Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৯ শুক্রবার, মার্চ ২০২৪ | ১৪ চৈত্র ১৪৩০ | ঢাকা, ২৫ °সে

ঐক্যফ্রন্টের উল্টো অবস্থানে যুক্তফ্রন্ট

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৬ নভেম্বর ২০১৮, ০৭:২১ PM
আপডেট: ০৬ নভেম্বর ২০১৮, ০৭:২১ PM

bdmorning Image Preview
ফাইল ছবি


সাবেক রাষ্ট্রপতি এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী নেতৃত্বাধীন রাজনৈতিক জোট যুক্তফ্রন্ট একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন না পেছানোসহ ৫ দফা দাবি জানিয়েছে।

মঙ্গলবার (৬ অক্টোবর) বিকাল ৫টার দিকে বিকল্পধারার মহাসচিব আব্দুল মান্নানের নেতৃত্বে ৯ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদার সঙ্গে নির্বাচন ভবনে বৈঠক করেন।

বৈঠকে যুক্তফ্রন্টের পক্ষ থেকে নির্বাচন কমিশনের কাছে পাঁচ দফা দাবি তুলে ধরা হয়। এগুলো হচ্ছে-

১. সমস্ত জাতি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে। *নির্বাচন কমিশনের Constitutional and Conscience আপনাদের প্রয়োগ করতে হবে। তবে এটা করতে ব্যর্থ হলে জাতি আপনাদের ক্ষমা করবে না।

২. নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা অকারণে বিলম্ব হলে জাতির মধ্যে সংশয়, বিভ্রান্তি ও হতাশা সৃষ্টি হবে, যা কোনোক্রমেই কাম্য নয়।

৩. জাতির প্রত্যাশায় যাতে কোনোরকম অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির উদ্ভব না হয়, সেটা দেখা নির্বাচন কমিশনের সাংবিধানিক ও নৈতিক দায়িত্ব।

৪. জনগণের এই সময়ের অবাধ, সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবির প্রতি যুক্তফ্রন্টের নিরঙ্কুশ সমর্থন রয়েছে।

৫. সরকার বা অন্য কোনো জোটের চাপ বা ভয়ভীতি প্রদর্শন করলে নির্বাচন কমিশন মাথানত করবে না- এটা যুক্তফ্রন্ট ও সাধারণ মানুষের প্রত্যাশা।

কারণ: ক) নির্বাচন কমিশন তফসিল ঘোষণার পর শতভাগ মাননীয় রাষ্ট্রপতির অধীন।

খ) নির্বাচনের সাথে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িত কর্মচারীদের নির্বাচন কমিশনের অধীনস্থ করতে হবে।

গ) তফসিল ঘোষণার পর এমপিগণ সংশ্লিষ্ট এলাকায় কোনও প্রকল্প উদ্বোধন/ প্রতিশ্রুতি যাতে না দিতে পারে সেজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। মন্ত্রী ও এমপিদের সরকারি সুযোগ-সুবিধা প্রত্যাহার করতে হবে।

ঘ) সরকারি দলের প্রার্থীদের বিলবোর্ড, ব্যানার, পোস্টার অবিলম্বে অপসারণ করতে হবে।

প্রসঙ্গত, এর আগে গতকাল সোমবার জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের একটি প্রতিনিধিদল তফসিল পেছানো জন্য নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে দেখা করে। একপর্যায়ে সেখানে উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময়ের ঘটনাও ঘটেছিল। ইসি আগামী ৮ নভেম্বর তফসিল ঘোষণার সম্ভাব্য তারিখ নির্ধারণ করেছিল।

উল্লেখ্য, সুষ্ঠু ভোটের দাবিতে জাতীয় ঐক্য গড়তে একসঙ্গে কাজ শুরু করেন বি চৌধুরী ও ড. কামাল হোসেন। পরে জামায়াত প্রশ্নের মতের মিল না হওয়ায় ঐক্যফ্রন্টে যোগ দেননি বি চৌধুরী।

Bootstrap Image Preview