Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৪ বুধবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১০ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

বাঘ মেরে যৌন ক্ষমতা বাড়ায় চীন!

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ০২ নভেম্বর ২০১৮, ০২:১৫ PM
আপডেট: ০২ নভেম্বর ২০১৮, ০২:১৫ PM

bdmorning Image Preview


ভারতের বাঘ মেরেই  চীন নিজ দেশের মানুষের যৌন ক্ষমতা বাড়ায় বলে দাবি করে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের বন দফতর বলছে, চীন  বাঘের মাংস থেকে একপ্রকার ওষুধ তৈরি করছে চীন যা যৌন ক্ষমতা বাড়ায়। ওষুধ তৈরির এই পদ্ধতিই ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের বন দফতরের শঙ্কার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। রাজ্যের বক্সা জাতীয় উদ্যানে বাঘ না থাকার অন্যতম কারণ এটাই হতে পারে বলে মনে করছেন তারা।

বক্সা, রাজ্যের অন্যতম বিখ্যাত ট্যুরিস্ট স্পট। প্রত্যেক বছর বক্সা ফোর্ট থেকে শুরু করে বক্সার জঙ্গল দেখার জন্য বহু মানুষ ভিড় জমায় সেই পাহাড়ি পথে। বক্সা জঙ্গলে প্রবেশের মুখে বড় বড় করে লেখা রয়েছে ‘বক্সা টাইগার রিজার্ভ ফরেস্ট’ অর্থাৎ এখানে বাঘের বিচরণ রয়েছে।

কিন্তু প্রকৃত ঘটনা হল এখানে কোনও বাঘ নেই। বন দফতরের রেকর্ড বলছে গত ২৫-৩০ বছরে বক্সার জঙ্গলে বাঘের দেখা মেলেনি। বছরখানেক আগে ক্যামেরা ট্র্যাপিংয়ে একটি বাঘের ছবি ধরা পড়েছিল বক্সায়। পড়ে ছবি বিশ্লেষণ করে বনদফতর জানিয়েছিল ওই বাঘ ভুটান পাহাড় থেকে আসা। এই ভুটান পাহাড়ই শঙ্কার কারণ রাজ্য বন দফতরের। কারণ বক্সা পাহাড়ের অপরদিকেই ভুটান পাহাড়। সেখানে সবজায়গায় কাঁটাতার বসানো নেই। প্রশ্ন উঠছে বাঘ যদি পাহাড় টপকে বক্সায় আসতে পারে। চীনের চোরাশিকারিরা তাদের দেশের খুব কাছেই থাকা ভুটানের পাহাড় দিয়ে বক্সায় না আসা কোনও অসম্ভব ব্যাপার নয়।

বন দফতরের কর্মকর্তা বনপাল রবিকান্ত সিনহা বলেন, গত পঁচিশ ত্রিশ বছরে এরকম কোনও ঘটনা ঘটেনি বলেই আমাদের বিশ্বাস। তবে একেবারে হলফ করে বলা শক্ত। চোরাশিকারিরা যা খুশি করতে পারে।

একইসঙ্গে তিনি বলেন, গত পঁচিশ ত্রিশ বছরে বাঘ না দেখতে পাওয়ার কারণ এটাই হতে পারে। এখন না হলেও আজ থেকে ত্রিশ বছর আগে প্রযুক্তি এত উন্নত ছিল না। কে বলতে পারে ওই সীমানা দিয়ে চোরাশিকারিরা ঢুকে বাঘ মেরে নিয়ে যায়নি বা এখান থেকে বাঘ মেরে চীনে পাচার হয়নি। সে কারণেই হয়তো টাইগার রিজার্ভ ফরেস্ট হয়েও বক্সায় কোনও বাঘ দেখতে পাওয়া যায় না।

তার শঙ্কার কারণ আরও রয়েছে। তিনি বলেন, আগে তো লুকিয়ে চুরি হতো। এখন তো বাঘ মারার জন্য চীন সিলমোহর দিয়েছে। চোরাশিকারিরা তো এবার লাফিয়ে পড়বে। পাশাপাশি আমাদের দেশের এক শৃঙ্গ গণ্ডারও বিশেষ মাথা ব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়াবে। গণ্ডারের শিং থেকেও ওরা ওষুধ বানাচ্ছে বলে শুনছি।

রবিকান্ত সিনহা বলেন, এই জায়গাটা এমন একটা জায়গা যেটা পশ্চিমবঙ্গের সীমার মধ্যে হলেও এখানে যা ঘটনা ঘটে তার বড় দায়িত্ব যায় কেন্দ্রীয় সরকারের হাতে। ডোকালম ইস্যুও এখানে চলে আসছে। আমাদেরে কেন্দ্রীয় সরকারসহ অন্যন্য দেশ চীনের এই কাণ্ডকারখানা নিয়ে সরব হয়েছে। এই বিষয়টা নিয়ে ওনারা দেখছেন কি করা যায়। ওখান থেকে যা অর্ডার আসবে সেই স্টেপ আমরা নেব।

Bootstrap Image Preview