মুহম্মদ বিন সালমান লোকটা ভেবেছিলাম নারীর সমানাধিকারে বিশ্বাস না করলেও বেসিক কিছু অধিকারে বিশ্বাস করে। ভেবেছিলাম একটু একটু করে বুঝি নারী- বিরোধী সমাজটাকে উনি বদলাবেন। বলেছিলেন 'ইসলাম বলেনি বোরখা পরা বাধ্যতামূলক, কেউ ইচ্ছে করলে পরবে, না করলে পরবে না'। ওইটুকুই, সমাজ বদলানোর নাম গন্ধ নেই।'
'এর মধ্যে আবার এক সাংবাদিককে, তার সমালোচনা করেছিলেন বলে, তুরস্কের দূতাবাসে ফাঁদ পেতে রেখে ১৫ জন সরকারি খুনী দিয়ে টুকরো টুকরো করে সাংবাদিকের শরীর কেটে অ্যাসিডের ভেতর ডুবিয়ে গলিয়ে তরল করে অবশেষে নর্দমায় ঢেলে দিলেন। খাশোগি নামের সেই সৌদি সাংবাদিককে আক্ষরিক অর্থেই নিশ্চিহ্ন করে ফেললেন বিন সালমান। কত বড় বর্বর হলে এভাবে দূতাবাসে ঢুকিয়ে মানুষ খুন করতে পারে কেউ। যে লোক মানবাধিকারে বা মানুষের মত প্রকাশের অধিকারে বিন্দুমাত্র বিশ্বাস করেন না, সে লোক নারীর জন্য ঘোড়ার ডিম করবেন।'
'সৌদি মেয়েদের অনেকেই আজ বোরখা না পরার অধিকার পাচ্ছে না বলে বোরখা উলটো করে পরেছে। উলটো করে বোরখা পরে কি সত্যিই প্রতিবাদ করা যায়? কার কী এলো গেলো নিজের বোরখা নিজে উলটো পরলে! কারও চোখেও পরবে না। প্রতিবাদটা ভালো হতো, যদি বোরখাটাই না পরে রাস্তায় বেরোতো। একজন নয়, হাজার হাজার মেয়ে যদি বোরখা না পরতো। গ্রেফতার করবে তো? কজনকে করবে? হাজার হাজার? করুক না।'
(ফেসবুক থেকে সংগৃহীত)