Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৯ শুক্রবার, মার্চ ২০২৪ | ১৫ চৈত্র ১৪৩০ | ঢাকা, ২৫ °সে

ধর্মঘট শেষে স্বস্তি ফিরেছে বাজারে

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ৩১ অক্টোবর ২০১৮, ০১:৩৯ PM
আপডেট: ৩১ অক্টোবর ২০১৮, ০১:৩৯ PM

bdmorning Image Preview


সড়ক সড়ক পরিবহন আইন সংশোধনসহ আট দফা দাবিতে পরিবহন শ্রমিকদের ডাকা দেশব্যাপী ৪৮ ঘণ্টার পরিবহন ধর্মঘটের প্রভাবে বেড়ে গিয়েছিল প্রায় সব রকম সবজির দাম। তবে ধর্মঘট শেষে ফের স্বস্তি ফিরেছে রাজধানীর বাজারগুলোতে।

আজ বুধবার রাজধানীর কারওয়ানবাজার, হাতিরপুল বাজার, মিরপুর-৬নং বাজার ও মোহাম্মদপুর টাউনহল বাজারসহ বেশ কয়েকটি বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।

রাজধানীর সবজির বাজারগুলোতে দামের উত্থান-পতন যেন একটি নিত্যনৈমত্তিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। উৎপাদন কম, বাজারে চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম এসব অজুহাত অনেক পুরনো। উৎসব-পার্বনেও বেড়ে যায় সবজি বা অন্যান্য পণ্যের দাম। গত দু,দিন আগে টানা ৪৮ ঘণ্টার ধর্মঘটের ফলে রাতারাতি বদলে গিয়েছিল বাজারের চিত্র। মাত্র ২৪ ঘণ্টার ব্যাবধানে বাজারের প্রতি কেজি সবজিতে বেড়ে গিয়েছিল ২০ থেকে ৩০ টাকা। যাতে করে বিপাকে পড়েছিল রাজধানীবাসী।

তবে ধর্মঘট শেষ হওয়ার পর ফের স্বস্তি ফিরেছে বাজারে।রাজধানির বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ২২-২৬ টাকায়, প্রতি কেজি ধুন্দল বিক্রি হচ্ছে ৪০-৫০ টাকায়, ঝিঙ্গা বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়, প্রতি কেজি পটল বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়, প্রতি কেজি ঢেঁড়স বিক্রি হচ্ছে ৪০-৫০ টাকায়, প্রতি কেজি ওস্তা বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়, প্রতি হালি কাঁচা কলা বিক্রি হচ্ছে ২৫-৩০ টাকায়, প্রতি কেজি কাকরোল বিক্রি হচ্ছে ৪০-৫০ টাকায়, প্রতি কেজি মোগল শিম বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকায়।

এদিকে ধর্মঘটের সময় ১৩০-১৪০ টাকায় বিক্রি হওয়া প্রতি কেজি শিম আজ বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা কমে ৭০-৮০ টাকায়।

আর প্রতি কেজি টমেটো বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়। যা ধর্মঘটের সময় বিক্রি হয়েছে ১০০-১১০ টাকায়। প্রতি পিস ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে ৩০-৪০ টাকায়। যা ধর্মঘটের প্রভাবে বেড়ে বিক্রি হয়েছিল ৫০-৬০ টাকায়। আর প্রতি পিস পাতাকপিও বিক্রি হচ্ছে ফুলপির মত একই দামে। যাক বেড়ে বিক্রি হয়েছিল ৫০-৬০ টাকায়।

কারওয়ানবাজারের সবজি বিক্রেতা আমিন বিডিমর্নিংকে বলেন, ধর্মঘটের সময় ট্রাক চলাচল বন্ধ থাকায় মালামাল পরিবহণে বিপাকে পড়তে হয়েছিল আমাদের। ট্রাক বাড়া প্রায় দ্বিগুন হয়ে গিয়েছিল। যার ফলে এর প্রভাব পড়েছিল সবজির দামে। তিনি বলেন, এখন পণ্য পরিবহন স্বাভাবিক হয়েছে যার ফলে কমেছে সবজির দাম।

