রাইড শেয়ারিং অ্যাপ পাঠাও ব্যবহারকারীর মোবাইল ফোন থেকে ব্যক্তিগত তথ্য গোপনে হাতিয়ে নিচ্ছে। এই অ্যাপ ব্যবহারের ফলে ব্যক্তির মোবাইল ফোনে থাকা মেসেজ, নম্বরসহ অন্যান্য সব ব্যক্তিগত তথ্য গ্রাহকদের অজান্তে পাঠাও’র কাছে চলে যাচ্ছে। এমনকি তারা নিজস্ব সার্ভারে সেগুলো সংরক্ষণও করছে। গ্রাহকের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে এমন তথ্যই পাওয়া গেছে। এভাবে দেশের প্রায় ১০ লাখ মোবাইল ব্যবহারকারীর মোবাইলে থাকা ব্যক্তিগত তথ্য গোপনে এখন পাঠাও-এর হাতে।
তবে যাদের বিরদ্ধে এই অভিযোগ, খোদ পাঠাও কর্তৃপক্ষও বিষয়টি স্বীকার করেছে। কিন্তু তারা দাবি করছেন, গ্রাহকদের ‘সর্বোচ্চ নিরাপত্তা’ দিতেই তারা এসব তথ্য সংগৃহ করছেন।
একজন গ্রাহক যখন পাঠাও অ্যাপস ডাউনলোড করে, তখন তার মোবাইল ফোন থেকে পাঠাওয়ের কাছে গ্রাহকের সব মেসেজ, ফোন নম্বর, ইনস্টল করা অ্যাপস সংক্রান্ত তথ্য অটোম্যাটিকলি চলে যায়। সাথে সাথে তার মোবাইলের হার্ডওয়ার সংক্রান্ত তথ্যও পাঠাওয়ের রিমোট সার্ভারে যুক্ত হয়। আর এভাবেই তারা সকল তথ্য হাতিয়ে নিচ্ছে।
তবে পাঠাওয়ের প্রাইভেসি পলিসিতে ব্যবহারকারীর নম্বর সংরক্ষণের কথা উল্লেখ থাকলেও মোবাইল ফোনে থাকা অন্যান্য তথ্যসহ নম্বর সংরক্ষণের বিষয়ে কিছু লেখা নেই।
এ বিষয়ে পাঠাওয়ের ভাইস প্রেসিডেন্ট আহমেদ ফাহাদ বলেন, ‘আমরা তথ্যগুলো নিচ্ছি কিছু সুর্নিদিষ্ট কারণে। একটি হচ্ছে ওটিপি এবং অপরটি হলো আমাদের গ্রাহকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। তবে যারা এই সার্ভারের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন তাদের এই তথ্য এক্সেস করার অনুমতি বা ক্ষমতা নেই বলে দাবি করেন ফাহাদ। যার ফলে তাদের কাছ থেকে তথ্য পাচারের ও কোনো সম্ভাবনা নেই বলে তিনি উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, ‘এসব মেসেজ কারও পড়া বা দেখার সুযোগ নেই। কারণ পলিসি লেভেলেই এই বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া রয়েছে।’
ফাহাদ আরও বলেন, ‘আমাদের পলিসি খুব শক্তিশালী যার ফলে ব্যবহারকারীর মেসেজ কেউ পড়তে পারব না।
অ্যাপ ডেভেলাপররা পাঠাও কর্তৃপক্ষের এই যুক্তিকে অযৌক্তিক হিসেবে দাবি করছেন । তাদের মতে, এই অ্যাপ ব্যবহারের মাধ্যমে চালকের ব্যক্তিগত তথ্যসহ জিপিএস সংক্রান্ত তথ্য পাঠাওয়ের কাছে যাচ্ছে। যার মাধ্যমে খুব সহজেই ব্যবহারকারীর অবস্থান জানা যায় এবং তাকে সহজেই উদ্ধার ও করা যায়।