Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৬ শুক্রবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১২ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

পরিবারকে ধ্বংস করার জন্য একজন মাদকাসক্তই যথেষ্ট: আইনমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১১ নভেম্বর ২০১৮, ০৬:৩৭ PM
আপডেট: ১১ নভেম্বর ২০১৮, ০৬:৩৭ PM

bdmorning Image Preview


আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, একটি পরিবারকে ধ্বংস করে দেওয়ার জন্য শুধু একজন সদস্য মাদকাসক্ত হওয়াই যথেষ্ট। মাদকের ব্যাপারে সরকারের অবস্থান অত্যন্ত কঠোর। তাই প্রশিক্ষণ শেষে বিচারকদের নিজ নিজ অধিক্ষেত্রে ফিরে গিয়ে মাদকের ব্যাপারে সমাজের দাবি ও অবস্থার কথা বিবেচনা করে ব্যবস্থা নিবেন।

আজ ঢাকায় বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটদের জন্য আয়োজিত চতুর্থ অরিয়েন্টেশন কোর্সের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, সমাজ কিন্তু বিচারকদের কাছ থেকে অনেক কিছু আশা করে। সমাজের অনেক সমস্যা আছে যেগুলো সমাজকে কুড়ে কুড়ে খেয়ে ফেলছে। পরিবারকে ধ্বংস করে দিচ্ছে। বিচার করার ক্ষেত্রে সমাজের চাওয়া-পাওয়াকে বিচারকদের বিবেচনায় নিতে হবে।

দুর্নীতির বিষয়ে তিনি বলেন, এটিও কিন্তু পরিবার বলেন, মূল্যবোধ বলেন, সমাজ বলেন সবদিক দিয়ে ক্ষতিকর। তাই এর বিরুদ্ধে বিচারকদেরও অবস্থান নিতে হবে।

বিচারকদের বাস্তবতার নিরিখে তৈরি হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশের জনগণ আপনাদের কাছ থেকে যে সেবা চায়, যা আশা করে তা দিতে কার্পণ্য করবে না।

মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু ১৯৭২ সালের ৪ নভেম্বর আমাদেরকে একটি সংবিধান দিয়ে গেছেন। সেই সংবিধানের ২২, ৯৪(৪) ও ১১৬(গ)- এই তিনটি ধারাতেই কিন্তু বিচার বিভাগের স্বাধীনতা সম্মন্ধে নির্দিষ্ট করে বলা আছে।

তিনি বলেন, ১৯৭৫ সালের পর এই সংবিধানকে যার যার ইচ্ছা অনুযায়ী সংশোধন করে ব্যক্তি স্বার্থ ও দলীয় স্বার্থ উদ্ধারের জন্য ব্যবহার করা হয়েছে। তাই বিচার বিভাগ সব সময় স্বাধীন ছিল আমি এটা মানতে রাজি না। বিচার বিভাগ সব সময় স্বাধীন ছিলনা। যদি বিচার বিভাগ স্বাধীন থাকতো তাহলে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের বিচারের জন্য ২১টি বছর অপেক্ষা করতে হতো না। বিচার বিভাগ স্বাধীন হয়েছে ২০০৭ সালের পহেলা নভেম্বর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়। কিন্তু বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা যদি সেটাকে আইনে পরিণত না করতেন তাহলে আজকেও অধস্তন আদালতের বিচারকরা নির্বাহী বিভাগের অধীনেই থাকতো।

বিচারকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আল্লাহর ইচ্ছা এবং বঙ্গবন্ধু কন্যার দূরদর্শিতায় আজকে আপনারা স্বাধীন কিন্তু এই স্বাধীনতা অনেকটাই প্রশ্নবিদ্ধ হতো যদি পরের ধাপগুলো সম্পন্ন না হতো। আপনারা যখন স্বাধীন হলেন, তখন আপনাদের বসার তেমন কোন ব্যবস্থা ছিলনা। এজলাস শেয়ার করে বিচার করতে হতো। জনগণ বিচার পাচ্ছিলনা। এটাই ছিল বাস্তব। বঙ্গবন্ধু কন্যা এই বাস্তবতা অনুধাবন করে সারা দেশে চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ভবন নির্মাণের ব্যবস্থা করেছেন। বর্তমানে আমরা অনেকদূর এগিয়ে গেছি।

তিনি বলেন, আমি বলবো না যে আমরা সব করে দিতে পেরেছি।
 
তিনি বলেন, বিচারকরা যাতে আর্থিকভাবে স্বচ্ছল থাকে সেজন্য তাদের বেতন প্রায় দ্বিগুণ বাড়ানো হয়েছে। এর ফলে বিচারকদের স্বাধীনভাবে কাজ করার মতো শিকড় তৈরি হয়েছে। দক্ষতা বাড়ানোর জন্য বিচারকদের অস্ট্রেলিয়া, ভারত, চীন ও জাপানে নিয়ে গিয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। আশপাশের দেশগুলো কিভাবে তাদের সমস্যা মোকাবেলা করছে।

বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক বিচারপতি খোন্দকার মূসা খালেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আইন ও বিচার বিভাগের সচিব আবু সালেহ শেখ মো. জহিরুল হকও বক্তৃতা করেন।

Bootstrap Image Preview