Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২০ শনিবার, এপ্রিল ২০২৪ | ৭ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

রাজনৈতিক নির্ধারণবাদ বনাম 'প্রতিবন্ধী' জনতা

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৩ নভেম্বর ২০১৮, ১০:০৫ PM
আপডেট: ১৬ নভেম্বর ২০১৮, ০৩:২২ PM

bdmorning Image Preview


কার্ল মার্কস-এর ‘ইকোনমিক ডিটারমিনিজম’ (অর্থনৈতিক নির্ধারণবাদ) থিওরি নিয়ে ঘাটাঘাটির পর থেকেই মাথায় কিছু একটা জটলা পাকাচ্ছে। একটু খটকা লাগছে মনে। মার্কস থিওরিটিতে বুঝানোর চেষ্টা করেছেন- একটা রাষ্ট্রের রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, সাহিত্যিক ও প্রযুক্তিগত গঠন কেমন হবে তা নির্ধারণ করে দেয় অর্থনীতি। অর্থনীতিকেই তিনি এ সকল কিছুর ভিত্তিমূল বলে আখ্যায়িত করেছেন।

একটা বহুতল ভবন উপরের দিকে কতটুকু দাঁড়াবে তা নির্ভর করে ভবনটির ভিত্তিটা কতটুকু শক্ত তার উপর। তেমনি একটা রাষ্ট্রের সকল কিছু কতখানি শক্তিশালি হবে তা নির্ভর করে তার অর্থনৈতিক ব্যবস্থার উপর। এটাই অর্থনৈতিক নির্ধারণবাদ থিওরির মূলকথা। অর্থনৈতিক নির্ধারণবাদ থিওরিটা বিশ্বে একটা শক্ত স্থানজুড়ে অবস্থান নিয়েছে তা বলার অবকাশ রাখে না। তবে এই থিওরিটা হয়তো সবক্ষেত্রে পুরোপুরি সঠিক বা প্রযোজ্য নয়।

বর্তমানে আমাদের দেশে রাজনীতি শব্দটার প্রতি মানুষের একটা ঘৃণাবোধ খুব সাধারণভাবেই লক্ষণীয়। সাধারণ জনগণের অধিকাংশই সমসাময়িক রাজনীতিকে নেতিবাচক চোখে দেখে। বলা চলে- রাজনীতির সংজ্ঞাটাই এখন পাল্টে গেছে। রাজনীতির পরিবর্তন হচ্ছে, তবে তা ইতিবাচক থেকে নেতিবাচকের দিকে কিনা এ নিয়ে উঠছে নানা প্রশ্ন। রাজনীতি দিন দিন তার ভালোবাসার স্থানটা, তার সত্য স্থানতা বা তার মূল স্থানটা হারিয়ে ফেলছে। এখন কথা হচ্ছে রাজনীতি তো বিমূর্ত একটা বিষয়, তাহলে কীসের উপর ভর করে তার এই নেতিবাচক পরিবর্তন হচ্ছে? তাহলে অবশ্যই মূর্ত কোন একটা শক্তির উপর ভর করে তার পরিবর্তন হচ্ছে।

মনে করা যাক বাংলাদেশ একটা রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানটির পরিচালনার মূলনীতি হচ্ছে গণতন্ত্র। প্রতিষ্ঠানটির সেবা নেয় ১৮ কোটি ভোক্তা (জনতা)। একটা প্রতিষ্ঠান তো নিজে নিজে চলতে পারে না। তাই বাংলাদেশ সরকার কিছু প্রতিনিধি নিয়ে এই প্রতিষ্ঠানটা পরিচালনা করে। ১৮ কোটি মানুষের সমর্থনে এই পরিচালনা কমিটি গঠিত হয় প্রতি ৫ বছর পর পর। প্রতিষ্ঠানটির ভেতরে কয়েকটি দল আছে, যারা ১৮ কোটি মানুষের ভোটে নির্বাচিত হয়ে প্রতিনিধিত্বমূলক শাসন কমিটি (সরকার) গঠন করে। প্রশ্নটা বর্তমানে উঠছে এই প্রতিনিধিত্বমূলক শাসন কমিটি নিয়েই। তারাই বা তাদের মতাদর্শ কি নির্ধারণ করে দিচ্ছে দেশের অর্থনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, সাহিত্যিক ও প্রযুক্তিগত সকল কিছুকে?

