ড. কামাল হোসেনের বেইলি রোডের বাসায় শনিবার রাত ৮টায় বৈঠকে বসতে যাচ্ছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। একাদশ সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করতে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। ঐক্যফ্রন্টের রাতের বৈঠকে চমক আসতে পারে বলে জানা গেছে নির্ভরযোগ্য সূত্রে।
তার আগে বিকাল ৫টায় বিএনপির স্থায়ী কমিটি ও সন্ধ্যায় ২০ দলীয় জোট গুলশানে পুনরায় বৈঠকে বসছে। বিএনপির বৈঠকে আগামী নির্বাচনি পরিকল্পনা তৈরি করবেন দলটির নেতারা।
সন্ধ্যা ৭টায় গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে ২০ দলীয় জোটের বৈঠকে নির্বাচন, মনোনয়ন ও আগামী দিনের কর্মসূচি নিয়ে আলোচনা হবে। এছাড়া লন্ডনে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের সঙ্গেও আরেক দফা কথা বলবেন বিএনপির দায়িত্বপ্রাপ্তরা। সব আলোচনা শেষে দু-এক দিনের মধ্যেই আসবে নির্বাচনে অংশ নেয়া না নেয়া সংক্রান্ত ঘোষণা।
বিএনপির একটি সূত্র জানিয়েছে, নির্বাচনে অংশ নিতে হলে জোটগতভাবে বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নেয়ার প্রয়োজন আছে। কেননা, জোটগতভাবে প্রার্থী দিতে হলে তিন দিনের মধ্যে তা জানাতে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে। তাই আজকের উভয় জোটের বৈঠকে এ বিষয়টিও আলোচনায় আসবে।
জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট, বিএনপি এবং ২০ দলীয় জোট সূত্র জানিয়েছে, ঘোষিত তফসিলে নির্বাচনে অংশ নেয়া এবং সুষ্ঠু নির্বাচনের পথে কী কী প্রতিবন্ধকতা আছে, তা নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণ চলছে বিএনপির থিংক ট্যাংক বা বিশেষজ্ঞ মহলে।
উভয় জোটের পক্ষ থেকে গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে সরকার, নির্বাচন কমিশন এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কার্যক্রম। তফসিল ঘোষণার পরও বিভিন্ন জেলায় বেশ কয়েকজন নেতাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
রাজশাহীতে জনসভায় যোগ দিতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির লক্ষ্যে বাস চলাচলে বিঘ্ন ঘটানো হয়েছে। ওই সমাবেশকে কেন্দ্র করে মহড়া দিয়েছেন সরকারদলীয় নেতাকর্মীরা। এছাড়া গত কয়েক দিনে ২২ শতাধিক নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, শুক্রবার নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বলেছেন, জোটগতভাবে নির্বাচন করতে চাইলে তিন দিনের মধ্যে কমিশনকে জানাতে হবে। আজই দলগুলোকে এ বিষয়ে চিঠি দেয়া হবে।