তথ্যমন্ত্রী ও জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু বলেছেন, একইসাথে নির্বাচন-গণতন্ত্রের কথা বলা আর খালেদা-তারেকের মুক্তি দাবি আসলে নির্বাচনকে জিম্মি করে ভয়ংকর অপরাধীদে ফেরেশতা বানানোর পাঁয়তারা। একারণেই ঐক্যফ্রন্ট তাদের ৭ দফা পরিষ্কার করতে পারেনি, আমার পাঁচ প্রশ্নের জবাবও দিতে পারেনি।
আজ সোমবার বিকেলে রাজধানীর কচুক্ষেতে মিলি সুপার মার্কেটের সামনের চত্বরে জাসদের নির্বাচনী জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি একথা বলেন।
কাফরুল থানা জাসদ সভাপতি রাস মাসুদউর রহমানের সভাপতিত্বে সভায় জাসদ মনোনীত প্রার্থী হিসেবে ঢাকা ১৫ আসনে মুহাম্মদ সামছুল ইসলাম সুমন, ঢাকা ১৭ আসনে মীর হোসাইন আখতার ও ঢাকা ১৪ আসনে নূরুল আখতারের নাম প্রস্তাব করে হাসানুল হক ইনু বলেন, এরা সামনের কাতারে থেকে বিএনপি-জামাতের জঙ্গি তাণ্ডব মোকাবিলা করেছে।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, গণতন্ত্রের বিকল্প সামরিকতন্ত্র নয়, মুক্তিযোদ্ধার বিকল্প রাজাকার নয়, উন্নয়নের নেত্রী শেখ হাসিনার বিকল্প আগুনসন্ত্রাসের নেত্রী খালেদা জিয়া নয়। দেশে শান্তি আর উন্নয়নের ধারা বজায় রাখতে রাজাকার-জামাত সমর্থিত বিএনপিকে ক্ষমতার বাইরেই রাখতে হবে, শেখ হাসিনার সরকারকেই দেশ পরিচালনার দায়িত্ব দিতে হবে।
ইনু বলেন, যারা নির্বাচন-তফসিল পেছানোর দাবি করছেন, তারা আসলে নির্বাচন বানচাল করারই ষড়যন্ত্র করছেন। সরকারের কাছে নয়, নির্বাচন-তফসিল পেছানোর দাবি নির্বাচন কমিশনের কাছে করুন, খালেদা-তারেকের মুক্তির দাবির জন্য আদালতের বারান্দায় যান, বলেন জাসদ সভাপতি।
তথ্যমন্ত্রী এ সময় জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা ড. কামাল হোসেনের কাছে পাঁচটি প্রশ্ন পুনরায় উত্থাপন করে বলেন, রাজবন্দির সংজ্ঞা কী, রাজবন্দির তালিকা কিভাবে তৈরি করবেন এবং তাতে কাদের নাম থাকবে? রাজনৈতিক মামলার সংজ্ঞা কী, নিরপেক্ষ ও নির্দলীয় ব্যক্তি খুঁজে বের করার প্রক্রিয়া কী? সংবিধানের কোন জায়গায় নির্দলীয় নিরপেক্ষ ব্যক্তিকে প্রধানমন্ত্রী বানানোর বিধান আছে? সশস্ত্র বাহিনীকে বিচারিক মতা দেওয়ার নিয়ম কী? আইনের শাসন এবং নল যার হাতে তার কাছে কি বিচারিক ক্ষমতা দেওয়া যায়? জাসদ নেতৃবৃন্দের মধ্যে মীর হোসাইন আখতার, নূরুল আখতার, মুহাম্মদ সামছুল ইসলাম সুমন, মোহাম্মদ নুরুন্নবী, মাইনুর রহমান প্রমুখ সভায় বক্তৃতা করেন।