Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২০ শনিবার, এপ্রিল ২০২৪ | ৭ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

উন্নয়নের বিচারের ভার ঐক্যফ্রন্ট নেতাদের ওপর ছেড়ে দিলেন প্রধানমন্ত্রী

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ০১ নভেম্বর ২০১৮, ০৮:৩০ PM
আপডেট: ০১ নভেম্বর ২০১৮, ০৮:৩০ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত


বর্তমান সরকারের উন্নয়নের বিচারের ভার ঐক্যফ্রন্ট নেতাদের ওপর ছেড়ে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমি এটা বিচার আপনাদের উপরই ছেড়ে দেবো, ৯ বছর ১০ মাস হতে চললো আমরা সরকারে। এই সময়ের মধ্যে দেশের কতোটুকু উন্নয়ন করতে পেরেছি, সেটা নিশ্চয়ই আপনারা বিবেচনা করে দেখবেন। তবে এটুকু বলতে পারি, বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ ভালো আছে; তাদের ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটছে। দিনবদলের যে সূচনা আমরা করেছিলাম সেই দিন বদল হচ্ছে এটাকে আরও সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।

বৃহস্পতিবার রাতে গণভবনে ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে সরকারি জোটের সংলাপের শুরুতে রাখা এক সূচনা বক্তব্যে একথা বলেন আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

নিজের সরকারি বাসভবনে সরকারবিরোধী জোটের সকলকে স্বাগত জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, গণভবন জনগণের ভবন, এখানে আপনাদের সকলকে স্বাগত জানাচ্ছি। আজকে এ অনুষ্ঠানে যে আপনারা এসেছেন...।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের জন্য আজকে আমরা যে আর্থ সামাজিক উন্নয়ন করে যাচ্ছি এবং দীর্ঘ সংগ্রামের পথ পাড়ি দিয়ে গণতন্ত্রের ধারা অব্যাহত রেখেছি, সেক্ষেত্রে বাংলাদেশের এই উন্নয়নের গতিধারা অব্যাহত রাখতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, এছাড়া এই দেশটা আমাদের সকলের। মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন করা; দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া এবং দেশের সার্বিক উন্নয়ন এটাই আমাদের মূল লক্ষ্য।

শেখ হাসিনা বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন করে লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতা আমাদের মহান নেতা জাতির পিতা বঙ্গ্ন্ধু শেখ মুজি্ুর রহমানের নেতৃত্বে আসরা এই স্বাধীনতা অর্জন করেছি। এই স্বাধীনতার সুফল যেনো, প্রতিটি মানুষের ঘরে ঘরে পৌছতে পারে সেটাই আমাদের একমাত্র লক্ষ্য।

সংলাপে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের পক্ষে ২০ সদস্যবিশিষ্ট প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন ড. কামাল হোসেন। আর ১৪ দলের পক্ষে ২৩ সদস্যবিশিষ্ট প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সোয়া ৬টার দিকে গণভবনে প্রবেশ করেন ১৪ দলের নেতারা। এর ২০ মিনিট পর প্রবেশ করেন ড. কামাল হোসেনসহ ঐক্যফ্রন্টের নেতারা।

এদিকে সংলাপে অংশ নিতে বিকেল ৪টায় ড. কামাল হোসেনের বাসায় বৈঠক করেন ঐক্যফ্রন্ট নেতারা। বৈঠকে সংলাপের এজেন্ডা ঠিক করা হয়। এর আগে গত মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে চিঠি পেয়ে সংলাপে যেতে ১৬ নেতাকে নির্বাচন করে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। আর সংলাপ শুরুর কয়েক ঘণ্টা আগে আজ আরো পাঁচজনকে যুক্ত করে তারা। ঐক্যফ্রন্টের পক্ষ থেকে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদককে দেওয়া এক চিঠিতে এই বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।

সিদ্ধান্ত হয়, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, গণফোরামের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোকাব্বির খান, জগলুল হায়দার আফ্রিক ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ও ম শফিকুল্লাহও যোগ দেবেন সংলাপে। এঁদের মধ্যে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ছাড়া অন্যরা সংলাপে যোগ দেন।

সংলাপে ১৪ দলের পক্ষে যাঁরা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সংলাপে যোগ দেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, মোহাম্মদ নাসিম, মো. আবদুর রাজ্জাক, কাজী জাফর উল্যাহ, আবদুল মতিন খসরু ও রমেশ চন্দ্র সেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, দীপু মনি, আবদুর রহমান ও জাহাঙ্গীর কবির নানক, দপ্তর সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হাছান মাহমুদ, আইনবিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট শ ম রেজাউল করিম, আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক, সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু ও জাসদের একাংশের সভাপতি মইন উদ্দীন খান বাদল।

জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের পক্ষে যাঁরা

জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক ও গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে সংলাপে অংশ নিয়েছেন দলের নির্বাহী সভাপতি সুব্রত চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফা মোহসীন মন্টু, মোকাব্বির খান, জগলুল হায়দার আফ্রিক ও আ ও ম শফিক উল্লাহ এবং বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মওদুদ আহমদ, জমিরউদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস ও আবদুল মঈন খান, জেএসডির সভাপতি আ স ম আবদুর রব, সাধারণ সম্পাদক আবদুল মালেক রতন, সহসভাপতি তানিয়া রব, নাগরিক ঐক্যের মাহমুদুর রহমান মান্না ও এস এম আকরাম, জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার আ ব ম মোস্তফা আমিন, সুলতান মোহাম্মদ মনসুর ও গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের জাফরুল্লাহ চৌধুরী।

Bootstrap Image Preview