মিরপুর-৬নং বাজারের ব্যবসায়ী লাল মিয়া বিডিমর্নিংকে বলেন, ধর্মঘটের সময় বাজারে চাহিদা তুলনায় সবজির সরবরাহ কম ছিল। কিন্তু এখন ধর্মঘট প্রত্যাহার হওয়ায় বাজারে সবকিছুর দাম স্বাভাবিক পর্যায়ে নেমে এসেছে।

রাজধানীর মাছের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি কেজি রুই মানভেদে ২৪০-৪০০ টাকা, কাতলা ৩৫০-৪০০ টাকা, তেলাপিয়া ১৪০-২০০, আইড় ৭০০-৮০০ টাকা, মেনি মাছ ৪৫০-৫০০, বেলে ৩৬০-৫০০ টাকা, বাইন ৪০০-৬০০ টাকা, গলদা চিংড়ি ৫৫০-৮০০ টাকা, পুঁটি ২০০০-৩০০ টাকা, পোয়া ৪০০-৬০০ টাকা, মলা ৩২০-৪০০ টাকা, পাবদা ৪০০-৫০০ টাকা, বোয়াল ৪৫০-৫০০ টাকা, শিং ৪০০-৮০০, দেশি মাগুর ৫০০-৭০০ টাকা, শোল ৫০০-৭০০ টাকা, পাঙ্গাস ১৪০-১৬০ টাকা, চাষের কৈ ২০০-২৮০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া ৭০০ থেকে ৮০০ গ্রামের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৫০০ থেকে ৭০০ টাকায়।

অপরদিকে স্থিতিশীল আছে পেঁয়াজের দাম। প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ গেলো সপ্তাহের মতই বিক্রি হচ্ছে ৪০-৪৫ টাকায়। আর প্রতি কেজি আমদানি করা পেঁয়াজও বিক্রি হচ্ছে গেলো সপ্তাহের মত ২৫-৩০ টাকায়। আর প্রতি কেজি নতুন আলু বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকায়।

এদিকে স্থিতিশীল আছে ব্রয়লার মুরগির দাম। ধর্মঘটের প্রভাবে বাড়েনি ব্রয়লার মুরগির দাম। বাজারে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১২৫-১৩০ টাকায়। এদিকে ফার্মের মুরগির দাম এখনো উচ্চমূল্যে স্থিতিশীল আছে। বাজারে প্রতি ডজন ডিম বিক্রি হচ্ছে ১০৫ টাকায়।

বাজারে মুরগির দাম কম কিন্তু ডিমের দাম বেশি কেনো এমন প্রশ্নের জবাবে কারওয়ানবাজারের ডিম বিক্রেতা আমিন বিডিমর্নংকে বলেন, শীতের মৌসুম শুরু হয়ে গেছে। আর এ সময় মুরগির নানা রকম রোগ হয়ে থাকে তাই খামারিরা কম দামে মুরগি ছেড়ে দিচ্ছে। কিন্তু বাজারে রোজার ঈদ থেকে কুরবানির ঈদ পর্যন্ত দীর্ঘদিন কম দামে বিক্রি হয়েছে। যার ফলে লোকসানের সম্মুখীন হতে হয়েছে অনেক খামারিকে। যার ফলে চাহিদার সাথে উৎপাদনের ব্যাঘাত ঘটেছে।

আর শীতের সময় ডিমের চাহিদা ব্যাপক থাকে। কিন্তু সময় যেরকম চাহিদা আছে ঠিক তেমন সরবরাহ বাজারে নেই যার ফলে বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে ডিম।

বাজারে প্রতি আটি লাল শাক বিক্রি হচ্ছে ১৫ টাকায়, প্রতি আটি মুলা শাক বিক্রি হচ্ছে ১৫-২০ টাকায়। প্রতি হালি লাউ শাকের ডগা বিক্রি হচ্ছে ২০-২৫ টাকায়।

Bootstrap Image Preview