একটা প্রতিষ্ঠানের পরিচালকের উপর নির্ভর করে প্রতিষ্ঠানের আচরণ কেমন হবে, কি হবে। এ কথা বলা বাহুল্য যে, সরকারের বা রাষ্ট্র পরিচালকদের আচরণের উপর নির্ভর করে প্রতিষ্ঠানের আচরণ। প্রতিষ্ঠানের আচরণ যদি হয় ইতিবাচক তবে জনগণ কোন প্রশ্ন তোলে না প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে। তবে নেতিবাচক হলে অনেকেই তা নিয়ে প্রশ্ন তোলে। সমসাময়িক সময়ে এই প্রতিনিধিত্বমূলক কমিটি (সরকার) নিয়ে অনেকেই অনেক প্রশ্ন তুলছেন। যদি মূলনীতিকে আঁকড়ে ধরেই (গণতন্ত্র) চলত তবে প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে কেন এত কথা হচ্ছে? এর মূল কারণ হিসেবে আমি রাজনৈতিক নির্ধারণকেই দোষী করব।

এবার আসা যাক রাজনৈতিক নির্ধারণবাদ কীভাবে জনতাকে গ্রাস করছে, কীভাবে জনতা এর শিকার। রাজনৈতিক নির্ধারণবাদ শব্দটি এর আগে কেউ ব্যবহার করেছে কি-না জানা নেই, তবে সময়ের প্রয়োজনে শব্দটির উদ্ভব হলো মাথায়। কার্ল মার্কসের ‘ইকোনমিক ডিটারমিনিজম’ এর ঠিক উল্টো অর্থে ব্যবহার করলাম শব্দটা। বর্তমানে আমরা যদি রাষ্ট্রের দিকে গভীরভাবে খেয়াল করি দেখতে পাব- অর্থনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, সাহিত্যিক ও প্রযুক্তিগত সবকিছুকেই এখন নির্ধারণ করছে রাজনীতি।

রাজনীতি যেদিকে যাচ্ছে এসবের পরিবর্তনের স্রোতও সেদিকে যাচ্ছে। একটা দেশের রাজনীতি যতটা স্বচ্ছল সে দেশ অর্থনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, সাহিত্যিক ও প্রযুক্তিগত দিক দিয়েও ততটা স্বচ্ছল।

আমাদের দেশের অর্থনীতিসহ রাষ্ট্রের সকল বড় বড় উপাদানগুলোকে প্রতিনিয়ত প্রভাবিত করছে রাজনীতি। আমাদের দেশের চেয়ে অনেক পরে দেশ স্বাধীন হয়েও অনেক দেশ এখন বাংলাদেশের চেয়ে অর্থনৈতিক দিক দিয়ে এগিয়ে। এর কারণ হিসেবে রাজনৈতিক নির্ধারণবাদের নেতিবাচক প্রভাব ‘রাজনৈতিক অস্বচ্ছলতাকেই’ আমি আগে নিয়ে আসব। কারণ আমি রাষ্ট্র পরিচালনা করি, আমার মধ্যেই তাহলে স্বচ্ছতা নেই যার কারণে আমার প্রতিষ্ঠান (রাষ্ট্র) অর্থনৈতিক দিক দিয়ে এগিয়ে যায়নি।

সাধারণভাবে বিষয়টা ব্যাখ্যা করা যাক। একটা মার্কেটকে কল্পনা করা যাক বাংলাদেশ হিসেবে। মার্কেটের মালিককে কল্পনা করা যাক প্রধানমন্ত্রী হিসেবে। মার্কেটে বেশ কয়েকটি দোকান আছে। প্রতিটি দোকানকে কল্পনা করা যাক মন্ত্রণালয় ও মালিককে কল্পনা করা যাক মন্ত্রী হিসেবে। মার্কেটটির দোকানপাট পরিচালনা করার জন্য প্রতিটি দোকানে রয়েছে কিছু লোক, যারা বিক্রয় কাজে নিয়োজিত। তাদের কল্পনা করা যাক সংসদ সদস্য হিসেবে। সেই দোকানগুলোতে কিছু লোক মালামাল/সেবা সাপ্লাই দেয় তাদের কল্পনা করা যাক ব্যবসায়ী বা পুঁজিপতি হিসেবে। এখানে ক্রেতা আছে যারা মার্কেট থেকে পণ্য-সেবা ক্রয় করে, তাদের কল্পনা করা যাক সাধারণ জনগণ হিসেবে। এই মার্কেটটের ‘বাস্তুসংস্থান’ পরিচালনা করার জন্য একটা নীতি আছে যাকে ধরা যাক গণতন্ত্র হিসেবে।

