Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৫ বৃহস্পতিবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১২ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

মৌলভীবাজার-৪ আসনে অধ্যাপক রফিকুলকে নৌকার মাঝি দেখতে চায় তৃণমূল নেতা-কর্মীরা

শ্রীমঙ্গল প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ১০ নভেম্বর ২০১৮, ০১:১০ PM
আপডেট: ১০ নভেম্বর ২০১৮, ০১:১৪ PM

bdmorning Image Preview


আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মৌলভীবাজার ৪ আসন ‘কমলগঞ্জ-শ্রীমঙ্গল’ আসনে নৌকার মাঝি হিসেবে অধ্যাপক মো. রফিকুল ইসলামকে চাচ্ছেন তৃণমূল নেতা-কর্মীরা।

আগামী নির্বাচনে দলীয় নেতা-কর্মী ও এলাকাবাসী দলমত নির্বিশেষে তার উপর আস্থা রাখতে চাইছে। কারণ হিসেবে তারা বলছেন, নেতা-কর্মীদের দূরে ঠেলে দিয়ে বর্তমান সংসদ সদস্য পারিবারিক লোকজন দিয়ে নিজস্ব বলয় সৃষ্টি ও বিএনপি জামাতের সঙ্গে আঁতাত করে দলের ত্যাগী নেতা-কর্মীদের কোনঠাসা করে রাখছে।

এছাড়া এলাকার প্রতিটি উন্নয়ন কাজ থেকে লুটপাট করে ভোটারদের আস্থা হারিয়ে ফেলেছে। ফলে ভোটাররা আর তাকে সংসদ সদস্য হিসেবে গ্রহণ করতে চাইছেন না। আগামী নির্বাচনে নৌকা প্রতীক এ আসনে বিজয়ী হতে হলে একজন সৎ নিষ্ঠাবান রোপকারী ও সাংগঠনিকভাবে নেতাকর্মীদের মূল্যয়ন করেন, এমন নেতাকে ভোট দিয়ে বিজয়ী করবেন বলে এলাকার তৃণমূল নেতা-কর্মী ও ভোটার এবং জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে।

প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়নের সুফলের বার্তা মানুষের কাছে প্রচারকারীরা নয়; জনগণের মাঝে উন্নয়নের সুফল পৌঁছাতে সহায়তাকারী নেতাদের ভোট দিতে চায় মৌলভী বাজার ৪ আসন তথা কমলগঞ্জ-শ্রীমঙ্গলের জনগণ।

প্রত্যন্ত অঞ্চলের অসহায় মানুষকে প্রদত্ত সরকারি বরাদ্দের বিভিন্ন আর্থিক ও সামাজিক সেবা এবং শিক্ষা, চিকিৎসাসহ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার করা উন্নয়ন ছোঁয়ায়  মানুষের জীবনে পরিবর্তনে সহায়তা করছেন প্রচার বিমুখ একজন মানুষ অধ্যপক মো. রফিকুল ইসলাম। দীর্ঘ রাজনৈতিক আন্দোলন সংগ্রামের অকুতভয় সৈনিকের দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি যিনি সরকারি উন্নয়নের সুফল দরিদ্র মানুষ বিশেষ করে এলাকার পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী ও চা শ্রমিকদের কাছে পৌছনোর জন্য দীর্ঘদিন ধরে অনবরত কাজ করে যাচ্ছেন।

এলাকার মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে তিনি আগামীতে এলাকায় শিল্পায়নের মাধ্যমে যুবকদের শতভাগ কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করার জন্য পরিকল্পনা করছেন। দেশের অন্যতম চা উৎপাদনকারী এ অঞ্চলে চা প্রক্রিয়া করণ শিল্প গড়ে বেকার চা শ্রমিকদের পুনর্বাসনের জন্য বিভিন্নভাবে চেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন।

এছাড়া এলাকার মানুষের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে কাজ করে চলছেন। মৌলভী বাজারের কমলগঞ্জ ও শ্রীমঙ্গলের ভোটার, স্থানীয় রাজনৈতিক নেতা এবং একাধিক জনপ্রতিনিধি প্রতিবেদককে বলেন, সময়ের কোকিলদের এখন আর মানুষ ভোট দিবেনা। যারা দীর্ঘদিন ধরে মাঠ পর্যায়ে থেকে মানুষের সেবা করেছে, নেতা-কর্মীদের সব সময় পাশে ছিল, ভোটের মাঠে প্রার্থী হিসেবে তাঁকেই চাচ্ছে সাধারণ ও তরুণ ভোটাররা।

স্থানীয় চা শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মাখন কর্মকার তিনি বলেন, আমাদের কেউ তেমন কোন মূল্যায়ন করে না। কিন্তু ভোটের সময় সবাই আমাদের কাছে আসতে  হয়। এই আসনে চার লাখ ভোট  আছে আর এই সব ভোটের ৬৫% ভোট হচ্ছে সংখ্যালঘু তাই আসছে নির্বাচনে আমরা ভোট খুব হিসাব করে দিবো। যাকে আমরা সব সময় আমাদের দুঃখে-সুখে পাবো আমাদের সব ভোট সবাই মিলে তাকেই দিবো বলে জানান।

স্থানীয় উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান সাগড় হাজড়া তিনি প্রতিবেদককে জানান, অতিতে যা ভুল করেছি তা বর্তমানে করতে চাই না। আমরা চাই আমাদের মাঝে যেই আসুক তাকে যেন ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অন্তত ২ ঘণ্টা আমাদের মাঝে পাই। এলাকায় উন্নয়নের মাঝে তাকে যেন পাই বলে জানান।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক স্থানীয় প্রতিনিধিরা বলেন, বর্তমান সংসদ সদস্য উপাধ্যক্ষ আব্দুস শহিদ দলীয় নেতাকর্মীদের বাদ দিয়ে বিএনপি জামায়াত নেতাকর্মীদের সঙ্গে আঁতাত করে সীমাহীন লুটপাট করছে। যার কারণে নেতা-কর্মীরা পরিবর্তন চাইছে। তবে এক্ষেত্রে কর্মী বান্ধব নেতা অধ্যাপক রফিকের দিকে ঝুকছে তারা। বিষয়টি দলীয় হাইকমান্ডকেও জানানো হয়েছে। হাইকমান্ড কি সিদ্ধান্ত নেয়, এখন তাই দেখার বিষয়। এ মুহুত্বে রফিকের বাইরে অন্য কোন নেতা দলীয় টিকেট আনলেও নৌকার জয় নিয়ে সন্দেহ দেখা দিবে বলে মনে করেন তারা।

Bootstrap Image Preview