Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১৯ শুক্রবার, এপ্রিল ২০২৪ | ৫ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

মালিকানাধীন জমি থেকে জোড়পূর্বক মাটি কাটার অভিযোগে আদালতে মামলা

সিরাজুল ইসলাম শিশির, সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
প্রকাশিত: ০৮ নভেম্বর ২০১৮, ০৬:৪৭ PM
আপডেট: ০৮ নভেম্বর ২০১৮, ০৬:৪৭ PM

bdmorning Image Preview


সিরাজগঞ্জে নলকা ইউনিয়নের নলকা ব্রীজ সংলগ্ন এলাকায় মালিকাধীন জমি থেকে জোড় পূর্বক অবৈধভাবে মাটি কেটে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

এ বিষয়ে জমির মালিক আজিজুল হক বাদী হয়ে পাঁচলিয়া গ্রামের মৃত কোবাদ আলী সরকারের ছেলে আরাফাত সরকার ও সলঙ্গার চড়িয়া আকন্দপাড়া গ্রামের মৃত মোকছেদ আলী সরকারের ছেলে আলম সরকারসহ অজ্ঞাত ৩০/৪০ জনের বিরুদ্ধে বিজ্ঞ আদলতে একটি এম আর মামলা দায়ের করেছেন । মামলাটি বর্তমানে বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালত সিরাজগঞ্জে বিচারাধীন রয়েছে।

মামলায় উল্লেখ আছে যে, নলকা ব্রীজ সংলগ্ন এলাকায় আজিজুল হকের নিজস্ব সম্পত্তি থেকে বেশ কিছুদিন যাবত জোড়পূর্বক ট্রাক ভর্তি করে মাটি কেটে নিতে থাকে, আরফাত সরকার ও আলম সরকারের লোকজন । তাতে বাঁধা দিলে জমির মালিককে বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি ও হুমকি ধামকি দেয়। পরে উপায় না পেয়ে আদালতে মামলাটি দায়ের করেন জমির মালিক । এই মামলার তদন্ত ভার দেওয়া হয়েছে উপজেলা এসিলেন্ড অফিসকে। 

বৃহস্পতিবার (৮ নভেম্বর) সকালে সাহেবগঞ্জ ভূমি অফিসের তফশিলদার (নায়েব) শামসুল আলম মামলাটি তদন্ত করার জন্য গেলে। এ সময় ওই এলাকার বিভিন্ন জমির মালিকসহ প্রায় শত শত লোকজন ভিড় জমায়, ক্ষোভ প্রকাশ করে এবং তারা এর সুষ্ঠু বিচার চায়।   

এ বিষয়ে জমির মালিক বাদি আজিজুল হকের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, আমার নিজস্ব সম্পত্তি থেকে বেশ কিছুদিন যাবৎ অবৈধভাবে মাটি কেঁটে নিয়ে যাচ্ছে কতিপয় কিছু মহল। এতে আমার জমি নিচু হয়ে যাচ্ছে। ভবিষ্যতে এটা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যেতে পারে। তাদেরকে বাধাঁ দিলে তারা নানাভাবে হুমকি ধামকি দেয় । ফলে উপায় না পেয়ে জমি রর্ক্ষাথে আদালতে মামলা দায়ের করেছি। কিন্তু দু:খের বিষয় যে, উক্ত স্থান থেকে কেউ যাতে আর মাটি কাটতে না পারে, সেই জন্য সলঙ্গা থানা থেকে ১৪৪ ধারা জারীসহ একটি নোটিশ প্রদান করে। তারপরেও মাটি কাঁটা থেমে নাই।

সাহেবগঞ্জ ভূমি অফিসের তফশিলদার (নায়েব) শামসুল আলম বলেন, আমরা ইতিপূর্বে উক্ত স্থানটি তদন্ত করেছি ২/৩ দিনের মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট আমরা এসিলেন্ড অফিসে প্রেরণ করব।

এ বিষয়ে সলাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহাঙ্গীর জান্নাত মো: তাজুল হুদা সাথে কথা বললে তিনি জানান, মামলাটি বর্তমানে আদলতে বিচারাধীন রয়েছে ও এসিলেন্ড অফিসকে তদন্ত করতে বলা হয়েছে । কেউ যাতে উক্ত স্থান থেকে মাটি কাটতে না পারে সে জন্য একটি নোটিশ প্রদান করেছি। এরপরেও কেউ যদি এই আইন অমান্য করে মাটি উত্তোলন করে, তার বিরুদ্ধে আমরা আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।  
 

Bootstrap Image Preview