এখন কথা হচ্ছে- মার্কেটের মালিক ও দোকানের মালিক যদি তাদের নীতি ঠিক রেখে ব্যবসা পরিচালনা করে, ক্রেতাদের (জনগণকে) সেবা দিয়ে যায় তবে এই বাস্তুসংস্থানে তো কোন সমস্যা হওয়ার কথা না। অবশ্যই নীতির বাইরে গিয়ে কাজ করলে ক্রেতারা অসন্তোষ প্রকাশ করে। আর সঠিকভাবে যদি ব্যবসা পরিচালনা করা হয় তবে কি মার্কেটটা দিন দিন উন্নত হবে না? অবশ্যই হবে। ক্রেতাদের না ঠকালে কি ক্রেতারা অসন্তোষ প্রকাশ করবে? অবশ্যই না।

মার্কেটটির পরিচালনা নীতি যদি ঠিক থাকে, মালিক ও দোকানিরা যদি তাদের মূলনীতি ঠিক রেখে কাজ করে তবে প্রতিষ্ঠানের মালিকসহ ক্রেতারা থাকবে স্বচ্ছল। তাদের কোন অভিযোগ থাকবে না, যার কারণে মার্কেটটিকে ঘিরে যে সামাজিকতা গড়ে ওঠে তাও থাকবে সুষ্ঠু। আর তারা যদি ক্রেতাদের সাথে ব্যবসায় দুর্নীতি করে পণ্যের দাম বেশি রাখে (অর্থনৈতিক লুটপাট) তবে অভিযোগ উঠবে এটাই স্বাভাবিক। আর এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে ক্রেতারা যখন আন্দোলন করবে তবে মার্কেটটির সামাজিক অবস্থা ভেঙে পরবে দিন দিন। আর এভাবেই রাষ্ট্রের পুরো বাস্তুসংস্থানটা ভেঙে পরতে থাকবে।

এখন আসি, একটা মার্কেট যদি অনিয়ম না করে স্বচ্ছভাবে চলতে পারে তবে একটা রাষ্ট্র কেন নয়। হ্যাঁ, রাষ্ট্র একটা বৃহত্তর প্রতিষ্ঠান, প্রতিষ্ঠানটি পরিচালনা করতে গেলে গোলযোগ বিশৃঙ্খলা হবেই। তাই বলে দলমতভেদ এত কেন? এক দল অন্য দলকে কেন সবসময় খোঁচাখোঁচির উপর রাখছে?

একটা রাষ্ট্র তখনই সকল দিক দিয়ে স্বচ্ছল হবে যখন সেখানে রাজনীতি হবে স্বচ্ছল। অর্থনীতি কেমন হবে রাষ্ট্রের রাজনীতি তা ঠিক করে দেবে। মার্কেট পরিচালক ও বিক্রেতারা যদি দুর্নীতি করে তবে বাস্তুসংস্থানে যেমন গোলযোগ ঘটে, তেমনি রাষ্ট্র পরিচালকগণ যদি অস্বচ্ছ হয় একটা দেশের ‘বাস্তুসংস্থানে’ গোলযোগ হবে এটা খুবই স্পষ্ট। দেশের পরিচালনা কমিটি (সরকার) যদি তাদের নিজ নিজ যায়গায় স্বচ্ছ থেকে তাদের দায়িত্ব পালন করে তবে অর্থনৈতিক উন্নয়ন খুব কঠিন বিষয় না।

এবার আসা যাক সমাজ-সাহিত্য নিয়ে। সমাজকে নিয়ন্ত্রণ করে রাজনীতি এ কথা বলার অবকাশ নেই। যখন যে দল সরকার গঠন করে সমাজের মধ্যে সেই দলের প্রভাবই বেশি থাকে। স্বাভাবিক কিছু বিষয় ব্যতীত যখন সরকারদলের মতাদর্শ অনুযায়ীই সকল বিষয়ের সমন্বয়ে সমাজ পরিচালিত হয়। আওয়ামী ফ্লেভার...বিএনপি ফ্লেভার...ইত্যাদি কত কথাই না শোনা যায়!

অন্যদিকে, যখন যে দল ক্ষমতায় থাকে আমাদের ‘সাধুসমাজ’ সেই দলের বিরুদ্ধে বা সেই দল নিয়ে সমালোচনামূলক কিছু লিখতে পারে? আমার তো মনে হয় পারে না, লিখলেও কম পরিসরে। সরাসরি উদাহরণ দিয়েই বলি, ইদানীং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে বেশ কিছু বই লেখা হচ্ছে; শেখ হাসিনাকে নিয়ে সিনেমাও হচ্ছে। বিএনপি যখন সরকারে ছিল তখন কেন এগুলো হয়নি? আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলো, একটা ভালো অবস্থান নিল আর এগুলো প্রকাশ হতে শুরু করল। এখানে কি রাজনীতি নির্ধারণ করে দিচ্ছে না বিষয়টাকে?

