Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৯ শুক্রবার, মার্চ ২০২৪ | ১৫ চৈত্র ১৪৩০ | ঢাকা, ২৫ °সে

প্রার্থী ঠিক, প্রকাশ্যে চলছে নির্বাচনী প্রচারণা

বিডিমর্নিং ডেস্ক-
প্রকাশিত: ০১ নভেম্বর ২০১৮, ১২:৩৩ PM
আপডেট: ০১ নভেম্বর ২০১৮, ১২:৩৩ PM

bdmorning Image Preview


কেরানীগঞ্জ উপজেলায় ইউনিয়ন ১২টি। আওয়ামী লীগ থেকে আগামী নির্বাচনে মনোনয়ন পাচ্ছেন বর্তমান সাংসদ নসরুল হামিদ বিপু। আর বিএনপির প্রার্থী দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। আকস্মিক কিছু না ঘটলে প্রার্থী পরিবর্তন হবে না বলেই মনে করেন দুই দলের নেতা-কর্মীরা। এভাবেই মোটামুটি ঠিক করাই আছে ঢাকা জেলার কেরানীগঞ্জ উপজেলায় আওয়ামী লীগ ও বিএনপির দুই দলের প্রার্থী।

প্রধান দুই দলের দুই প্রার্থী স্থানীয় বাসিন্দা। দুই দলের নেতা-কর্মীরা বলছেন, দুজনের মধ্যে ব্যক্তিগত সম্পর্কও ভালো। যে কারণে তেমন কোনো সংঘাত নেই এখানে। প্রার্থী ঠিক থাকায় আগাম নির্বাচনী প্রচারও চলছে। আওয়ামী লীগের প্রার্থীর পক্ষে চলছে উন্নয়নের প্রচার। অন্যদিকে বিএনপি এখনো প্রকাশ্যে নির্বাচনী প্রচারণা চালাচ্ছে না। তবে সাংগঠনিক বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে নির্বাচনী প্রচার চালাচ্ছে। এতে সুশাসনের অভাব, গণতন্ত্রহীনতা ও খালেদা জিয়ার কারাবাসের বিষয়টি তুলে ধরছেন নেতারা।

১৯৯১ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত কেরানীগঞ্জ উপজেলার ১২টি ইউনিয়ন নিয়ে ছিল একটি আসন। ওই সময়ে অনুষ্ঠিত চারটি নির্বাচনেই বিজয়ী হন বিএনপির আমান উল্লাহ আমান। আমানের ঘাঁটি হিসেবেই পরিচিতি পায় কেরানীগঞ্জ। ২০০৮-এর আসন পুনর্বিন্যাসে কেরানীগঞ্জ উপজেলাকে ভেঙে দুটি সংসদীয় আসন করা হয়।

সাংসদ নসরুল হামিদ সরকারের বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী। আগামী নির্বাচন পরিচালনার জন্য তিনি ইতিমধ্যে প্রস্তুতি কমিটি করেছেন। কেরানীগঞ্জকে নিয়ে তাঁর নতুন পরিকল্পনার কথা মানুষের কাছে তুলে ধরছেন। কেরানীগঞ্জ আওয়ামী লীগে পারিবারিক ঐতিহ্য আছে বিপুর পরিবারের। তাঁর বাবা হামিদুর রহমান বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে রাজনীতি করেছেন। আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষের দায়িত্বও পালন করেছেন। স্থানীয় পর্যায়ে ছাত্রলীগ থেকে শুরু করে উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক এবং পরে কেন্দ্রীয় নেতা হয়েছেন বিপু। ২০০১ সালে প্রথম নির্বাচন করে প্রায় ৭০ হাজার ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হন বিএনপির আমান উল্লাহ আমানের কাছে। ২০০৮ সালে ৪২ হাজার ভোটের ব্যবধানে গয়েশ্বর চন্দ্র রায়কে পরাজিত করে সাংসদ হন। এরপর ২০১৪ সালে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আবারও সাংসদ হন তিনি।

উন্নয়ন হলেও স্থানীয় আওয়ামী লীগের কমিটি নিয়ে হতাশা আছে কর্মীদের মধ্যে। দীর্ঘ ১৮ বছর ধরে আহ্বায়ক কমিটি দিয়ে চলছে কেরানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ। কেরানীগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী শুভাঢ্যা খাল উদ্ধার করা যায়নি দীর্ঘ সময়ে। এ নিয়ে এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভ আছে। যদিও সম্প্রতি নিজে উদ্যোগী হয়ে খাল দখলমুক্ত করার কাজ শুরু করেছেন সাংসদ বিপু।

২০০৮ সালে এই আসনে বিএনপি পরাজিত হলেও আগামী নির্বাচনে জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী নেতা-কর্মীরা। তাঁরা বলছেন, দলের প্রার্থী গয়েশ্বর চন্দ্র রায়কে এবার জয়ী করতে সবাই ঐক্যবদ্ধ। গয়েশ্বর রায়ের পুত্রবধূ উপজেলা বিএনপির সভাপতি নিপুণ রায় চৌধুরী মাঠে প্রচার চালাচ্ছেন।

বিএনপির নেতারা বলছেন, পুলিশের কারণে দলীয় কর্মকাণ্ড ঠিকভাবে পরিচালনা করা যাচ্ছে না।

সংসদীয় এই এলাকার ৫টি ইউনিয়নের ১০টি পরিবারের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, রাজধানীর খুব কাছের এই এলাকায় বিদ্যুতের সমস্যা রয়েছে। গ্যাসের সমস্যাও প্রকট। যে কারণে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের বিকাশ হচ্ছে না। বর্তমান সরকারের আমলে এখানে নতুন করে গ্যাস-সংযোগ দেওয়া হয়নি। আগামী নির্বাচনে এসব বিষয় জয়-পরাজয়ে প্রভাব ফেলতে পারে। 

Bootstrap Image Preview