Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৫ বৃহস্পতিবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১২ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

জেএসসি পরীক্ষা দিচ্ছেন ৪১ বছর বয়সী হরষিত

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ০১ নভেম্বর ২০১৮, ০৯:১৮ PM
আপডেট: ০১ নভেম্বর ২০১৮, ০৯:১৮ PM

bdmorning Image Preview


৪১ বছর বয়সী হরষিত বাড়ৈ। ছোটবেলায় বাবা মারা যায় তার। বাবার মৃত্যুর পর করে সংসারের হাল ধরতে হয়েছে তাকে। খেত-খামারে কাজ করতেন। তাই শৈশবেই স্কুলে যাওয়া বন্ধ হয়ে যায় তার।

শৈশবেই পড়ালেখা বন্ধ হয়ে গেলেও পড়ালেখার প্রতি তার আগ্রহ ছিল প্রবল। অভাব-অনটনের কারণে প্রবল ইচ্ছাকে দমিয়ে রাখতে হয়েছিল হরষিত বাড়ৈকে।

তাই জীবনের মাঝামাঝি বয়সে এসে যখন সেই শৈশবের প্রবল ইচ্ছে আবারও জেগে ওঠে। পড়ালেখা শুরু করেন হরষিত বাড়ৈ। ৪১ বছর বয়সে এবার অষ্টম শ্রেণির সমাপনী (জেএসসি) পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন তিনি।

কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে রাজিহার ভোকেশনাল ট্রেনিং সেন্টারের শিক্ষার্থী হরষিত শ্রীমতী মাতৃ মঙ্গল বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে পরীক্ষায় অংশ নেন। বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার রাজিহার ইউনিয়নের পার্শ্ববর্তী উপজেলা কোটালীপাড়া রামশীল গ্রামের মৃত হরে কৃষ্ণ বাড়ৈর ছেলে হরষিত বাড়ৈ। তার মায়ের নাম পবিত্র বাড়ৈ।

হরষিত বলেন, ছোটবেলায় বাবা মারা যান। এরপর অন্ধকার নেমে আসে আমার ও মায়ের জীবনে। যে বয়সে স্কুলে যাওয়ার কথা ছিল, সে বয়সে পরিবারের হাল ধরতে হয়েছে আমাকে। লেখাপড়া আর করা হয়নি। খেত-খামারে কাজ করে সংসার চালাতে হয়েছে।

তিনি বলেন, পড়ালেখা বন্ধ হলেও আগ্রহ ছিল সবসময়। লেখাপড়া ছাড়া কোনোভাবেই এগিয়ে যাওয়া সম্ভব নয় এটা খুব ভালোভাবেই উপলব্ধি করি। চতুর্থ শ্রেণির একটি চাকরির আবেদন করতে অন্তত অষ্টম শ্রেণির একটি সনদপত্র দরকার হয়।

তিনি আরও বলেন, পরে নতুন উদ্যমে পড়ালেখা শুরু করি। বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে আগৈলঝাড়ার রাজিহার ভোকেশনাল ট্রেনিং সেন্টারে কম্পিউটার অ্যান্ড ইনফরমেশন টেকনোলজি বিষয়ে ভর্তি হই।

পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শনে গিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বিপুল চন্দ্র দাসের বলেন, লেখাপড়ার কোনো বয়স নেই। যে কোনো বয়সে লেখাপড়া করা যায়। তার অনন্য উদাহরণ হরষিত।

Bootstrap Image Preview