অন্যদিকে, কিংবদন্তি রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানি কোথায়? ক’জন মানুষ তার নাম স্মরণ করছে? তাকে নিয়ে বই লিখছে কে? সিনেমা বানাচ্ছে কে? না কেউ তাকে নিয়ে সিনেমা বানায়নি।

এখন আসা যাক ‘প্রতিবন্ধী’ জনতার ব্যপারে। কিছু সমাজবিজ্ঞানী জনতাকে কল্পনা করেছে নদীর স্রোতের সাথে। এমন একটা নদী, যে নদীর স্রোতকে বিভিন্ন দিকে পরিবর্তন করা যায়। বর্তমানে জনতা আসলেই সেই স্রোতের মতো। রাজনীতিবিদেরা যখন ইচ্ছে, যেভাবে ইচ্ছে জনতার স্রোতকে তাদের ইচ্ছেমতো বিভিন্ন দিকে ধাবিত করছে। নির্ধারণ করে দিচ্ছে জনতার সকল কিছুকেই। জনতা একটা খেলার পুতুল মাত্র!

রাজনীতিবিদেরা তাদের যেভাবে সাজাচ্ছে তারা সেভাবেই সাজছে। তাদের নিজস্ব কোন গতিপথ নেই, যদিও কিছু কিছু ক্ষেত্রে ভিন্নতা রয়েছে। তাদের সকল কিছুর নির্ধারক হচ্ছে রাজনীতিবিদরা। সরকার যেমন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে (রাষ্ট্র) পরিচালনার ক্ষমতা পেয়ে তাদের মতাদর্শ চাপিয়ে দিচ্ছে জনতার ওপর, তেমনি বিরোধী দলগুলোও তাদের মতাদর্শ চাপিয়ে দিয়ে ফায়দা লুটার চেষ্টা করছে। জনতা মাঝখান থেকে রাজনৈতিক নির্ধারণবাদের চরম দুর্ভোগের শিকার!

প্রশ্ন উঠতে পারে কেনই বা জনগণ তাদের মতাদর্শগুলোকে গ্রহণ করছে বা মেনে নিচ্ছে। কেনই বা ভোট দিয়ে তাদের বিজয়ী করছে রাষ্ট্র পরিচালনা কার্যে। এর বেশ কিছু বড় কারণ আমাদের রাষ্ট্রে বিদ্যমান। মানুষের আসলে কিছু করার নেই, তার হাত-পা, মুখ শেকলে বাঁধা। রাজনৈতিক নির্ধারণবাদের প্রভাবে ক্ষতি হচ্ছে জেনেও কোন উপায় না পেয়ে এই ক্ষতিকর প্রভাবটি মেনে নিতে বাধ্য হয়। বিষাক্ত এই প্রভাব থেকে জনতা মুক্তির পথ খুঁজে পায় না।

আরও স্পস্ট করা যাক বিষয়টি। একজন ধূমপায়ি জানে ধূমপান কতটা ক্ষতিকর, তবুও সে ধূমপান করে। কারণ সে তা ছাড়তে পারে না। ধূমপানের একটা অভ্যস্ততা ও এর একটা প্রভাব তাকে ঘিরে রেখেছে। তেমনি রাজনীতির কিছু ক্ষতিকর প্রভাব মানুষকে ঘিরে রেখেছে যা থেকে চাইলেও মানুষ বের হতে পারে না। যেমন- রাজনীতিবিদদের (ক্ষমতায় থাকা সরকার) আইনের প্রভাব থেকে চাইলেও মুক্ত নয় জনতা।

আইন পাশ করার ক্ষমতা সরকারের। জনগণের কাছে কিছু আইন এমনভাবে চাপিয়ে দেওয়া হয় যার প্রভাব থেকে সে মুক্ত হতে পারে না। এই ক্ষতিকর প্রভাবটা খারাপ জেনেও তা মেনে নিয়েই জনতা প্রশান্তি অনুভব করার চেষ্টা করে। তাকে সমাজে টিকে থাকতে হলে, রাষ্ট্রে বসবাস করতে হলে এসব প্রভাব মেনে নিতে হয়।

শেষকথা- জনতা ‘পলিটিক্যাল ডিটারমিনিজম’ নামক এক ভয়াবহ ‘অস্ত্রের’ শিকার। রাজনীতির নির্ধারণ করে দেওয়া পথই রাষ্ট্রের সকল কিছুকে প্রভাবিত করে। রাজনীতিই নির্ধারণ করে দিচ্ছে তাদের সামাজিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক অবস্থা কি হবে, কেমন হবে। রাজনৈতিক নির্ধারণবাদের চাপে জনগণ ‘প্রতিবন্ধী’!

 

লেখকঃ মো. সবুজ খান

সহ-সম্পাদক, বিডিমর্নিং

Bootstrap Image Preview