বগুড়ার ধুনট উপজেলার ছোট চিকাশী গ্রামে মানাস নদীতে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করার অভিযোগ উঠেছে। এতে নদীর তীরবর্তী বসতবাড়ি ও ফসলি জমি ভাঙ্গনের উপক্রম হয়েছে।
এ বিষয়ে প্রতিকার চেয়ে শনিবার (১০ নভেম্বর) সকালে ওই গ্রামের ক্ষতিগ্রস্থ কৃষক রসুল আলী, জুয়েল রানা, জুয়েল মিয়া ও আজিজুর রহমানসহ কয়েক ব্যক্তি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) নিকট লিখিত অভিযোগ দিয়েছে।
জানা গেছে, উপজেলার চিকাশী ইউনিয়নের গজারিয়া ও ছোট চিকাশী গ্রামের পাশ দিয়ে বহমান মানাস নদী। গত ৫ অক্টোবর থেকে ছোট চিকাশী গ্রামের বাদশা মিয়ার ছেলে চপল মাহমুদ এক আওয়ামী লীগ নেতার নাম ভাঙ্গিয়ে মানাস নদীতে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছে। নদীর তলদেশ থেকে পাইপের সাহায্যে বালু তুলে একই গ্রামের অফফের আলীর পুকুর ভরাট করছেন। দীর্ঘদিন ধরে এভাবে বালু উত্তোলনের ফলে নদীর তীরবর্তী বসতবাড়ি ও ফসলি জমি ভাঙনের ঝুঁকিতে পড়েছে।
এ বিষয়ে ছোট চিকাশী গ্রামের জয়নাল আকন্দের ছেলে রসুল আলী বলেন, চপল মাহমুদ নামে এক ব্যক্তি মোটা অংকের টাকার চুক্তি নিয়ে আমাদের বসতবাড়ির সামনে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছে। খনন যন্ত্র দিয়ে বালু উত্তোলনের কারণে প্রায় ২০টি পরিবারের বসতবাড়ি ও ফসলি জমি ভাঙনের মুখে পড়েছে। এভাবে বালু উত্তোলন অব্যাহত থাকলে আমাদের বসতবাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাবে।
এবিষয়ে প্রতিকার চেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট বার বার লিখিত অভিযোগ দিয়েও কোন কাজ হচ্ছে না। এ বিষয়ে বালু ব্যবসায়ী চপল মাহমুদ বলেন, স্থানীয় প্রভাবশালী এক আওয়ামী লীগ নেতার আত্মীর পুকুর ভরাটের জন্য নদী থেকে বালু তোলা হচ্ছে। ওই আওয়ামী লীগ নেতা বালু উত্তোলনের জন্য প্রশাসনের নিকট থেকে মৌখিক অনুমতি নিয়েছে।
ধুনট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাজিয়া সুলতানা বলেন, মানাস নদী থেকে বালু উত্তোলনের জন্য কোন অনুমতি নেই। এ বিষয়ে এলাকাবাসীর অভিযোগটি তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।