রংপুরে চাঞ্চল্যকর অ্যাডভোকেট রথীশ চন্দ্র ভৌমিক বাবু সোনা হত্যা মামলার প্রধান আসামি কামরুল ইসলাম আত্মহত্যা করেছেন বলে জানিয়েছেন রংপুর কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার আমজাদ হোসেন।
শনিবার ভোর সাড়ে ৫ টায় মারা যান। কারা কর্তৃপক্ষ তার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে।
জেলার আমজাদ হোসেন বলেন, ‘ভোরে ফজর নামাজের পর কান্নাকাটি করতে থাকেন কামরুল। এ সময় অন্য দুজন বন্দী নামাজ পড়ার জন্য অজু করতে যান। এই ফাঁকে নিজের গায়ের চাদর দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন কামরুল। পরে তাকে উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভোর সাড়ে ৫টার দিকে তিনি মারা যান।’
আমজাদ হোসেন জানান, বেশ কিছুদিন থেকে কামরুল ইসলাম অস্থিরতায় ভূগছিলেন। কারাগার থেকে আদালতে যাবেন না বলেও একাধিকবার আমাকে অনুরোধ করেছিলেন। কিন্তু আমরা কারাবিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নিয়েছি। তাকে কারাগার থেকে আদালতে পাঠিয়েছি।
রংপুর আদালতের সরকার পক্ষের আইনজীবী আব্দুল মালেক জানান, গত ৩০ অক্টোবর রথীশ চন্দ্র নিখোঁজ হলে ১এপ্রিল তার ছোট ভাই সুশান্ত ভৌমিক বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় মামলা দায়ের করেন। পরে তিন দিন পর ৪ এপ্রিল র্যাব-১৩ এর একটি দল তার বড় ভাইয়ের স্ত্রী দীপা ভৌমিককে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি নিজেই নগরীর মোল্লাটারী এলাকায় প্রেমিক কামরুল মাস্টারের ভাইয়ের নির্মাণাধীন বাড়িতে তার স্বামীকে পুতে রাখা হয়েছে বলে জানায়।
পরে র্যাব ও পুলিশ মাটি খুঁড়ে বাবু সোনার লাশ উদ্ধার করে। পরে পুলিশ সুরতহাল শেষে তারা লাশ ময়নাতদন্তের জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।
দীপা ভৌমিক ও কামরুল ইসলাম দুজনেই র্যাবের কাছে রথীশ হত্যার কথা স্বীকার করেন। পরে আদালতে ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
গত ৩০ অক্টোবর রংপুরের জেলা ও দায়রা জজ নিযামুল হকের আদালতে মামলার বাদী সুবল ভৌমিক ও তার ছোট ভাই বিপ্লবের সাক্ষ্য ও জেরার মধ্য দিয়ে বিচার কাজ শুরু হয়েছে। একের পর এক সাক্ষীদেরও সাক্ষ্য নেয়া হচ্ছে।