Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৫ বৃহস্পতিবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১২ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

জীবননগরে পূর্বশত্রুতার জের ধরে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, কাউন্সিলরসহ আহত ৬

মিঠুন মাহমুদ, জীবননগর (চুয়াডাঙ্গা) প্রতিনিধিঃ
প্রকাশিত: ০৮ নভেম্বর ২০১৮, ১১:০১ PM
আপডেট: ০৮ নভেম্বর ২০১৮, ১১:০১ PM

bdmorning Image Preview


জীবননগরে পূর্বশত্রুতার জের ধরে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে ওয়ার্ড কাউন্সিলরসহ একই পরিবারের ৫ জনকে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে, ৫নং ওর্য়াড কাউন্সিলর খন্দকার আলী আজম গ্রুপের সদস্যদের বিরুদ্ধে।

বৃহস্পতিবার (৮ নভেম্বর) সন্ধা সাড়ে ৭টার সময় পৌরসভার ৫ নং ওর্য়াডের লক্ষীপুর মিলপাড়ায় বিচার মুজলিশে এ ঘটনা ঘটে।

এতে আহত হন, লক্ষীপুর মিলপাড়ার মৃত আবুল কাশেমের ছেলে পৌর সভার ৫নং ওর্য়াড কাউন্সিলর খন্দকার আলী আজম (৪৫), জব্বার হালদারের ছেলে আলমগির (৩৫), একই পরিবারের মৃত কালাইকান্ত ব্যাপারীর ছেলে আনসার আলী (৬০), আনসার আলীর ছেলে জীবননগর সাংবাদিক সমিতির সদস্য রমজান আলী (৩০), আনসার আলীর ছেলে রিয়াজুল ইসলাম (২৫), এবং আনসার আলীর ছেলে শরিফুল ইসলাম (৩৮)।

আহত রমজান আলী বলেন, গত কয়েকদিন আগে কাউন্সিলর আলী আজম গ্রুপের শিশিরসহ বেশ কিছু ছেলে মিলে লক্ষীপুর মিলপাড়ায় আমাদের ভুট্রার জমিতে ছবি তুলতে যায়। সেখানে বেশ কিছু ভুট্রাগাছ ভেঙ্গে ফেললে আমার বাবা তাদের জমি থেকে যেতে বললে তারা আমার বাবাকে ধাক্কা মেরে মাটিতে ফেলে দেয়। পরবর্তীতে আমি আর আমার ভাই তাদের বিষয়টি বললে আমাদের উপর চড়াও হয়ে তারা আমাদের গালিগালাজ করতে থাকে। এক পর্যায় তাদের নিষেধ করলে তারা আমাদের মারতে আসে। এসময় দুই জনের মধ্যে একটি হাতাহাতি সৃষ্ঠি হয়।

বিষয়টি আমি কাউন্সিলর আলী আজমকে বললে, তিনি বিষয়টি নিয়ে গ্রামে বসার কথা বলে আমরা তার দেওয়া সময়ে গতকাল হাজির হলে সেখানে কাউন্সিলর তাদের পক্ষ নিয়ে আমাদের উল্টো দোসারফ করে আমরা প্রতিবাদ করলে কাউন্সিলরের লাঠিয়াল বাহিনী আমাদের উপর হামলা চালায়। এতে আমিসহ আমার পরিবারের সকলকে তারা পিটিয়ে রক্তাত্ব জখম করে।

এ সময় স্থানীয় জনগণ আমাদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য জীবননগর হাসপাতালে ভর্তি করে। এদিকে ঘটনাটি অন্যদিকে প্রভাবিত করার জন্য কাউন্সিলর আহত হওয়ার ভান করে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে উন্নত চিকিৎসার নামে ভুয়া কাগজ করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়।

কাউন্সিলর খন্দকার আলী আজমের সাথে কথা বলার জন্য চেষ্ঠা করা হলে ফোনটি রিসিভ না হওয়ায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

এদিকে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত কাউন্সিলরসহ ৬ জনকে দেখতে জীবননগর হাসপাতালে ছুটে যান পৌরমেয়র জাহাঙ্গীর আলম। জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডাঃ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র দুই গ্রুপের মধ্যে যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনায় শরিফুল নামের একজনের অবস্থা একটু গুরুত্বর। তাছাড়া সকলের অবস্থা আশস্কামুক্ত।

জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ গনি মিয়ার সাথে কথা বললে তিনি বলেন, পৌরসভার লক্ষীপুর গ্রামে দুই গ্রুপের মধ্যে তুচ্ছ ঘটনা কেন্দ্র করে এ ঘটনা ঘটেছে। তবে এখন পরিবেশ শান্ত তা ছাড়া তেমন বড় ধরনের কোন সমস্যা হয়নি। তবে এ বিষয়ে যদি কোন মামলা হয় তা হলে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
 

Bootstrap Image Preview