে এখনো এই ঢাকা শহরের বহু জায়গায় নৌকার ও লাঙলের অসংখ্য বিলবোর্ড ও পোস্টার রয়েছে। উপরন্তু সিটি করপোরেশনের এবং আরও কয়েকটি সরকারি প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে এই সরকারের উন্নয়র কর্মকাণ্ডের নামে, পক্ষান্তরে নৌকা প্রতীকের প্রচার প্রচারণা অবিরামভাবে চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে ডিসপ্লে বোর্ডের মাধ্যমে।’

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ‘এসব বিষয়গুলো আমরা বলেছি এবং নির্বাচন কর্মকর্তা নিয়োগের ক্ষেত্রে পুলিশের বিশেষ শাখার প্রতিবেদনের ভিত্তিতে বারবার তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে জানতে চাচ্ছে, কে কোন দল করেন, সে তৎপরতা এখনো গণহারে চলছে।’

আলাল আরও বলেন, ‘আমি গতদিনও আপনাদের (সাংবাদিক) বলেছিলাম, খুলনার হরিনঘাটা থানার কিছু তথ্য আমাদের কাছে দালিলিকভাবে এসেছে। সেটাও আমরা আপনাদেরকে (সাংবাদিক) দেব। এখানে ওইভাবে নির্বাচন কর্মকর্তার নাম লিখে পাশে লেখা হয়েছে আওয়ামী লীগ, নাম লিখে পাশে লেখা হয়েছে বিএনপি, নাম লিখে পাশে লেখা হয়েছে জামায়াত। এটা করেছে পুলিশের বিশেষ শাখা। অর্থ্যাৎ স্পেশাল ব্রাঞ্চ। তারা সেই চিঠি আদান-প্রদান করেছে, সেটা কপি আমাদের হাতে এসে পৌঁছেছে।’

বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘মূল কথাটা হচ্ছে যে, মাঠটি প্রচণ্ড রকমের অসমতল এখনো। আমরা নির্বাচনে অংশগ্রহণের যে প্রতিজ্ঞা করেছি, সেটাকে ভঙ্গ করিয়ে সেটা থেকে আমাদেরকে সরে যেতে বাধ্য করার মতো সকল উপাদান কেন যেন খুব তড়িঘড়ি করে করা হচ্ছে।’

Bootstrap Image Preview